পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] গাতা `L তোমার মনে যদি এরূপ আশঙ্কা উপস্থিত হয় ষে পূর্ণজ্ঞানীর প্রতি এই-সব উপদেশ প্রযোজ্য, তবে তাহাও ভ্রান্ত বলিয়া জানিবে। অর্জনের দিব্যদৃষ্টিলাভের বহুপূৰ্ব্বেই শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়াছিলেন – छप्रांझसिर्छ cकोtखञ्च ! दूकान्न कृङनि-छब्र অতএব হে পুণ্ডরীক, সৰ্ব্বজ্ঞানী স্বয়ং ভগবান শুরুষ্ণের গীতোক্ত বাণী স্মরণ করিয়া তুমি শোক মোহ বর্জন কর : সনাতন কুলধৰ্ম্ম-পালনে কুভসঙ্কল্প হইয়া, ধৰ্ম্ম অর্জন কর । তুমি অতি পবিত্র মহান বংশের সস্তান ; সেই প্রাচীন বংশের কুলধৰ্ম্ম-স্বজ্ঞ কৰ্ত্তন করি ৪ না : - ভজে না কীবত্ব, নহে তব যোগ্য কদাচন হৃদয়-দৌৰ্ব্বল ক্ষুদ্র তাঞ্জি উঠ অরিন্দম ৷ ২is শুনিতেছিল । পিতৃমুখে গীতোক্ত সনাতন ধৰ্ম্মের উপদেশ শ্রবণ করিয়া তাহার মনের সকল দ্বন্দ্ব সূর্য্যালোকে অন্ধকারের ন্যায় অপস্থত হইল। রোমাঞ্চিত কলেবরে পিতার চরণ বন্দনা করিয়া পুণ্ডরীক বলিল : পুণ্ডরীক একাগ্রমনে সকল কথা মোহ গেল স্মৃতি এল অচ্যুত প্রসাদে ভব লগ্রেহ বিগত হ'ল তব অাজাকারী হব । ১৮৭৩ শববীলক উপাখ্যানে গীতার যে উপদেশ আছে, প্রকৃতপক্ষে কি গীতাশাস্ত্র ঐরূপ উপদেশ দেয় ? পুণ্ডরাককে নরহত্যায় উৎসাহিত করা ও অর্জনকে যুদ্ধে নিয়োজিত করা কি একই ব্যাপার ? অহিংসধৰ্ম্মী জৈন বা আধুনিক বৈষ্ণব সম্প্রদায় বলিবেন উভয়ের মধ্যে কোনষ্ট পার্থক্য নাই । শবরীলক যদি গীতাশাস্ত্রের যথার্থ উপদেশ দিয়া থাকেন তবে সাধারণ নরহত্যকারী, চোর, ঠগ, লম্পট প্রভৃতি সকলেই গীতার cमाझांडे निरब । श्राद्र *क्रँौलक बनि डून खे°zनल श्ब्रिा থাকেন, তবে সে ভূল কোথায় ? শীলক কথিত গীতায় শ্লোকগুলির যথার্থ মর্শই বা কি ? এই সমস্ত প্রশ্নের সন্তোষজনক সমাধান ব্যতীত গীতার কোন ব্যাখ্যাই গ্রাহ হইতে পারে না। - শব্বালকের উপাখ্যান মনে রাখিয়া গীতা ব্যাখ্যা করিতে হইবে। গীতার ব্যাখ্যাম আমি এই সকল প্রশ্নের সদ্বত্তর দিবার চেষ্ট করিব। - - - যুদ্ধক্ষেত্রে গীতার অবতারণা কেন ? iীতার উপদেশ সাংসারিক সৰ্ব্ব ব্যাপারেই প্রযোজ্য । গীতাকার তাহার বক্তব্য প্রচারের জন্য যুদ্ধের ঘটনার আশ্রয় লক্টলেন কেন, তাহাও ভাবিবার বিষয় । ভিনি ৰাথায় কথায় শ্ৰীকৃষ্ণের দ্বারা বলাইতেছেন,— তস্মাত্বমুত্তিষ্ঠ যশে লম্ভস্ব ক্তিত্ব শনত্ৰ ভুঞ্জ প্রাভ্যং সমৃদ্ধ । ১১৩৩ অর্থাৎ, অজ এব তুমি উঠ, যশোলাভ কর, শত্রু জয় কঞ্চিয়। সমুদ্ধ রাঞ্জা ভোগ কর । সমস্ত সনাতন ধৰ্ম্মশাস্ত্রের উপদেশের মুল উদ্দেশ্য আতাস্তিক দুঃখনিবৃত্তি । মোক্ষলাভের আগ্রহও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুঃখ-নিকুত্তির ইচ্ছা হইতেই উৎপন্ন। সাধারণে পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণের কষ্ট লইয়া মাথা ঘামায় না। এই জন্মেষ্ট সে যা কষ্ট ভোগ করে, তাহা হইতে উদ্ধারের উপায় সে চিন্তা করে। আতাস্তিক দুঃখ নিবৃত্তি হইলে রোগ শোক দুঃখ দারিদ্রা ইত্যাদি সকল কষ্ট্রেরই নিবৃত্তি হইবে আশা করা যায়। সংসারে থাকিলে কিছু-নী-কিছু কষ্ট সকলকেই ভোগ করিতে ইয়। এই কষ্ট নিবারণের জন্য নানা উপায় কল্পিত হইয়াছে। প্রাচ্য ও প্রতীচ্য দেশে সাংসারিক দুঃখনিবৃত্তির উপায়কল্পনার আদশের ধারা একেবারে বিভিন্ন। পাশ্চাত্যের শিক্ষা নিজকে সংসার-সংগ্রামের উপযোগী কর, পরের সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাহাতে নিজের অধিকার ও সত্তা অক্ষুণ্ণ থাকে তাহার চেষ্টা দেখ, জ্ঞানার্জন করিয়া প্রকৃতিকে নিজ স্থখস্বাচ্চন্দ্য-বিধানে নিয়োজিত কর – মোট কথা, পারিপার্থিক অবস্থাকে নিজের স্থবিধাকুধায়ী পরিবৰ্ত্তিত কর । সংসার-কণ্টকারণ্যের যতগুলি পার কণ্টক উৎপাটন কর। প্রাচ্যে যে এরূপ চেষ্টা নাই, তাহা নহে। তবে এখানকার সনাতন আদর্শ অন্তরূপ । ংসারের সমস্ত কণ্টক তুমি কিছুতেই দূর করিতে পারিবে না। কাজেই তোমার নিজেকেই এমনভাবে গঠন করিতে হইবে, যাহাতে কণ্টক তোমাকে না বেদন দিতে পারে। রাস্তার কঙ্কর সব দূর করিবার বৃথা চেষ্টা না করিয়া পায়ে জুতা পয়াই ভাল। এক জাদশে বহিঃপ্রকৃতির উপর প্রভুত্ব, এবং অপর আদর্শে