পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (২) ঘবদ্বীপ-বাতাবিয়া—প্রথম পৰ্ব্ব ২১শে অগষ্ট ১৯২৭, রবিবার – <rsifat: : Tandjong Priok st:Ueteপ্রিওকু-এ যখন আমাদের জাহাজ পৌছুলো, তখন বেলা প্রায় আটট । দু' রাতের পাড়ীর পর সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজ আসছে, মস্ত জাহাজ, কাজেই খানিকট বাস্ততার সাড়া চা’র দিকে প’ড়ে গেল,—ষাত্রীরা মোট-ঘাট বেঁধে ঠিক হ’তে লাগল। আমাদের প্রাতরাশ ইতিমধ্যেই চুকে গিয়েছে ; মালপত্র ডেকের উপরে এক-জায়গায় শু পাকার করে রেখে, দূর থেকে যবদ্বীপের ভূমি দর্শন করবার জন্য রেলিং ধ’রে দাড়ালুম। সকালেই কাপ্তেনের সঙ্গে কবির বিদায় অভিভাষণ হ’য়ে গিয়েছে। আমাদের জাহাজে সেকেও ক্লাসে ভারতবর্ষ থেকে এক দল ইউরেশীয় ফুটবল খেলোয়াড় যাচ্ছিল ; তাদের মধ্যে জনকতকের খাকী শার্ট, আর ফুটবলের মোজা পরা–এর মালাইদেশ হয়ে ঘবদ্বীপ ফিলিপাইন দ্বীপ প্রভৃতি ঘুরে জাবার দেশে ফিরবে - আমাদের মোহন-বাগানের দল যেমন এক বার করেছিল । এদের কতকগুলো ছোকরা আর আধাবুড়ে খেলোয়াড়, ক'লকাতার ইউরেশীয়দের খুব-ভব্য-নয় এমন ধরণ-ধারণ নিয়ে আমাদের আশেপাশে এসে দাড়াল। জাহাজ ঘাটে লাগল, সিড়ি নামাচ্ছে, নীচে ডাঙায় রবীন্দ্রনাথের অভ্যর্থনার জন্ত বিরাট এক জনতা হয়েছে, ফুল-পাতা দিয়ে সাজানো বৃহৎ এক মোটর গাড়ী ‘ এনেছে, আর ফুলের মালা আর মস্ত মস্ত তোড়া হাতে ভারতবাসীর দল এসেছে—সিন্ধী, শিখ, তামিল, সিন্ধীই বেশী,— আর তা ছাড়া উচ, যবদ্বীপীয়, চীনা । এই ফিরিঙ্গী খেলোয়াড়ের দল বলাবলি ক’রতে লাগল— ‘ব্যাপারটা কি হে, লোকের ভীড় যে, কেউ বড় লোক এই জাহাজে যাচ্ছেন নাকি ৷” কবি তখন ভিতরে তার কামরাতে ফিরে গিয়েছেন। একজন ফিরিঙ্গী একটা ডচ ষাত্রীকে জিজ্ঞাসা ক'রে জানলে সমারোহের উপলক্ষ্য কে –রবীন্দ্রনাথের নাম শুনলে,—ফিরিজী খেলোয়াড়, ठांब्र खांन-८णंis८ब्रब दां विश्व-दूषिग्न cनौफ़ रुडछैोहे या হবে ; তাকে বুঝিয়ে দেবার জন্ত ডচ ভদ্রলোকটি বললেন He is the Bengali poet, if on twtū কবি -এসব দেশে বাঙ্গালী অর্থে ভারতীয়,কারণ Indian ব’ল্লে এদেশে ঘবদ্বীপীয়কেই বোঝায়। ভারতের ইউরেশীয়ান এই ভিতরের কথাটুকু বুঝতে না পেরে একটু আশ্চৰ্য্য হয়ে গেল, দূর থেকে চীৎকার ক’রে সে দলের আর পাচজনকে শুনিয়ে দিলে যে এত সব WT:sfērst F’tats for the Bcngali poet. atyä NAJ আপোষে একটু আলোচনা চ’লল কি ব্যাপারটা হচ্ছে । ইতিমধ্যে রবীন্দ্রনাথ বাইরে ডেকের উপরে এলেন—দুর থেকে একে দেখে এর চুপ করে শ্রদ্ধার সঙ্গে তার দিকে তাকিয়ে স্থান ক’রে দিয়ে স’রে গেল । সিড়ি লাগাতেই রবীন্দ্রনাথকে স্বাগত করবার জন্ত কতকগুলি ভদ্রলোক জাহাজে এলেন । আমরা অবতরণ করলুম। বাকে-গৃহিণী উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ব্যক্তিগণের মধ্যে, ডাক্তার Bosch বস্, ইনি ডচ, সরকারের নিযুক্ত দ্বীপময় ভারতের প্রত্ন-বিভাগের অধ্যক্ষ, প্রাচীন-ভারত-বিদ্যায় প্রবীণ, আর ডাক্তার Hocsein Djajadiningrat «Cwa soqfrfäe3Itè èfä এক জন অভিজাত ঘবদ্বীপীয় বংশের বিদ্বান, হুলাণ্ডে আইন অধ্যয়ন করেছেন, সংস্কৃত পড়েছেন, মালাই ভাষায় একজন বিশেষ জ্ঞানী পণ্ডিত, স্থানীয় আইনকলেজের অধ্যাপক-এরা এসেছিলেন ; এদের দুজনের নামের সঙ্গে পূর্বেই পরিচিত ছিলুম। আরও কে কে ছিলেন—পরে তাদের সঙ্গে পরিচয় হ’ল। “কাপ্তেন পাঞ্জাবী ব’লে সিন্ধীদের একটি মাতবরের সঙ্গে পরিচয় হ’ল। ডচ ভদ্রলোকদের সঙ্গে পরিচয়ের পর, সিঙ্গীদের দ্বারা কবিকে মাল্যদানের, ফুলের তোড়া দানের আর তার পদধূলি গ্রহণের ধূম লেগে গেল। স্থানীয় চীনাদের Tjong Hoa Kwe Kwan 'ast cạtsII c# ## সভার পক্ষ থেকে কবিকে ছুটে বিরাট ফুল-লতা-পাতার wreath বা মালা দেওয়া হ’ল, কবি এদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচিত হ’লেন। স্থানীয় ভারতবাসীর কবির জন্ত ষে সাজানো মোটর গাড়ী এনেছিল, তাতে তিনি উঠলেন না, সাধারণ একখানি গাড়ীতেই উঠলেন। মালপত্র Hotel des Indes যেখানে আমরা উঠবো সেখানকার লোকেদের