পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

બે૭૭ aश्वबीजैौ శ్రీgట్ర তিনি বাধ্য হইয়া মাঘোৎসবে মন্দিরে উপাসনা করিতে বসিলেন। কিন্তু তাহার উপাসনা হইল আত্মসমাহিত যোগভাব, কাজেই এইরূপ উপাসনা করিতে গিয়া তিনি কিছুই বলিতে পারিলেন না, কেবল দেখিলাম তাহার সমস্ত শরীর কদম্ব-কোরকের মত বিকশিত ও নিৰূম দ্বীপের মত উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিল । খানিকক্ষণ বসিয়া তিনি উঠিয়া আসিলেন। আমরা সেদিন এমন একটি চিন্ময় পূর্ণতার ছবি প্রত্যক্ষ করিলাম যে কেহই আর বাঙ্ময় উপদেশের কোনো অভাব অনুভব করিলাম না । ভক্ত মহাত্মাদের চারিটি লক্ষণ সাধক রবিদাসের বাণীতে দেখিতে পাই । তাহারা ভাগবত যোগানন্দের সাক্ষাৎকার লাভ করেন, এবং তাহা পাইয়া জীবনের সকল স্থখ-দুঃখকে প্রিয়তমের প্রসাদরূপে জানিয়া সমস্তই আনন্দে গ্রহণ করেন । আপনার আস্তরস্থিত ভাব ও আদর্শকে জীবন ও কৰ্ম্মরূপে রচনা করিয়া তাহারাও একটি নূতন জগৎ হষ্টি করিয়া যান। অবশেষে জগজ্জননীর সকল শাস্তিহরণ মৃত্যুক্রোড়ে প্রাস্ত শিশুর মত সহজে চরম সুপ্তি ও শাস্তি লাভ করিয়া পরম চরিতার্থতা লাভ করেন । भिद्ध &थमांभ श्रृंथ भूथं शरैश् cछांश्न पत्रांमन्न नभांश् ि॥ ভাৱরাপ রবি চৈ মাতু সঙ্গ মৃত্যু জাহি ॥—রবিদাস, সাধঞ্চলক্ষণ । জীবন ভরিয়া তিনি মুখ-দুঃখে ছিলেন অনাসক্ত । নিশ্চয়ই তাহার জীবনের মৰ্ম্মমূলে এমন একটি ভাগবত প্রেম ছিল যে সবই তিনি প্রিয়তমের প্রসাদরূপে গ্রহণ করিয়া ধন্য হইয়াছেন । তিনি কম রচনার দ্বারা নূতন স্বষ্টি করেন নাই বটে, কিন্তু তাহার ধ্যানরসিক জীবনটিই তাহার অপূৰ্ব্ব স্বষ্টি। রজ্জবজীর মত র্তাহার জীবন সম্বন্ধে বলা যায়--কোনো কোনো সাধক বাহিরের কোনো কলা বা সৌন্দর্য্যকে স্বষ্টি না করিয়া আপন জীবনটিকেই একটি পরম সুন্দর রচনার মত হষ্টি করিয়া তোলেন— ধ্যান ভরি কোই সংত জন মুচৈ জীবন মাহি । ইতিপূর্বেই বলা হইয়াছে কেমন করিয়া তাহার ধ্যানময় জীবনের অবসানে মাতৃক্রোড়ে সুপ্তি-শাস্তি-ব্যাকুল শিশুর মত তিনি মৃত্যুরূপ। জগজ্জননীর কোলে গিয়া আপনাকে বিলীন করিয়া দিলেন । জন্মদিনের চিঠি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর দিছু দাদাজি চিরঞ্জীকেষু রবি মূবে বসিবে পাটে । অবতরণিকা মিটাইব সাধ তোমায় হেরি পাইয়া ষে দিন সাধের নীতি শুভকাজে হেন ক’র না দেরি ফুলিল দাদার বুকের ছাতি কহিতু তোমায় সাটে । f সেই দিন আজ দেখা দিয়েচে । যতদিন বাচি বরষ বরষ দিহু দাদাজির গুণ অসীম । এমনি মুদিনে গজাইবে রস গানে তানসেন, আকারে ভীম নীরস শরীরে মোর চিরজীবী হয়ে থাকুক বেঁচে । ইহারি আশায় দাদা এ তব নিমন্ত্রণপত্র বছরের পর বছর নব আনন্দ দিয়ে দাদার নয়নে থাকিবে হরষে ভোর ॥ দলবল সাথে বসিবে ভোজনে [ দিনেশ্রনাথ ঠাকুরকে লিখিত ]