পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ করেন, তিনি কাশী হইতে আসিয়া প্রথমে কর্ণবতী (কেন) নদীতীরে তপস্যা এবং তাহার পর থলুরপুরে যাষ্টয়া সেই স্থানের ভূম্যধিকারীর প্রাসাদে পুত্ররত্ন প্রসব করেন এবং পুত্র পার্শ্বনাথ মঞ্জির যোড়শবযায় প্রাপ্ত হুইবার পর তথায় ভাণ্ডব যজ্ঞ করেন, ইহাও উক্ত পুস্তকে পাওয়া যায়। ঐ ভাণ্ডব ধজ্ঞের ৮৪ বেলী খজুরাহের মন্দির সমূখ, যাহার মধ্যে অনেকগুলি কালের বজ্ৰ প্ৰহারে বিনষ্ট বা বিনষ্ট প্রায় হুইয়া গিয়াছে । কিন্তু যে চল্লিশটি এখনও জীর্ণ বা ভগ্নপ্রায় হইয়া রঙ্গিয়াছে হাদের বিরাট আকার, নিৰ্ম্মাণ কলা এবং অতুপম কাঞ্চবৈচিত্র্য দেখিয়া কলাবিদগণ আশ্চযাilম্বত হন । ভারভের অন্য কোনও স্থলে এতগুলি বিশালকায় এবং শিল্পগুণসম্পঃ মন্দির একত্রে নাই । ধজুরাহের মন্দির সকল শিল্পশাস্ত্র অনুসারে নিৰ্ম্মিভ এবং তাহার মধ্যে অনেকগুলি মন্দিরই পঞ্চাঙ্গে সম্পূর্ণ। ঐগুলি আধা-শিল্পের মুক্ত উদাহরণ এবং উহাতে প্রাচীন ভারতের ধৰ্ম্ম ও সামাজিক জীবনের জাজ্জ্বল্যমান প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, లిరిలో [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড চিত্র পাণ্ডয়া যায়। ঐগুলিতে আমাদের পূর্বকালের গৌরব, মহত্ত্ব এবং বৈভবের অক্ষয় স্মৃতি নিহিত রষ্টিয়াছে । যশোবন্ম। ধংগদেব, কীৰ্ত্তিবৰ্ম্ম, মদনবন্ম ও অন্য নরেশগণের উৎকর্ষকাল ইহারা দেখিয়াছে—যখন তাহাদের বিজয়-বৈজয়ন্তী সমগ্র ভারত নিনাদিত করিয়া ফিরিত । আবার চন্দেল বংশের দুৰ্দ্দিমও এক্ট খজুরাহার মন্দিরসমূহের সম্মুথে প্রবাহিত হইয়া গিয়াছে । অত্যাচারী অর্থ-পিশাচ মহমুদ গজনবী ও অন্যান্য ধৰ্ম্মান্ধ বিজেতার হস্তে প্রজাহতা, সম্পদলুণ্ঠন ও ধৰ্ম্মস্থানের দুৰ্গতি ও ইহারা দেপিয়াছে । ১২০০ খৃঃ চন্দেল রাজ্যের প্রধান নগর কালিঞ্জরে প্রচণ্ড হত্যাকাণ্ড ঘটে এবং পঞ্চাশ হাজার স্ত্রীপুরুষ ও শিশু বন্দী অবস্থায় ক্রীতদাসত্বে বিক্রীত হয় । পুথিবী নিরপরাধের রক্তে রক্তিম হুইয়া যায় এবং হিন্দুধৰ্ম্মনাশের যৎপরোনাস্তি চেষ্ট হয় । প্রজাদিগের সম্পত্তি লুণ্ঠন, গুহে অগ্নিক্ষেপ, মন্দির ও মূৰ্ত্তি ধ্বংস ইত্যাদি অত্যাচারে এই নন্দনকানন শ্মশানে পরিণত হয় । কেবলমাত্র এই পৰ্ব্বক্তাকাৰ বিশাল খজুরাহা বিচিহশালার দ্বার মন্দিররাজি বিজেতার অপারগভায় ধ্বংসের মুখ ইহঁতে ৭ রক্ষ পাইয়াছে । ইহাদের অভূতপূৰ্ব্ব সৌন্দয্য দর্শনে ঐ বৰ্ব্বরদিগের হৃদয় টলিয়াছিল কিংব। এই স্থলে বীরগণের