পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਗ অ-বাঙালীদের নিকট হইতে । ইহা বাংলা দেশ ও বাঙালী জাতির পক্ষে গৌরবের বিষয় নহে। বাঙালী কেহই কিছু টাকা বিশ্বভারতীকে দেন নাই, এমন নয় ; কিন্তু বাঙালীদের দান সামান্য। আমরা অহঙ্কার করিবার সময় বিশ্বভারতীকে বাঙালী জাতির কীৰ্ত্তির ফর্দে ধরি ; তাহার কারণ তাহাতে কোন খরচ হয় না—প্রশংসা খুব সস্ত দান, বিশেষতঃ যখন তাহা আত্মপ্রশংসার রূপান্তর। যে-সকল বাঙালী ও অন্য অধ্যাপক অল্প বেতনে বিশ্বভারতীর আস্তরিক সেবা করিয়া গিয়াছেন এবং এখনও যাহারা করিতেছেন, তাহাদের সেবা মূল্যবান । রবীন্দ্রনাথ একদা স্বভাষবাবুকেও বিশ্বভাবতীর পার্থে ও পশ্চাতে দাড়াইতে আহবান করিয়াছিলেন। তখন স্বভাষবাবু কবিকে এই উপদেশ দিয়াছিলেন যে, বিশ্বভারতীর মধ্যে সত্য ধাহ! তাহ। অবশ্যই টিকিবে । বোধ হয় এক্ট তত্ত্ব অনবগত ছিলেন না । কবি বাঙালী মুসলমানদের বিজ্ঞান শিক্ষা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত সমাবর্তন সভায় তাহার ভাইস চ্যান্সেলার থান বাহাদুর আজিজুল হক মুসলমান ছাত্রদের বিজ্ঞান শিক্ষা সম্বন্ধে বলেন – অতঃপর তিনি মুসলেম ছাত্রগণের ৮৮ শিক্ষার সমস্ত" কথা BBK BggS S BB BS BBBBBB BBB BBB BB BBBS00 যে গষ্ট দশ বৎসরে গড়ে ম}ত্র ৯৬ গণ মুপদেশ ছাত্র আই. 4મfમ. পরীক্ষা পাস করিয়াছে অথচ হিন্দু ছাত্র পাস করিয়াছে বৎসরে গড়ে ১৬৪৫ জন । মুসলমান বি.এসসি ৮, হিন্দু বি. এলুসি -১ জন। গত ছয় বৎসরে মোট ১৪ জন মুসলমান ছাত্র এম. এসসি. পাস করিয়াছে, সেই স্থলে হিন্দু পাস করিয়াছে ৩৫০ জন। মুসলমান ছাত্রগণ যাহতে অধিক সংখ্যায় বিজ্ঞান পড়ে তাহার জষ্ঠ অবিলম্বে চেষ্টা করা কৰ্ত্তবা। তাহা নিশ্চয়ই করা উচিত। কিন্তু বৈজ্ঞানিক-জ্ঞানসাপেক্ষ সরকারী চাকরীগুলিরও শতকরা ৫০টি এখন মুসলমানদের ন্যায্য প্রাপ্য বটে কি ? কংগ্রেস ওআর্কিং কমীটির একমাত্র প্রস্তাব পাটনায় কংগ্রেস ওআর্কিং কৰ্মীটির যে একমাত্র প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে, প্রকাশ রামগড় কংগ্রেসে কেবল সেই প্রস্তাবটিই উপস্থাপিত হুইবে । তাহার অস্থবাদ নীচে দেওয়া হইল। বিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেস ওআর্কিং কৰ্মীটির একমাত্র প্রস্তাব bペQ ইউরোপীয় যুদ্ধ এবং তৎসংক্রান্তু ব্রিটিশ নীতির ফলে যে গুরুতর এবং সঙ্কটজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হইয়াছে তাহ বিবেচনা করিয়া, এই কংগ্রেস, নিখিল ভারত কংগ্রেস কর্মীটি এবং কংগ্রেস ওআর্কিং কৰ্মীটি কর্তৃক্ষ গৃহীত যুদ্ধকালীন অবস্থা সংক্রান্ত প্রস্তাব অমুমোদন ও সমর্থন কলিতেছে । ভারতে জনসাধারণের সম্মতি বাতিরেকে ভারতকে যুদ্ধরত দেশ বলিয়। যে ঘোষণা করা হইয়াছে এবং এই যুদ্ধে ভারতীয় সম্পদ শোষণ করার যে নীতি অবলম্বিত হইয়াছে, এই কংগ্রেস ওtহাকে ঔদ্ধত্যব্যঞ্জক ও অপমানজনক ফলিয়। মনে করে । অক্সিসন্মানশীল ও স্বাধীনতাপ্রিয় কোনও জাতি তাহ সমর্থন বা বরদস্তি করিতে পারে না । ব্রিটিশ গবন্মেন্টের পক্ষ হইতে ভারতবর্ষ সম্পর্কে সম্প্রতি