পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਂ জর হয়েছে আগের দিন তাপযন্ত্রে উত্তাপ ১০৪ ডিগ্ৰী উঠেছে। সকলেই ব্যস্ত, বাবামশায় নিশ্চিন্ত, কবিত আওড়াচ্ছেন, আমাকে ধরে বসিয়ে কবিতা লেখtaga বেপরোয় ভাবে । ভোরের সময় স্বানট। সকলের সেই দিকে চিন্তা, চলবে না, তাহ’লে জিদ বাড়বে। রাতে চাকরকে বলে রাখা হ’ল, দেখিয যদি ভোরে মানের জন্য উদ্যোগী হন তাড়াতাড়ি খবর দিস, এসে পড়ে যদি থামান যায় চেষ্টা করা যাবে। যথাসময়ে স্নানে উঠছেন, গতিক বুঝে তাড়াতাড়ি চাকর এল লুকিয়ে খবর দিতে । মানুষের সাড়া পেয়ে মুস্থ স্তর মধ্যে প্রকাগু বড় একটি মধ্যে ঝুপ করে গিয়ে ব’সে পাছে লোক এসে স্নানের বিঘ্ন সামলাতে হবে নিষেধ কর। জলভর! টবের পড়লেন বাবামশায়, ঘটায় ভেবে । স্নানশেষে কম্বল মুড়ি দিয়ে অভ্যস্ত নিয়মে খোলা বারানায় গিয়ে বসলেন যেন অনুথের চিহ্নমাত্র নেই শরীরে এমনিতর ভাবখান। আমাদের মুখের ভৗত ও চিন্তিত ভাব দেখে বললেন রোগের জন্যে ভাবে কেন, আমি নিজের চিকিৎসা নিজে খুব ভাল জানি । বদ্যি ডেকে নাড়ী টেপাবার কোন দরকার নেই। ঔষধপথ্য সব আমার নিজের মতে চলবে । যাও খিচুড়ি তৈরি কর গিয়ে । চায়ের পেয়ালা বসাবার এক নূতনতর কায়দা ছিল বাবামশায়ের—এক খণ্ড কাঠের মাঝখানট গৰ্ত্ত করে তাতেই পেয়াল বসানো থাকত। পিরীচের উপর পেয়ালা রেখে চ খেতেন না কোনো দিন। ভালোলাগার এই সব মৃত্তনত্ব ছিল তার সকল ব্যাপারে। ভোরের বেলা বেড়াবার সময় প। ফেলতেন সংখ্যা গুণে । সেই সময় সামনে গিয়ে কেউ কোনো কথা বলে সংখ্যা গণনায় বাধা ঘটালে চটেমটে ব’লে উঠতেন, জালালে দেখছি, আবার গোড়া থেকে গুণতে হবে। কাণ্ডজ্ঞান নেই তোদের, এ সময় আসিস্ কেন ? দু-বেলা খাবার সময় একটা না লেগেই থাকত। কখন কি খুৎ বেরোয় ভয়ে সকগণ তটস্থ থাকতে হত। মোচার ঘণ্ট মুখে দিয়ে গরমমশলার গন্ধ পেলেই হুলুস্তুল—কোথা থেকে কতকগুলো মাথা-ঘসা বেঁটে মোচার ঘণ্টে ঢুকিয়েছ। কিছু জান একটা গোলযোগ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ۹ لاسوا দ্বিজেন্দ্রনাথের সহধৰ্ম্মিণী সৰ্ব্বমুমারী দেবী না কি করে রাধতে হয় । লেখাপড় শিখেছ সব মাথা আর মুণ্ডু। আমার ঠাকুরমা দিদিমা কি রকম মোচার ঘণ্ট রোধে খাইয়েছেন তেমনটি আর খেলুম না। তোমরা তেমন চক্ষেও কখনো দেখ নি। বৈকালে গরম লুচি ভেজে সামনে এনে দিয়েছে। লুচিতে হাত ঠেকিয়েই বললেন, এ কি লুচি, ঘি চপচপ করছে লুচির সারা গায়ে, আমার হাত মৃদ্ধ নষ্ট হ’ল ঘি লেগে। লুচির প্লেট আমার হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ষাও জল দিয়ে লুচি ভেঙ্গে আনো। ঘি দিয়ে বুঝি আবার