পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f শুভযাত্রার ফলাফল W মুখোপাধ্যায় লম্ব লেফাফাখানা ੇ কালিচরণ 鰓 করিয়া বেঙ্গ যে কালিচরণের রাসভনিন্দিত কণ্ঠ কাহারও কর্ণে উঠিল, “মোক্ষা–মোক্ষদা, ও মুখী পোড়ারমূখী—” বেলা বারটা বাজিয়া গিয়াছে। শাশুড়ী গঙ্গাস্নানে গিয়াছেন, মিনিট পনেরোর মধ্যেই ফিরবেন। এদিকে আঁশ নিরামিষ দুটি হেঁসেল সামলাইয়া বেল একটার মধ্যেই কালিচরণকে ভাত দিতে হইবে। কালিচরণ চাকরি করে না, কিন্তু সাহেব-খেকানো মেজাজটি তাহার পুরামাত্রায়ই আছে । পিতামহের আমল হইতে একটা ক্লক-ঘড়ি শোবার ঘরে টাঙানো আছে ; পিতার শাস্ত্রজ্ঞানের আর কিছু লাভ না করুক, পাজি খুলিয়া ঘড়ি মিলাইয়া দিনক্ষণ দেখিয়া কাজ করিতে কালিচরণ ভালবাসে। ত্র্যহম্পশ, মঘ, দিকশূল, যোগিনী, বারবেলা ও কালবেলার হিড়িক কাটাইতে গিয়া কতবার যে সে কলিকাতার ট্রেন ফেল করিয়াছে তাতার ইয়ত্ত নাই। প্রবেশিকায় অনুত্তীর্ণ হইবার একমাত্র কারণ, সেদিন দক্ষিণে যোগিনী ও মঘী নক্ষত্র ছিল। এমন অদৃষ্ট যে, ট্রেনের সময়টাও মাহেক্সযোগ নিদেন পক্ষে অমৃতযোগ ঘেষিয়াও ছিল না। তেমন অশুভ লগ্নে যাত্রার ফল, যাহারা তিথি-নক্ষত্র মানিয়া চলে, তাহাঙ্গের ফলিবে না কি, অহিদুর আচরণ যাহাদের তাহাদের ফলিবে ? তার পর বাপের মৃত্যু, কয়েক জায়গায় চাকরির নিষ্ফল উমেদারি ও আবেদন-পত্র প্রেরণ ইত্যাদির মূলেও তিথি নক্ষত্রের কিঞ্চিং গোলযোগ বর্তমান ছিল। কিন্তু এ-সব দীর্ঘ কাহিনী থাকুক, সম্প্রতি বেকার কালিচরণ বহু যত্বে পাজি দেখিয়া কলিকাতার কোন নূতন আপিসে এক দরখাস্ত ঠুকিয়া দিয়াছিল, শুভলগ্নের ফল হাতে হাতে না ফলিয়া আর যায় কোথায় ? সপ্তাহ-পরে লম্ব লেফাফাথানি সেই শুভসংবাদ বহন করিয়া আনিয়াছে। মোক্ষদা সত্যই পোড়ারমূখী, নহিলে স্বামীর এই উল্লাসধ্বনি তাহার কানে পৌছিতেছে না কেন ? ', وی-چ ۹b পৌছায় নাইতাহার কারণ আর কিছুই নহে। এদিকে বাটনা বাটতে গিয়া ওদিকে ডাল ধরিয়া পুড়িয়া দুৰ্গন্ধ বাহির হইতেছে। শাশুড়ীর বড় সাধের মটর ডাল— কাচা আম দিয়া রাধিতে গিয়াই না ধরিয়া গেল! গঙ্গাস্নান সারিয়া আজ কি তিনি আর জপে বসিতে পারিকেন ? মটর ডালের শোক, মোক্ষদার অপটুতা, নিজের বৈধব্যের সকুরুণ সবিস্তৃত কাহিনী লইয়াই আজ তাহার সারা দিন কাটিবে। কোন প্রতিবেশিনী সহানুভূতি দেখাইতে আসিলে সেকালের বন্ধুদের (অর্থাং নিজের) দশভূজার ন্যায় কৰ্ম্মক্ষমতা, এ-কালের দুর্গা ཨཱི་ཨཱུ།། - অকৰ্ম্মণ্যতার তুলনামূলক সমালোচনা কিঞ্চিং সানসিক স্বরেই হয়ত আরম্ভ করিবেন । শাশুড়ী আসিতে-না-আসিতে ডালট আবার চড়াইয়৷ দেওয়া যায়। অসময়ে দোফল কাচা আম কোথায় মিলিবে ? কালিচরণ কি আর নড়িয়া উপকার করিবে ? উহার পুরাতন ঘড়িতে একটা বাজিলেই হইল, ভাতের তাগাদ আরম্ভ হইবে। কালিচরণের স্থাকাহাকিতে মোক্ষদা মুখে $ অন্ধকার নামাইয়া চড়া গলায় জবাব দিল, “কিঙ্কৰে আদিখ্যেতা কর ভাল লাগে না। এদিকে বলে ডাল ধরে । পুড়ে—” . চাংকার কবিয়া কালিচর বলিল, “ড্যাম ইণ্ডর ডাল, শোন এদিকে ৷” §. s'. —একটা বাজলেই ਾਂ ਵਿਚ তাগঃ • হবে। --না, না, আজ তোমার ইচ্ছেয় কাজ । দুয়ারে মুখ বাড়াইয়া বিস্মিতা মোক্ষা বলিল,