পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&yve ●धंबांजौ Segu একত্র পড়িত। সকল ছাত্রের পক্ষেই এইরূপ ব্যবস্থা ছিল। স্কুলে বার্ষিক ষান্মাসিক পরীক্ষার কোনরূপ ব্যবস্থা ছিল না। ছাত্রগণের শিক্ষা কত দূর অগ্রসর হইয়াছে, তাহা শিক্ষকগণই সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল জানেন। তাহারা যে-ছাত্রকে যে-পুস্তক পড়িবার অধিকারী বলিয়া মনে করিতেন তাহাকে সেই পুস্তক পড়াইতেন। শিক্ষাবিষয়ে ব্রহ্মচর্য্যাশ্রমে অনেকটা সেকালের চতুষ্পাঠীর শিক্ষপ্রণালী অকুস্থত হইত। তবে চতুষ্পাঠীর শিক্ষার সহিত আশ্রমের শিক্ষায় এই প্রভেদ ছিল যে, চতুষ্পাঠীতে প্রত্যেক ছাত্র ব্যাকরণ, সাহিত্য, অলঙ্কার, স্মৃতি, কাব্য, স্থায়, দর্শন প্রভৃতি যে কোন বিষয়ের একটি মাত্র অধ্যয়ন করে এবং সেই বিষয়ের পাঠ শেষ হইলে অন্য বিষয়ের পাঠ আরম্ভ করে ; স্মৃতির ছাত্র অলঙ্কার পড়ে না, কাব্যের ছাত্র দর্শন পড়ে না । কিন্তু ব্ৰহ্মচর্য্যাশ্রমে সকল ছাত্রকেই সকল বিষয় শিক্ষণ দেওয়া হইত। বাংলা, ইংরেজী, গণিত, ভূগোল, ইতিহাস, সঙ্গীত, শিল্পকাৰ্য্য—সকল বিষয়ই প্রত্যেক ছাত্রকেই শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা ছিল। কবিবর স্বয়ং ছাত্রদিগকে ইংরেজী, বাংলা ও সঙ্গীত শিক্ষা দিতেন, জগদানন্দবাবু বিজ্ঞান পড়াইতেন, কাৰ্ত্তিকবাৰু ভূগোল পড়াইতেন । চার-পাচ দিন সেখানে থাকিয়া আমি ছাত্রদের দৈনিক কার্যক্রম যাহা দেখিয়াছিলাম, তাগ এই —অতি প্রতুষে শয্যাত্যাগ করিয়া হস্তমুখাদি প্রক্ষালনের পর ছাত্রগণকে কুস্তি ও ব্যায়াম করিতে হইত, তাহার পর স্বর্য্যোদয়ের সময় স্বান ; স্নানের সময় সস্তরণ-শিক্ষণ। স্বানাস্তে মন্দিরে গিয়া উপাসনা। উপাসনার পর জলযোগ—মোহনভোগ ও দুগ্ধ । তাহার পর বেলা সাড়ে দশটা পৰ্য্যস্ত পড়াশুনা, এগারটার সময় ভোজন। ভোজনের পর বিশ্রাম, বিশ্রাম অর্থে দিবানিদ্রা বা শয়ন নহে — স্কুলঘরের মধ্যে বসিয়। ক্রীড়া (indoor games ), গল্প প্রভৃতি। কয়েক মাস পরে এক বার গিয়া দেখিয়াছিলাম যে এক জন মৃৎশিল্পীকে মধ্যাহ্নকালে ছাত্রগণকে মাটির ফল ফুল পাতা ও পুতুল প্রভৃতির নির্মাণ শিক্ষা দিবার জন্য নিযুক্ত করা হইয়াছিল এবং ক্রমে ক্রমে কাঠের কাজ ও বয়নশিল্প শিক্ষা দিবারও ব্যবস্থা হইয়াছিল। ধীরেন স্বহস্তে একখানি গামোছা বয়ন করিয়া বাড়ীতে লইয়। গিয়াছিল। বেলা চারিটার প পুনরায় জলযোগ, কোন দিন লুচি, কোন দিন চিড়ার ফল বা মুড়ি এবং ঋতু-অনুযায়ী ফলমূল। এই জলযোগে পর আবার কিয়ৎক্ষণ অধ্যয়ন। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে ছাত্রগ দৌড়াদৌড়ি করিয়া খেলা করিত। সন্ধ্যার পর সঙ্গীত আবৃত্তি, গল্প প্রভৃতি। ছাত্রগণকে অনুমানে পারদর্শ করিবার জন্য কবিবর অতি সুন্দর উপায় অবলম্ব করিয়াছিলেন। এক দিন দেখিলাম, ছোট বড় ভা ইট আনইয়া এক স্থানে রাখা হইয়াছে। ইটগুf কি হইবে জিজ্ঞাসা করাতে কবিবর বলিলেন"এখনই দেখিতে পাইবে।” সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে ছাত্র, খেলিবার ছুটি হইলে কবিবর ছাত্রদের লইয়া এ স্থানে উপবেশন করিলেন এবং এক জনের প এক জন ছাত্রকে ডাকিয়া, এক-একখানা ইটের ওজ কত হইবে, ছাত্রদিগকে আন্দাজ করিতে বলিলেন ছাত্ৰগণ যাহা বলিল, তিনি তাহা এক জন শিক্ষক:ে লিখিতে বলিলেন । তার পর একখানির পর একথাf ইট তৌলদাড়িতে ওজন করিয়া ছাত্রগণকে দেখাই৷ দিলেন যে তাহারা যে ওজন অসুমান করিয়াছিল তাই প্রকৃত ওজন হইতে কত তফাং । অন্য এক দি দেখিলাম, তিনি একটা বল দূরে ছুড়িয়া ফেলিয়া সৌ কত গজ দূরে পড়িল তাহা ছাত্রগণকে অকুমান করিতে বলিলেন এবং পরে গজের দ্বারা মাপিয়া দেখাইলেন ংে প্রকৃত দূরত্ব হইতে তাহদের কথিত আছুমানিক দূরত্বে পার্থক্য কিরূপ । এইরূপে ভারের অম্বুমান, দূরত্বে অকুমান, সময়ের অনুমান সম্বন্ধে ছাত্রগণের একটা ধারণ হইত। শিক্ষকগণ যে সকল সময় স্কুলগৃহের মধ্যে বসিয়া অধ্যাপনা করিতেন, তাহা নহে ; এক জন শিক্ষ হয়ত তিনটি ছাত্রকে লইয়া একটা গাছের ছায়া বসিয়া পড়াইতে লাগিলেন, অন্য এক জন শিক্ষ অপর তিন-চারিটি ছাত্রকে লইয়া বাগানের অা এক দিকে অন্য একটা গাছের ছায়ায় বসিয়া পড়াইংে লাগিলেন । একবার দেখিয়াছিলাম, জগদ্বিখ্যা বিজ্ঞানাচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয় একটা গাছতলা