পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆԳ8 ব্ৰহ্মদেশের রাজারা তাহাজের প্রজাদিগের হৃদয়ে রাজসিংহাসন স্থাপন করিতে পাবেন নাই ; কিন্তু তাহাদিগের জাদেশে নিহত ও নির্ধাভিত মহাপ্রাণ মনুষ্যগণ ব্ৰহ্মদেশীয়দিগের झनास्त्र ब्राप्जावब्रङ्गर्न दिब्राख रूब्रिह७८झ् । अनन्त्रथ दौं ब्रजদিগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্বাজ ছিলেন ; কিন্তু ব্ৰহ্মদেশীয়গণ র্তাহার সমাধি নিৰ্মাণ করে নাই, তাহার কোনও মূৰ্ত্তি গঠিত করে নাই বা কেহই তাহাকে পূজাও দেয় না ; কিন্তু চ্যাউছে-বাধে তাহার যে কক্ষণহীদয়া শান রাণী নির্দোষ প্রজাদিগের প্রাণরক্ষার্থে আত্মোৎসর্গ করিয়াছিলেন তাঙ্কার সমাধি এখনও ব্রহ্মদেশীয়দিগের ফুলে ও নৈবেদ্যে ভরিয়া যাইতেছে। भशद्राख अनब्रथ छैाशांद्र छुझे विषंख छूङtक बिनाएकाहरु প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করিয়াছিলেন, তাহারা টাউণ্ড-বিওন গ্রামে ব্ৰহ্মবাসীদিগের শাশ্বত ভক্তি ও সম্মানের অধিকারী হইয়াছে ; আর মহারাজ অনরখ তাহার অবিমুয্যকারিভার জগুই পরিচিত রহিয়াছেন। টাঙাউণ্ড-এর বিশ্বাসঘাতক রাজ বিস্মৃতির গহবরে লুপ্ত হইয়। গিয়াছেন কিন্তু নিরাপরাধ গা-টিন-ডে ও তাহার ভগ্নী পপ। ●वंथार्थी Yogy বিগত এক হাজার বংলর কাল ছঃখশোকাওঁ শত শg নরনারীর কাতর প্রার্থনায় এই নাটদিগের মনি মুখরিত রহিয়াছে ; ভক্তগণের প্রদত্ত শত শত দীপ ও পুষ্পস্তবকে তাহা বিভূষিত হইতেছে। নানা প্রদেশ হইতে সমাগত সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী নানাবিধ মহাখা উপহারসহ এই সকল মন্দিরে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণাম করিম নাটদিগের অনুগ্রহ ভিক্ষা করিতেছে। ধূপ-দীপ পুপসমম্বিত ঐ সকল মন্দিরে ভক্তগণের অলৌকিক উল্লাস ও নিষ্কম্প ভাবাবেশ দেখিয়া বিধৰ্ম্মীরও মন বিস্ময়াপ্লুত হইয়া উঠিতেছে । এ আরাধনা যদি কুসংস্কার হয়, তবে তাহা মানব-মনের কুঙ্কটিকfপূর্ণ, মধুর রহস্তময়, কাব্যকোরাণ-বাইবেল ও বেদাস্তের বহিঃপ্রাস্তস্থ আমাকুষিক সৌন্দর্ঘ্যের কারুকার্য্যময় এক দুর্বোধ্য কল্পনা । বিজ্ঞানের অবোধ্য, জ্ঞানের ছুর্নিরীক্ষ্য এবং কল্পনার দুরধিগম্য কতকগুলি পারলৌকিক সত্তার শক্তিমত্তায় অগাধ বিশ্বাস পৰ্ব্বতে ব্ৰহ্মদেশের স্মরণীয় ও বরেণ্য হইয়া আছেন। ও ভক্তিই এই নাট পূজার মূল উৎস। পাষাণময় ঐহেমচন্দ্র বাগচী একটা প্রকাও বিল ঃ ছায়াতে, চাদের আলোর অস্পষ্টতায় রাত্রির নিবিড় অন্ধকার । বধুর গলায় ঝিকৃমিক্‌ ক’রে উঠল ইৗরামুক্তাজহরৎ— প্রেতের মত কয়েক জন বেহীরা সেই জলাভূমির কিনারে কিনারে পালকি নিয়ে চলেছে—নিঃশৰে । তাদের ছায় পড়েছে সেই জলে— অসংখ্য বনঝাউ, শাপলা শালুকে ভরা সেই বিল । কতকগুলি ছায়ামূৰ্ত্তি এগিয়ে এল। পাণ্ডুর চাদের আলোয় একটা ভাঙা মন্দিরের পাশে অন্ধকার বটতলায় পালকি থামূল। ছায়ামূদ্ভিদের শীর্ণ দীর্ঘ আঙ লগুলো প্রসারিত হ’ল । বধুর মুখ তারা দেখবে। পালকিতে আছে সেই বধূ। যেমন ঝিকমিক্‌ করে অমাবস্তার আকাশে অসংখ্য তারকা । তার পরে উঠল একট দমকা হাওয়া একটা প্রচণ্ড অট্টহাসিতে দীর্ণ হ’ল আকাশ । বধুর চোখে পলক পড়ে না। নিরুপম, স্বন্দর সেই মুখ, সমস্ত কপাল ভরে মুক্তার মত ঘামের মালা । ছায়ামূঞ্জিরা ঘিরে দাড়াল সেই মুখ বাউয়ের বনে বাতাসের শব্দের মত তাদের নিঃশ্বাস । তবু পলক নেই বধুর চোখে— বোধ হয় প্রাণ নেই তার দেহে । সেই নিৰ্ব্বাক্ মুখ আর নি:স্পন্দ দেহের দিকে চেয়ে তারা অট্টহাসিতে দীর্ণ করল আকাশ ।