পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وان هسط সম্পর্কে হয় নাই, অবশু কৃষ্ণকে বাদ দিয়া। মটরাজের তাণ্ডবনৃত্য ষে রসিক ও ঐতিহাসিক সমাজে একটা সাহিত্য-তাগুবের স্থষ্টি করিয়াছিল তাঁহা বোধ হয় নটরাজের প্রেরণাতেই হইয়াছিল এবং তঁহার প্রতি উদ্দিষ্ট অর্থ্য স্বৰূপ। গ্রায় ত্রিশ বৎসর আগে স্বপ্রসিদ্ধ মূৰ্ত্তিতত্ত্ববিদ ট. এ. গোপীনাথ রাও নটরাজের সম্বন্ধীয় আলোচনার মালমশলা সংগ্রহ করেন। তাছাই ব্যবহার করিয়া ডাঃ কুমারস্বামী ১৯১২ খ্ৰীষ্টাব্দে একটি প্রবন্ধ লেখেন । পরে গোপীনাথ রাও নিজেও তাহার গ্রামাণিক গ্রন্থে বিশেষ জালোচনা করেন । এই আলোচনার ঢেউ পাশ্চাত্য দেশেও গিয় লাগে । সেখানে প্রথম মটরাজের অভ্যর্থনা হয় অত্যন্ত বিরূপ ভাবে-কেহ কেহ বলেন ইহা বৰ্ব্বর শিল্পের পরিচায়ক । এইরূপ যখন অবস্থা তখন অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ভাবে স্বপ্রসিদ্ধ ফরাসী ভাস্কর রোদা এই মূৰ্ত্তির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন, তিনি শিল্পী হিসাবেই ইহার সৌন্দর্ঘ্য বিশ্লেষণ করেন। তাহার পর হইতেই পাশ্চাত্য সমাজে নটরাজ গৌরবের আসন পাইয়াছেন। ঐযুক্ত অর্থেজকুমার গাজুলীও দাক্ষিণাত্যের ধাতুমূৰ্ত্তিগুলির জালোচনায় নটরাজের ব্যাখ্যা করেন । হাভেল ও রোজেনৃস্টাইন এই মূৰ্ত্তির গ্রহগু বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছেন। বাংলা দেশে প্রথম ডাঃ সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ মহাশয় ১৩১৮ সালের "ভারতী’তে একটি প্রবন্ধে বলেন ষে উত্তর-ভারতে কোথাও এই মূৰ্ত্তি দেখা যায় না, দক্ষিণভারতে শুধু চিদম্বরমে এইরূপ মূৰ্ত্তি আছে । ঐযুক্ত ধোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত এই কথার প্রতিবাদ করেন ও একটি ভগ্ন মুক্তির চিত্র প্রকাশ করেন এবং বাদাম্ববাদ চলিতে থাকে। “প্রবাসী’তেও কয়েকটি প্রবন্ধে দেখান হয় যে বঙ্গদেশে এরূপ মূৰ্ত্তি প্রচলিত ছিল। পরে ক্রমে ক্রমে বঙ্গদেশও নটরাজের দেশ বলিয়া স্বীকৃত হর । و& পুরাণে ও শিল্পশাস্ত্রে যেরূপভাবে নটরাজের মূৰ্ত্তি বর্ণনা করা হইয়াছে তাহার উদেহু একটি তালিকা দেওয়া, অর্থাৎ উহা পরিধান এবং অঙ্গভঙ্গির নামের সমষ্টি মাত্র। তাহাতে ॐवांजौ শিবের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, জাভরণ- , 8૭8૭ ভাব-যোজনার কোন অবসর নাই। এমন চমৎকার বিষয়বস্তু প্রেষ্ঠ কবির কল্পনাকে উদ্ধ করিবার পক্ষে উপযুক্ত, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহার সদ্ব্যবহার খুব বেশ হয় নাই। দক্ষিণ-ভারতের শৈব-আগম-গ্রন্থগুলিতে নটরাজের যে ধ্যান ও বর্ণনা আছে তাহাতে কিছু কিছু সাহিত্যরস থাকিলেও দার্শনিকতার চেষ্টাই বেশী। এক দিকে শিল্পশাস্ত্র ও অন্যদিকে আগম এই দুইয়ের বহির্ভূত গ্রন্থেও কোথাও কোথাও আমরা মটরাজের আবাহন দেখিতে পাই, তাহা যেখানে সাহিত্য হইয়া উঠিয়াছে সেখানে উপভোগের বস্তু বলিয়া গণ্য করা ধায় । বিশেষ করিয়া স্তোত্র-সাহিত্য নটরাজের বর্ণনায় এমন একটি সৌন্দর্ঘ্যের দিক দেখাইয়াছে ঘাহা সাধারণত সাহিত্যে দেখা যায় না । স্তোত্রে গাম্ভীর্ঘ্য ও শাস্তভাবই আমরা আশা করি, কিন্তু নটরাজের স্তোত্রে আমরা ভাষা ও ভাবের এমন একটি গতিবেগ অস্তুভব করি যাহা আমাদের মনকে ও দেহকে মৃত্য তালে জাগাইয়া ও মাতাইয়া তোলে। আগমের দার্শনিক তত্বের কঠোরতার মধ্য দিয়া সময় সময় জগৎ-কাব্যের মূল-ছন্দের আভাস ফুটিয়া উঠে । ভারতের প্রাচীন যুগে প্রচলিত গল্পগুলির এক ংগ্রহের নাম “কথা-সরিৎসাগর” । ইহার রচয়িতা কাশ্মীরের সোমদেব ভট্ট । তিনি তাহার গ্রন্থের কথাপীঠের আরম্ভেই শিবের সন্ধ্যানুত্যের উল্লেখ করিয়াছেন— শ্ৰিয়ং দিশতু ব: শস্তো; শ্যামঃ কণ্ঠে মনোভুবা । অঙ্কস্থপাৰ্বতীদৃষ্টি-পাশৈরিষ বিবেষ্টিতঃ ॥ সন্ধ্যান্বত্তোৎসবে তারা করেণোয় বিশ্বজিং। শীৎকারগীকরৈরঙ্গা: কল্পয়ল্লিব পাতু বঃ ॥ —কথা-লরিৎ-সাগল্প—-১ম গম্বক, ১ম তরঙ্গ, ১ম ও ২য় শ্লোক একটি শিব-তাগুব স্তোত্র প্রচলিত আছে যাহা রাবণের দ্বারা রচিত বলিয়া কথিত হয়। এই স্তোত্র কাশীতে বিশ্বনাথের সন্ধ্যাকালীন আরতির সময় গীত হয়। ইহার ছন্দ ও ভাষা নৃত্যের বর্ণনার কিরূপ উপযোগী তাহা ইহা পড়িলেই বুঝা যায়। জটাটী-গলজল-প্রবাহ-প্লাবিত-স্থলে গলেছবলখ্য লম্বিতাং ভূজঙ্গতুঙ্গমালিকাম্।