যে ঘোষণা করা হইয়াছে, তাহতে প্রমাণিত হয় যে, প্রধানতঃ সাম্রাজ্যবাদী উদেখাসাধন কল্পে এবং ভারতের এবং এশিয়ার ও আফ্রিকার অস্থান্ত দেশের জনসাধারণকে শোষণ করার নীতির উপর প্রতিষ্টিত সাম্রাজ্য সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করার উদেখে ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট এই যুদ্ধ পরিচালণ। করিতেছেন । এইরূপ অবস্থায়, ইহা অতি সুস্পষ্ট যে, প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরোক্ষভাবে কোনও প্রকারেই কংগ্রেস এই যুদ্ধে পক্ষভুক্ত হইতে পারে না । কারণ এই যুদ্ধেয় দেগুই হইতেছে--সাম্রাজ্যবাদী শোষণ ঘঞ্জীয় রাখা । অতএব এই কংগ্রেস গ্রেট ব্রিটেনের পক্ষ হইয়া যুদ্ধ করিবার জগু ভারতীয় সৈন্থ প্রেরণ এবং যুদ্ধের উদ্দেশ্বে ভারতবর্ষ হইতে সৈন্ত ও সমরসস্তার সংগ্রহ কোনক্রমেই অনুমোদন করে না। কংগ্রেস ऎठंश्iश्ब्र ঘোরতর প্রতিবাদ করে । ভারত হইতে ষে সৈন্থ ও অর্থ সংগ্রহ করা হইতেছে, তাহ। ভারতের স্বেচ্ছাকৃত দান নহে। কংগ্রেস কশ্মিগণ এবং যাহাৰ কংগ্রেস ध्रुींद्रt প্রভাবন্বিত র্তাহারা যুদ্ধপরিচালনায়, সৈন্ত, অর্থ অথবা সমরসস্তার দ্বার সাইধ করিতে পারেল না । কংগ্রেস এতদ্বারা পুনরায় ঘোযণা করিতেছে যে পূর্ণ স্বাধীনতা অপেক্ষ কম কিছু ভারতের জনসাধারণের গ্রহণযোগ্য হইতে পারে না। ভারতের স্বাধীনত কদাচ সাম্রাজ্যবাদের গণ্ডীর মধ্যে থাকিতে পারে না। সমাজবাদের কাঠামোর অন্তর্গত ওপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন অথবা অস্ত কোনও শাসনপদ্ধতি ভারতের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অপ্রযোজ্য। प्लेश কোনও প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন জাতিয় মর্যাদায় সহিত সমঞ্জীভূত নহে। ঐরাপ শাসন-ব্যবস্থায় ভারতকে বদ্ধ প্রাকারে ব্রিটিশ রাজনীতির এবং অর্থ ণৈতিক ব্যবস্থার অধীন থাকিতে হইবে । একমাত্র ভারতের জনসাধারণই, প্রাপ্তবয়স্কদিগের ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত গণপরিষদের মধ্যস্তৃতীয়, নিজেদের শাসনতন্ত্র যথাযথভাবে গঠন করিতে এবং জগতের অষ্টাঙ্গ রাষ্ট্রের সহিত তাহাদের সম্বন্ধ স্থির করিতে সমর্থ। কংগ্রেসের আরও অভিমত এই যে, সম্প্রদায়িক ঐক স্থাপনের জষ্ঠ কংগ্রেস পূর্বাপর যেমন প্রস্তুত ছিল, ভবিষ্যতেও সেইরূপ প্রস্তুত থাকিবে । তবে গণপরিষদের মধ্যস্থতা ভিন্ন স্থায়ী মীমাংস৷ সম্ভব হইবে না। সংখ্যাগুরু ও সংথ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের পারস্পরিক চুক্তি দ্বারা অপবা কোনও বিষয়ে মতভেদ স্থলে সালিশ ব্যবস্থার দ্বারা উক্ত পরিষদে যত দূর সম্ভব স্বীকৃত সংখ্যালনিষ্ঠদিগের ধার্থ ও অধিকার সম্পূর্ণ সংরক্ষিত থাকিবে। এতদ্ভিন্ন অন্ত কোনও বৈকল্পিক ব্যবস্থায় শেষ মীমাংস হওয়ার সম্ভাবনা নাই । ভারতের শাসনতন্ত্র স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তির উপব প্রতিষ্ঠষ্ঠ হইবে । কংগ্রেস ভারতকে খণ্ডিত করার বা তাহার জাতীয়তা বিচ্ছিন্ন করার সঞ্চপ্রকার প্রচেষ্টার তীব্র নিন করে y