পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] খজুরাহ なぐ) পরাক্রমে উছার মন্দির ধ্বংসের পূৰ্ব্বেই লুঠতরাজ করিয়া প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্ত পাহির নামক ব্যক্তির লিপি আছে। পলাইয়া যায়। কোনটি রক্ষা পাইবার কারণ তাহা উক্ত লেখ সংবং ১•১১ বৈশাখ স্থদি সপ্তমী সোমবারে কেহ জানে না । লিখিত হয় । ইহাতে জিনদেবের মন্দিরের ব্যয়ের জন্ত পাহিল্প কত্ত্বক বহু বাটিকা দানের উল্লেখ আছে। ইহা সম্ভব যে, এই রূপে প্রদত্ত প্রাচীন কালে বিখ্যাত কোনও খজুর বাটিকা হইতে এই স্থানের নামের উৎপত্তি হয় এবং এইরূপ হওয়ার আরও কারণ এই যে, বুন্দেলখণ্ডে খচ্চর বা তালের বিশেব বাহুল্য নাই । মৃতরাং অসাধারণ কোনও বৃক্ষের কুঞ্জ বা বাটিকা হইতে সেই স্থানের নামকরণ হওয়া স্বাভাবিক। আমি ইহাও জানিতে পারিয়াছি যে, অতি প্রাচীন কালেও এই স্থানের পুণ্যময় বিশ্বনাথ মুঙ্গির তীর্থ বলিয়া থ্যাতি ছিল ; ধেমন ইতিহাসকারের লেখায় পাওয়া যায় যে, প্রাচীনকালে খজুরাহের চতুদিকে দুর্গপ্রাকার ছিল । নগরের মুখ্য দ্বারের দুইপাশ্বে স্বর্ণময় খঙ্গ রবৃক্ষ স্থাপিত ছিল, যে কারণে ইহার নাম খর্জ,রবাহ অথবা খজুরপুর হয় । কিন্তু এই কথা মনোকল্পিত বলিয় মনে হয়, কেননা আমি বিশেষ ধত্বের সহিত খজুরাহের চতুদ্ধিক অঙ্গুসন্ধান করিয়৷ দেখিয়াছি, কিন্তু সেই প্রকারের ভিত বা বুনিয়াদের কোন চিহ্ন খুজিয়া পাই নাই। খজুরাহের চিহ্ন কুঠারনালার অন্যপারে জিটকরী গ্রাম পৰ্য্যন্ত আছে, সুতরাং এই প্রাকার (কোট) সাত আট মাইল পরিধির হওয়া উচিত। এইরূপ বৃহৎ প্রাকারের চিহ্ন পয্যন্ত লোপ হওয়া সম্ভব নহে । চনেল রাজাদিগের শিলালেগেও এই কোট ও স্বর্ণময় খঞ্জুর বৃক্ষের উল্লেখ নাই । মনে হয় এই স্থানে কোন সময়ে খঞ্জুর বৃক্ষের বাহুল্য ছিল, অথবা কোন বিশেষ খর্জুর বৗখিকা ( বাটিকা ) ছিল, যাহার দরুণ এই স্থলের পরিচয় খর্জুর দ্বারা দেওয়া হয়। থজুরাহাতে এক জৈন মন্দিরে মহারাজ ধংগদেবের গণেশ মূৰ্ত্তি