পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8b প্রতিশ্রুতি নিয়ে তবে ছেড়েছ। এখন আমি প্রতিশ্রুত, সুতরাং নিশ্চয়ই মথুরায় যাব।” এতক্ষণে যেন চন্দ্রগুপ্তের চমক ভাঙিল, তিনি উভয় হস্তে ধ্রুবদেবীর স্কন্ধ ধারণ করিয়া তীব্র চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “কি বললে ? তুমি মথুরায় যাবে? তুমি ধ্রুব, রুদ্রধরের কন্যা, সাম্রাজ্যের পটুমহাদেবী ? আমার অহুমতি চাও? ধ্রুব, আমি অনুমতি দেবার কে ?” ধ্রুবা। স্বামী, তুমি অল্পমতি না দিলে কে দেবে ? সত্য করেছি, সত্যরক্ষ কর প্রভূ । চন্দ্র । সত্য ? সমস্ত সত্য ঘোর মিথ্যা। সংসারের মধ্যে পুঞ্জীভূত মিথা, সত্য ও শাস্ত্রের আকার ধরে বেড়ায়। ধ্রুবা, বিশ্বসংসার জানৃত যে তুমি আমার । তোমার পিতা বৃদ্ধ মহানায়ক রুদ্রধর ধ্রুবাকে আমাকে দিতে বাগদত্ত হয়েছিলেন, দেবতা সাক্ষী, পাটলিপুত্রের লক্ষ নাগরিক সাক্ষী, আমার প্রাণ সাক্ষী। কিন্তু ধ্রুব, সংসারে সত্য আর ব্যবহারশান্ত্র কি বললে জান ? বললে, তুমি সাম্রাজ্যের যুবরাজের বাগদত্ত পত্নী, আমার নয়। ধ্রুবা । অসহ যন্ত্রণা, নারকীয় ব্যবহার, অশ্লীল ভাষা, সমস্ত সহ ক’রেও আমি তোমারই দাসী। রুচিপতি আমাকে উদ্যান-বিহারে ধরে নিয়ে যেতে চায়, তা শুনেও আমি তোমার চরণ ধ্যান করি। কিন্তু, কিন্তু, ঐ দাসীপুত্র রাজ, আমাকে মথুরায় যেতে অঙ্গীকার করিয়েছে। আমি রুদ্রধরের কন্যা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে পারব না।” চন্দ্র ধ্রুবা, পিতার মর্য্যাদা আর মাতার আদেশ স্মরণ ক’রে রক্তমাংসের হৃৎপিণ্ডটাকে জড় পাষাণ ক’রে ফেলেছিলাম, কিন্তু স্রোতের মুখে সে পাষাণ ভেসে গেল। ধ্রুব, তুমি জান, তুমি আমার কে। কিন্তু এখন তুমি মহারাজের বাগদত্ত পত্নী, আর আমি পথের ভিখারী। কিন্তু পথের ধূলায় কুকুরের মত পড়ে থেকেও নটর ভিক্ষালব্ধ অন্নে জীবন ধারণ করেও ভূলতে পারিনি ধ্রুব। আমার ।” সহসা কুমার চন্দ্রগুপ্তের কণ্ঠ রুদ্ধ হইল, আত্মসম্বরণ করিয়৷ যখন তিনি মুখ তুলিলেন, তখন ধ্রুবদেবীকে বুকে জড়াইয়া ধরিয়া দত্তদেবী নিঃশব্দে রোদন করিতেছিলেন। এক রামগুপ্ত ব্যতীত মন্ত্ৰগৃহের সকলেরই নয়ন অশ্রুসিক্ত । প্রবাসী—ফঙ্কিন, ১৩৩৮ שאא %א ויוטי "כפי L মাতার নয়নে অঙ্ক দেখিয়া চন্দ্রগুপ্ত চীৎকার করিয়া । বলিয়া উঠিলেন, “ম, ক্ষমা কর। তোমার আদেশে মুখের ক্রোড়ে লালিত রাজপুত্রের কোমল হৃদয় গঙ্গাজলে বিসর্জন দিয়ে উদরায়ের জন্য ভিক্ষা করি, কিন্তু তবু ভুলতে পারিনি যে, ধ্রুব আমার । জীবনে কখনও মদ্যপান করিনি, শেষে ধ্রুবাকে ভোলবার জন্তে আকণ্ঠ স্বরা পান করেছি, উন্মত্ত হয়েছি, কিন্তু অবশেষুে স্বরাও বলে দিয়েছে, ভোলা যায় না। নানা প্রকার অনাচার: করতে গিয়েছি, কিন্তু অশরীরী কুয়াসার মত স্বচ্ছ ব্যবধান আমার সম্মুখে এসে দাড়ায়, তা থেকে ধীরে ধীরে এবার অস্পষ্ট অপ্রতিম মূৰ্ত্তি ভেসে ওঠে, কিন্তু ম্পর্শ করতে গেলে আলোকে মিশিয়ে যায়। সেই ধ্রুব, সে আমি। আমি জীবিত থাকতে ধ্রুবা মথুরায়, যাবে ? অসম্ভব ম৷ ” দত্তদেবীর কোলে মুখ লুকাইয়া ধ্রুবদেবী বলিলেন, “কখনও তোমার আদেশ অবহেলা করিনি গ্রন্থ, কিন্তু তুমি আজ অনুমতি কর, এ পাপ পাটলিপুত্র নগর পরিত্যাগ করে যাই । দেবতা সাক্ষী, তুমি আমার স্বামী, কিন্তু তুমি ত আমাকে গ্রহণ করনি, বিপদে রক্ষা করনি ? তোমার জ্যেষ্ঠ, মহারাজাধিরাজ রামগুপ্ত আমার ভাস্কর । ङिनि निडा श्रांभांएक अनांथों बदलां cणार्थ अमृथों 6थभসম্ভাষণ করেন। তার মন্ত্রী রুচিপতি আমাকে উদ্যানবিহারে নিয়ে যেতে চায়। পিতা দেহের রক্তে ঐ আৰ্য্যপট প্লাবিত ক’রে পাপের প্রায়শ্চিত্ত ক’রে গেছেন - আমার কাছে এ পাটলিপুত্র নরক, এর তুলনায় মথুর স্বৰ্গ, তাই অঙ্গীকার করেছি মথুরায় যাব।” । চন্দ্রগুপ্ত অৰ্দ্ধক্ষিপ্ত হইয়া উঠিলেন, তিনি তীব্ৰকণ্ঠে রামগুপ্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ, আপনি কি ধ্ৰুবাকে মথুরায় যেতে আদেশ করেছেন ?” রাম। কি করি ভাই ? তোমরা কেউই ছিলে না । শকরাজ প্রবল, প্রয়াগ অধিকার করে বলে পাঠিয়েছে ষে ধ্রুবদেবীকে না পাঠালে পাটলিপুত্র ধ্বংস করবে। • চন্দ্র। কি ভীষণ কথা মহারাজ। এখনই শকরাঙ্গার এই ধৃষ্টতার সমুচিত প্রতিফল প্রদান করা উচিত। রাম। ভাই, রাজভাণ্ডার অর্থশূন্ত, সেনাদল বিশ্বম্বল,