পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাগৈতিহাসিক ড্র্যাগনের বর্তমান বংশধর අVH বিরাটকায় ‘কমোডে গোসাপ সাপ ও কচ্ছপ উভয়েষ্ট মাটির নীচে ডিম পাড়ে। এক বার ডিমের সন্ধান পাইলে রোজই সেই স্থানে গিয়া তাহার আশেপাশে বহু গৰ্ব খুড়িয়া জমি যেন একেবারে চষিয়া ডিম পাডিবার সময় হইলে কচ্ছপ রাত্রির মধ্যভাগে জল হইতে উচু জমিতে উঠিয়া আসে এবং গর্ত খডিয়া ফেলে । তাহার মধ্যে একসঙ্গে অনেকগুলি ডিম গোসাপও সৰ্ব্বদাই সন্ধানে থাকে। রাত্রি প্রভাত হুইতে-না-হষ্টতেই তাতার পীড়িল। মাটি চাপ দিয়ণ রাগিয়া যায়। জলের পাশ্ববর্তী উচু জমিতে খুজিয়া খুজিয়া ডিম বাহির করিয়া পাইয় ফেলে। আশ্বিনের রাত্রিশেষে একবার কোন এক পাড়াগায়ের বড় রাস্তা দিয়া চলিয়াছি । রাস্তার সঙ্গে সঙ্গেই বরাবর প্রকাগু খাল চলিয়া গিয়াছে । খাল হইতে রাস্তা প্রায় ছয় সাত তাত উচু । কিছু দূর অগ্রসর হষ্টলেষ্ট স্বাস্তীর পাশে একটা উষ্টয়ের টিবি নজরে পড়ে । টিবিটার চতুৰ্দ্ধিকে আসশাওড়া ও ভাটগাছের জঙ্গল । টিবিটার কাছে আসিতেই খুব একটা ধস্তাধস্তির শকা শুনিতে পাইলাম। মাঝে মাঝে ফেঁাস-ফেস শব্দ ও কানে আসিতেছিল। তখন পূর্বদিক বেশ ফসর্ণ হইয়া উঠিতেছে। গাছপালার আড়ালে অস্পষ্ট আলোকে কেবল একটা গোসাপের লেজের দিকটা দেখিতে পাইলাম। গোসাপট কিছুক্ষণ পরে পরে গাছপালার উপর সপাং সপাং করিয়া লেঞ্জের আঘাত করিতেছিল । অল্পক্ষণ পরেই পরিষ্কার আলোকে দেপিতে পাইলাম-প্রকাণ্ড একটা কচ্ছপ গোসাপটার কানের কাছে মরণ-কামড় দিয়া ধরিয়াছে এবং তাহাকে জলের দিকে টানিয়া নামাইবার চেষ্টা করিতেছে। গোসাপ মাথা নাড়িতে না পারিলেও প্রাণপণে মাটি আঁকড়াইয়া বুঠিয়াছে এবং য়ন্ত্রণায় অস্থির হইয়। লাঙ্গুল আস্ফালন করিতেছে। সে কিছুতেই জলের দিকে যাইবে না। আরও কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর কচ্ছপই জয়ী হইল । সে অতিকষ্টে হেঁচড়াইতে হেঁচড়াইতে গোসাপকে জলের ধারে লইয়া আসিল । কিছুক্ষণ দম লইবার পর গোসাপট নিজেকে মুক্ত করিবার জন্য প্রাণপণে আস্ফালন করিতে করিতে উভয়ে জড়াজেডি করিয়া জলে পডিয়া গেল। প্রণয় দুই-তিন মিনিট কোন সাডাশক নাই । তার পরেই গোসাrপর লেজের আন্দোলনে জল তোড়পাড় তষ্টতে লাগিল । মিনিটদুষ্ট এরূপ চলিবার পর হঠাৎ দেখি, গোসাপ কচ্ছপের কামড ছাডfষ্টয়া জলের উপর ভাসিয়া উঠিয়াছে। খালের অপর পাড়ে উঠিয়া, বনজঙ্গল ভাঙ্গিয় সে উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিতে লাগিল । সময় সময় চলন্ত গাউীর বোম ছি'ডিয়া ঘোড়া যেমন বরাবর উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিতে থাকে, এই দৃশ্যও হুবহু সেইরূপ মনে হষ্টল। রাস্তার পাশেই ঘাসের মধ্যে এক স্থামে ভিক্ষণমটির প্রলেপ দেখিতে পাইলাম। ষ্টশ্রষ্ট কচ্ছপের ডিমের গর্তের পবিদার চিহ্ন । সেই স্থানের মাটি সরাষ্ট্রজেক্ট ২৭টি ডিম বাহির হইল । খুব সম্ভব ডিম পাডিবার অব্যবহিত পরেই গোসাপ ডিমের সন্ধানে সেখানে উপস্থিত হওয়ায় কচ্ছপ তাহাকে আক্রমণ করিয়াছিল । গোসাপ পুরাতন গাছের গুডির ফাটলে, ঘনসন্নিবিষ্ট শিকড়ের নীচে অথবা ঝোপঝাডের আড়ালে গৰ্ত্ত খুড়িয়া বাস করে। গর্তের মধ্যে ডিম পাডিয়া সযত্নে রক্ষা করে । বাচ্চাগুলি একটু বড় হইলেই মা তাহাদিগকে লইয়। আহারান্বেষণে বন্তির্গত হয়। ইহাদের মাতৃস্নেহ এবং প্রতিষ্ঠিংস-প্রবৃত্তি অতান্ত প্রবল। অবশ্ব বাচ্চার প্রতি অত্যাচার তইলেষ্ট প্রতিশোধ গ্রহণের চেষ্ট করে । অন্যথা আক্রমণকারীর নিকট হইতে সৰ্ব্বদাই পলায়ন করিতে ব্যস্ত থাকে ।