পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.س-- هل ۹ लिखि कप्त अर्को ब्रडम अश्डिा भएस्त्र ७%श्। न्डन उाब ও চিত্তার সঙ্গে সঙ্গে তদুপযোগী জাঙ্গিক পরীক্ষিত হচ্ছে ; বিষয়বস্তুতেও অভিনব রুচির পরিচয় মিলছে ; নূতন দৃষ্টিভঙ্গী ও । নুতন সমালোচনারীতি দেখা দিচ্ছে । কিন্তু প্রগতি-সাহিত্যের নামে যা কিছু চলছে, তাকেই খাটি জিনিষ মনে করলে ভূল হবে ; কারণ এর কতক আদৌ সাহিত্য নয়, কতকগুলির সর্বাঙ্গে অতি-আধুনিকতার ছাপ থাকলেও, সেগুলিতে ফুটেছে আধুনিক যুগের প্রগতিটা নয়, পুরোনো যুগের উচ্ছিষ্ট বীভৎস বিকৃতিট। প্রগতি-সাহিত্যে সমাজের এই বিকুতির দিক প্রতিফলিত হবে না, তা নয় । বিকুতিও সত্য, কিন্তু তার চেরে অনেক বেশী সত্য সমাজের প্রাণশক্তির ফুৰ্ত্তি। জীবনের নিকষেই সত্যাসত্যের অভিম পরীক্ষা হতে পারে, তাই বিকৃতিকে যখন ৰিকুতি বলে চেনা যায় না, জীবনের প্রকৃতির ছদ্মবেশে সেটা যখন দেখা দেয়, তখন তার চেয়ে অসত্য আর কি হতে পারে। সত্যিকার অমুভূতি ব্যতীত সাহিত্য হয় না, সুতরাং রাজনৈতিক মতামত যদি অনুভূতিতে রূপাস্তরিত না হয়ে সরাসরি সাহিত্যে প্রবেশের চেষ্টা করে তবে অনর্থই ঘটে, আমন ক’রে প্রগতি-সাহিত্য স্মৃষ্টি করা চলে না। প্রগতি-সাহিত্যের কাজ সমাজের বৈপ্লবিক পরিবেষ্টনে মানবচিত্তে ৰে বিচিত্র রস উদ্ভূত হয়, তাকে রূপায়িত করা। এরূপ পরিবেশে যে অম্নভূতির উদ্ভব, সেটা ব্যষ্টিগত না হয়ে সমষ্টিগত হওয়ার দক্ষণ প্রগতি-সাহিত্য অব্যর্থ ভাবে বাস্তবপ্রধান হয়ে ওঠে । ষে বিচিত্র ‘সামগ্রিক অস্থভূতি মানুষকে বিপ্লবের অভিমুখে ঠেলে নিয়ে যায়, বাস্তব জীবনের প্রাত্যহিক ঘটনার মধ্যে সেগুলির রূপ প্রকাশ করতে গিয়ে প্রগতি-সাহিত্যকে পদে পদে বাস্তব জগতের উপর নির্ভর করতে হয় ; মামুষের চিন্তু, হৃদয়াবেগ প্রভৃতি এ সাহিত্যে সার্থকতা পায় বাস্তব জীবনের সংস্পর্শে। অনেকের একটা ভ্রাপ্ত ধারণ অাছে যে, বাস্তবের, বিশেষ ক'রে, কুৎসিত অথবা করুণ বাস্তবের একটা চিত্র ধরতে পারলেই সাহিত্য বাস্তব সাহিত্য হয়ে ওঠে, হয়তো বা প্রগতি সাহিত্যও হয়ে যায় । এদে গলি, ঘেয়ো কুকুর, কাকড়ার খোলা প্রভৃতির সঙ্গে দুঃখ, দীন মানুষের বীভৎস কাতরতার ছবি অকলেই সে সাহিত্য প্রগতি-সাহিত্য হয়ে ওঠে না। সকল সত্যিকার সাহিত্যের, বিশেষ করে প্রগতিসাহিত্যের কাজ মানুষের দুঃখ-দারিদ্র্য বাধা-বিপত্তি ক্ষাস্ত হয় না, এ সবের মধ্যেও মানুষের আজেয় আত্মার তুৰ্দ্দম অভিযানকে ভা রূপ দেয় ; জীবনের জয়যাত্রার চিত্র অাকে। সকল মহৎ সাহিত্যে যে উপলদ্ধি রূপায়িত, সে উপলব্ধি সামগ্রিক (collective) ntg:RR firsta ntax ; aề stvề vēlā শ্রেণী-চরিত্রকে সবচেয়ে বড় কথা মনে করা ভূল। ज्रणक ] প্রবাঙ্গী আমাদের দেশেও বাস্তব জীবনের অভিনৰ অভিজ্ঞতার উপর