বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—দেশীয় রাজাদের ক্ষমতা ግ8© यांज । छांब्रउँौञ्च ब्रांखछयार्शब्र प्रांशेौन ७ चउज़ भङ হিসাবে ইহার কোনই মূল্য নাই। সেজন্ত এ কথাটা খুব স্পষ্ট করিয়া বলিয়া দেওয়া প্রয়োজন, যে, এই সকল বক্তৃত৷ হইতে আমরা যেন মনে না করি আজ আবার দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে আমাদের পূর্ণ স্বরাজলাভের পথে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট ছাড়া নূতন আর একটা প্রতিপক্ষ দাড়াইল। আমাদের প্রতিপক্ষ এক। দেশীয় রাজাদের বিরুদ্ধাচরণই হউক, মুসলমানদের প্রতিকূলতাই হউক, কিংবা অস্পৃশুদের অদূরদর্শী ইংরেজ পক্ষপাতিত্বই হউক, সকলেরই পিছনে এক জিনিষ। ব্রিটিশ গ্ৰভৰ্ণমেণ্ট ব্যতীত উহাদের নিজস্ব বিশেষ কোনও প্রেরণা, বোধ করি সত্বাও নাই। তাহ ছাড়া আর একটা বিষয়ও লক্ষ্য করিতে হুইবে । পাটিয়ালা প্রভৃতি ক্ষুদ্র রাজারা যাহা বলিয়া থাকেন, মহীশূরের মহারাজা, নিজাম, বড়োদার মহারাজ, কাশ্মীরের মহারাজা প্রমুখ ভারতবর্ষের রাজন্তবর্গ তাহাতে বড়ু-একটা যোগ দেন না। দেশীয় রাজাদের ভারতবর্ষে একটা আলষ্টার স্বষ্টি করিবার ক্ষমতা আছে কি ? কিন্তু পাটিয়ালার মহারাজা যদি মাত্র কয়েক লক্ষ শিখের প্রজাপীড়ক বলিয়া অভিযুক্ত শাসক ন হইয়া এক জন বড় রাজা হইতেন এবং তিনি ধদি সমস্ত দেশীয় রাজাদের প্রতিভূ হিসাবে এই কথাগুলি বলিতেন, তাহা হইলেও আমাদের ভয়ের বিশেষ কোন কারণ ছিল না । ভারতবর্ষীয় রাজাদের ভারতবর্ষের মধ্যে আর একটা আলষ্টার স্বষ্টি করিবার ক্ষমতা নাই। কেন নাই, সে কথা বিস্তারিতভাবে বলা প্রয়োজন। পাটিয়ালার মহারাজা বলিতেছেন, "সম্প্রতি ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পূর্ণস্বরাজ এবং গ্রেট ব্রিটেনের সহিত সম্বন্ধবিচ্ছেদকেই তাহাদের লক্ষ্য বলিয়া স্থির করিয়াছেন । • • • আমার মনে হয়, কংগ্রেসের নেতারা স্বাধীন ভারতবর্ষ বলিতে সমগ্র ভারতবর্ষই বোঝেন এবং বিশ্বাস করেন, যে, স্বাধীন ভারতবর্ষের অধিকার দেশীয় রাজ্যগুলির উপরও খাটিবে। আমরা দেশীয় রাজ্যের অধিবাসীরা-রাজা এবং প্রজা উভয়েই--আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়া উহার - سید عsar বিরুদ্ধাচরণ করিব। সন্ধির সর্ভার্চুযায়ী স্থায়ত: शकtउ: उषांभब्रl cयु-शृकल दकtन पञांभद्रां यांदक्र डॉश অগ্রাহ করিবার উপায় আমাদের নাই।...আমরা কোনও ব্যক্তিবিশেষের, সে ব্যক্তি যতই উচ্চপদস্থ হউক না কেন, কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের, সে প্রতিষ্ঠান যতই শক্তিশালী হউক না কেন, আদেশে এই সকল বন্ধন কিছু নয় বলিয়া উপেক্ষা করিতে পারিব না। এই প্রসঙ্গে আমরা আর একটা কথাও জিজ্ঞাসা করিতে চাই, কংগ্রেসের দেশীয় রাজ্যসমূহের পক্ষ হইতে কোনও কথা বলিবার কি অধিকার আছে . “আমরা মনে করি এখন সেই সময় আসিয়াছে যখন স্পষ্টভাষায় আমাদের বলা উচিত, যে, যদি গ্রেট-ব্রিটেনের সহিত ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবধ কোনও সম্বন্ধ ন রাখে, তবে আমাদের—দেশীয় রাজাদের পক্ষেও ব্রিটিশ ভারতের সহিত কোনও সম্বন্ধ রাখা সম্ভব হইবে না।... “দেশীয় রাজ্যের রাজা ও প্রজা কাহারও ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক উন্নতিতে বাধা দিবার ইচ্ছা নাই । সে-দেশের যে কোনও গুtষ্য রাজনৈতিক দাবীতে যে আমাদের সহানুভূতি আছে একথা আমরা অনেকবার বলিয়াছি । আমরা ইহার উপরেও কিছু দূর যাইতে প্রস্তুত—ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে বাহারা বর্তমান ধারা অবলম্বন করিয়া বৰ্ত্তমান ভিত্তির উপর, রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করিতে চান, তাহাদের সহিত সহযোগিতা আমরা করিব। কিন্তু আমরা কখনও পূর্ণস্বরাজরূপ আলেয়ার অনুসরণ করিব না।. “যদি ভারতবর্ষের জাতীয় আন্দোলন, ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় ঐক্য সাধনের উদ্বেপ্তে দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব নাই বলিয়া ধরিয়া কাজ করিতে অগ্রসর হয়, তবে সমগ্র দেশের পক্ষে দুদিন আসিয়াছে বলিতে হইবে ; কারণ আমরা তখন আমাদের অধিকার-রক্ষার জন্তু আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিতে দ্বিধা করিব না । তখন আমরা যে-সকল উপায় অলবম্বন করিব, তাহার দায়িত্ব আমাদের উপর আরোপ করিলে চলিবে না। সে দায়িত্ব তাহদের, যাহারা আমাদিগকে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিতে বাধ্য করিবে ।”