পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N Y. \ ها ७ेवी _95াম }^8% এবারও কোন সাড়া পাওয়া গেল না, একটু ভীড় হলাম, কোন রকম কিছু ক'রে বসল না তো ? কিন্তু সে ধরণের ছেলে তো মনোরঞ্জন নয় । হঠাৎ একটা বুদ্ধি খেলে গেল। বললাম, ‘ওঠ, শীগগির ওঠ। তোমার প্রোগ্রেস-রিপোর্ট কোথায় ? অার হেড মাষ্টারের বাড়ীর ঠিকানা জান তো ? চল আমার সঙ্গে । এখনই তার কাছে ষেতে হবে । দেখি কিছু করা যায় कि नीं ।” মনোরঞ্জন লাফিয়ে উঠে দরজা খুলে দিল। “প্রোগ্রেসরিপোর্ট তো বাবার কাছে।” হাত ধরে বললাম, “তাই নাকি? আচ্ছ, তার কাছ থেকেই চেয়ে নেব এখন। তাড়াতাড়ি এখনই কিছু খেয়ে নিয়ে চল তুমি আমার সঙ্গে " “পরে এসে খাব।” “না না, কথা শোন, আগে খেয়ে নাও কিছু। দিন, তাড়াতাড়ি কিছু খেতে দিন ওকে। ষাও খেয়ে এস। অামি দাড়িয়ে রইলাম এখানে ৷” “লা, না, দাড়িয়ে থাকবে কেন । তুমিও এস বাবা, এস না, লজ্জা কি, ছেলের মতই মনে করি তোমাকে ৷” ট্যুইশানটা হয়ত এ-যাত্রা টিকেই গেল।

(് 16ു to o সেকালের সংবাদপত্র* ঞ্জরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এজেন্দ্রবাবুর সন্ধানপটুত্ব অসাধারণ। এই অসাধাৰণত কেবল তার সংগ্রহপ্রাচুর্ষে প্রকাশ পায় নি তার সঙ্গে ঠার স্বল্প ৰিচারবুদ্ধির যোগ আছে। বতর্মান সাহিত্যিক বাংলার প্রথম বিকাশের আদ্যভাগ তার সন্ধানের ক্ষেত্র। এখানে চারদিকে যে বিপুল আবর্জন বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে তার মধ্যে থেকে কীটদষ্ট উপকরণ সংগ্রহ করে তিনি বাংলা সাময়িক-পত্রের বিস্তৃত বিবরণ প্রকাশ করেছেন । এর থেকে বাঙালীর মনের যে পরিচয় পাওয়া গেল দেখতে পাই এখনো তার অম্লবৃত্তি চলছে। গদ্যভাষার মধ্যে তখন বাধুনি ছিল ন৷ কিন্তু প্রবল একটা প্রয়াস ছিল তাকে কথা কওয়াবার জঙ্গ। অক্ষুটবাক্ রচনার কাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠছিল বঙ্গসমাজ । তার সঙ্গে সঙ্গে ছিল নাট্যাভিনয়, ধাত্র, কীর্তন, কবির গান, কথকতা । কথা কৰায় দুর্দাম প্রবৃত্তি আজও আছে বাঙালীর। কিছু যার বলবার আছে কিছু যার বলবার নেই সকলের মধ্যেই কথা কইবার জসহ অস্থিরতা, ক্রমাগতই ফেনিয়ে তুলছে বাণীস্রোত । দৈনিক সাপ্তাহিক পাক্ষিক মাসিক কেবলি দেখা দিচ্ছে আর • “বাংলা সামৰিক-পত্র (১৮১৮৬৭)” ও “বঙ্গীর নাট্যশালার ইতিহাস”—এঁরজেন্দ্রনাথ বঙ্গ্যোপাধ্যায় । মিলোচ্ছে । আরো একশো বছর যাবে, আরো ব্রজেন্দ্র বাড়ুজ্জেকে জন্মাতে হবে কালের আবর্জনাব স্তুপ থেকে টেলে আনতে হবে সাহিত্যের স্মৃতির ভাণ্ডারে বাঙালীর চিরাগন্ত মুখরতার স্বত্রধারাকে । তখনকার বাঙালীর চিত্তে নানা দিক থেকে নূতন কালের নানা রকম তাগিদ এসে পৌছচ্ছিল—সাময়িক-পত্রের পথচলতি কোলাহুলের যে এক-একটা টুক্‌রে। এই গ্রন্থের মধ্যে ধরা পড়েছে দুর কালের কিছু ছিন্ন খবর কিছু কথাকাটাকাটি কানে এসে পোছচ্ছে। তাতে বাংলা দেশের তখনকার সময়ের চেহারা যেন পদ1 ফাক করে আড়াল থেকে উকি মেরে যাচ্ছে, তার মধ্যে কৌতুকের কথা আছে বিস্তর, সেট। কম লাভ ឆ 'বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস’ গ্ৰন্থখানি সম্বন্ধেও ঐ একই কথা বলা যায়। পাশ্চাত্য শিক্ষার স্পশে যখন থেকে বাঙালীর মল জেগেছে তখন থেকেই অসম্পূর্ণ ভাষার ৰাধার মধ্যেও আপনাকে প্রকাশ করবার প্রবল জাগ্ৰহ নানা স্থানেই ভিড় করে দেখা দিতে আরম্ভ করেছে । এই বইয়েতে তার পরিচয় পাওয়া গেল ।