ל)98יל বাংলার খনিজসম্পদ ও বৈজ্ঞানিক শিল্প স্ত্রীনিৰ্ম্মলনাথ চট্টোপাধ্যায় ভারতের মধ্যে রাণীগঞ্জের উচ্চশ্রেণীর কয়লায় সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক পরিমাণে উদ্বার ধুম ( wilatiles) ও তৈলজাতীয় পদাৰ্থ বর্তমান রছিয়াছে। সেই কারণে এই স্থানের কয়লা হইতে অধিক মাত্রার গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই উদ্বায়ী ধূম হইতে আলকাতর, বেঞ্জল অর্থাং পেট্রলজাতীয় তৈল, অ্যামোনিয়া, স্থাপথেলিন প্রভৃতি সাব্যসম্ভার উৎপন্ন হইতে পারে। রাণীগঞ্জের উচ্চশ্রেণীর এক টন কয়ল। হইতে বিশবাইশ গ্যালন আলকাতরা, তিন-চারি গ্যালন বেঞ্জল ( পেট্রল ), সাত-আট সের অ্যামোনিরম সালফেট, ৪•••-৫••• কিঃ ফুট গ্যাস ও প্রায় পনর হনরি ( ৭e." ) কোক্‌ কয়লা উদ্ধার করা যায়। এই আলকাতরা পুনরায় উত্তপ্ত করিলে নানাপ্রকার লাইট অয়েল, মিডল অয়েল ও পিচ প্রভৃতি পাওরা যায়। কয়লার উদ্বায়ী ধূম হইতে এই সমৃদয় পদাৰ্থ বর্তমানে অপসারিত না হওয়ার ফলে কি পরিমাণ মূল্যবান বস্তুর অপচয় হইতেছে তাহ অনেকের ধারণাতীত। বাৎসরিক হিসাব করিলে দেখা যায়, প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ গ্যালন তৈলজাতীয় পদার্থ, পনর লক্ষ গ্যালন ফেনল ও ক্রিয়োজোট তৈল বাইশ হাজার টন অ্যামন সালফেটু, প্রায় বত্ৰিশ হাজার টন পিচ ও বহু পরিমাণ গ্যাস উদ্ধার করা সম্ভব হইত। কিন্তু এই উচ্চশ্রেণীর কয়লা যথাতথা-নানারূপ কলকারখানায়, তাপোৎপাদনকারী বয়লারে ও বাষ্পীয় শকটে আজ ব্যবহৃত হইতেছে ও তৈলজাতীয় পদার্শ্ববাহী উদ্বারী ধুম আকাশমার্গে উধিত হইয়। বায়ুমণ্ডল দূষিত করিতেছে এবং মানবের কোন হিতকর কার্ধে ব্যবহৃত হইতে পারিতেছে না। এই সকল পদার্থের নিত্যপ্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বৰ্ত্তমান সভ্যজগতে সকলেই উপলব্ধি করিয়াছেন। পেট্রলের স্তায় যেঞ্জল ব্যবহার অাজ যথেষ্ট প্রচলিত। বাংলার কৃষিকার্ঘ্যে অ্যামোনিয়ম সালফেট সারপদার্থের বহুল প্রসার অবগুঞ্জাবী। আলকাতর হইতে লাইট আয়েল, মিডল অয়েল ও ক্রিয়োজোট অয়েল প্রভূতি পদার্থের উদ্ধার হইলে তাহ আমাদের নানাপ্রকার কার্য্যে ব্যবহৃত হইতে পাব্লিবে। অবশিষ্ট পিচ (pitch )-এর ব্যবহার পথপ্রস্তুতকার্ধ্যে অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাইতেছে। আলকাতর ( Tar ) হইতে নানারূপ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে ধে আরও নানাবিধ বস্তু ও গন্ধত্রব্য উদ্ধার করা সম্ভবপর হইয়াছে ভtহা আজ বিজ্ঞান-সমাজে নুতন করিয়া বলির দিতে হইবে না। এই জাতীয় সমুদয় পদার্থই আজ বিদেশ হইতে আমদানি হয়। ভারতবর্ষ ] ১২-২, আপার সারকুলার রোড কলিকাতা, প্রবাসী প্রেস হইতে শ্ৰীলক্ষ্মীনারায়ণ নাথ কর্তৃক মূজিত ও প্রকাশিত