পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ধ্রুবা ఆ8సి নাগরিকের বিশ্লোহী, ধ্রুবদেবীকে আজই মথুরায় না পাঠালে, পাটলিপুত্র। আর রক্ষা নাই। এক লম্ফে আৰ্য্যপটে আরোহণ করিয়া চন্দ্রগুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, “ধিকৃ তোকে ক্ষত্র কুলাঙ্গার, ধিক্‌ রামগুপ্ত, শত ধিক্‌ ! তুই কি ভেবেছিল যে চিরশত্রুর আদেশে কুলনারীকে মথুরায় পাঠিয়ে তুই চিরদিন নিশ্চিন্ত মনে পাটলিপুত্রের আধ্যপটে বসে থাকবি ?” ভয়ে রামগুপ্ত আৰ্য্যপট হইতে উঠিতে গিয়া গড়াইয়া পড়িয়া গেলেন এবং চত্রগুপ্ত র্তাহাকে হাত ধরিয়া উঠাইতে গেলে প্রাণভয়ে কাদিয়া উঠিয়া বলিলেন, “মেরে ম, প্রাণে মেরো না।” রামগুপ্তকে আবার সিংহাসনে বসাইয়া এবং সামরিক প্রথায় তাহাকে অভিবাদন করিয়া চন্দ্রগুপ্ত বলিলেন, “মহারাজাধিরাজের জয় ! আমি মহারাজের অতি দীন প্রজ, শ্ৰীচরণে আমার দুটি ভিক্ষা আছে।" রাম। ভিক্ষ কি তাই ? তুমি যা বলবে, তাই হবে। সাম্রাজ্য কি তোমারও পিতার সাম্রাজ্য নয় ? তোমার আদেশ এখনই নগরে নগরে প্রতিপালিত হবে। চন্দ্র। মহারাজ, প্রথম ভিক্ষ এই যে বংশের চিরশত্রুর আদেশে কুলবধূকে অরিপুরে পাঠিয়ে গুপ্তরাজবংশের উচ্চশির রাজন্তসমাজে অবনত ক’রে না। দ্বিতীয় ভিক্ষা, চন্দ্রগুপ্ত জীবিত থাকতে ধ্রুবার অঙ্গে হস্তক্ষেপ ক’রে না। রুদ্রধরের কষ্ঠ অঙ্গীকার করেছে যে, রাজাদেশে সে মপুরায় যাবে, সে অঙ্গীকার রক্ষা হবে কিন্তু আংশিক মাত্র, সম্পূর্ণরূপে নয়। ধ্রুবার বেশ যাবে, কিন্তু সে বেশে যাবে সমুদ্রগুপ্তের পুত্র, চন্দ্রগুপ্ত। মহারাজ, শকরাজার দূতকে ডেকে বলে দাও যে, মহাদেবী ধ্রুবদেবী সন্ধ্যার অন্ধকারে মথুরায় যাত্রা করবেন। ধ্রুবা, আমার আদেশ, মাতার সঙ্গে যাও। যদি কখনও ফিরে আসি, তবে সাক্ষাৎ হবে । তোমার অঙ্গীকার রক্ষা হবে, তোমার বেশ মথুরায় যাবে, কিন্তু সে-বেশে বাবে চন্দ্রগুপ্ত । আকস্মিক উত্তেজনা শেষ হইলে ধ্রুবদেবী দত্তদেবীর কোলে মুখ লুকাইয়া নিঃশৰে কাদিতেছিলেন। এই सूक्षं खनिश्वां लिङ्गः। ऎहैिदणन, *oaबि श्*ण भl r” निश्च Ψωπικρα পদসঞ্চারে দেবগুপ্ত, রবিগুপ্ত প্রমুখ বৃদ্ধ মহানায়কগণ মন্ত্ৰগৃহে প্রবেশ করিয়াছিলেন, তাহ কেহই লক্ষ্য করে নাই। ধ্রুবদেবীর কথা শেষ হইবার পূর্বেই স্বাদশ বৃদ্ধ কুমার চন্দ্রগুপ্তকে বেষ্টন করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “চন্দ্রগুপ্ত, তুমি একাকী মথুরায় যেতে পাবে না। সমুদ্রগুপ্তের অন্নে প্রতিপালিত পাটলিপুত্রের অনেক কুকুর তোমার সঙ্গে যাবে।” দ্বাদশ বৃন্ধের দ্বাদশ অসি প্রখর সূৰ্য্যালোকে ঝলসি উঠিল । সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্ৰগৃহের প্রত্যেক পুরুষ সামরিক প্রথায় কোষমুক্ত অসি দিয়া বীরের সন্মান প্রদর্শন করিল। সহস্র অসিফলকের ঝলকে ভীত মহারাজাধিরাজ রামগুপ্ত পলাইতে গিয়া দ্বিতীয়বার সিংহাসন হইতে পড়িয়া গেলেন। তখন চন্দ্রগুপ্ত মাতাকে জড়াইয়া ধরিয়া বলিয়া উঠিলেন, “ম, মা, তবে মগধ এখনও মরেনি ? মহারাজাধিরাজ, পট্টমল্লাহু!দেবী ধ্রুবদেবী কি একাকিনী মথুরায় যেতে পারেন ? আদেশ করুন পঞ্চশত কুলকামিনী তার সঙ্গে যাবে।” ৰূদ্ধ জয়নাগ নাচিতে নাচিতে বলিল, “পঞ্চশত কুলকামিনীর বেশে পঞ্চশত মাগধ পুরুষ।” রাম। যা ইচ্ছা কর ভাই, এ রাজা তোমারই । চন্দ্র। কেবল একজন নারী চাই। মাধবসেনা । কুমার, পুরস্কার প্রার্থনা করি। দত্তদেবী। তুমি, নটীমুখ্য, তুমি ? মাধব | হুঁ, আমি । মহাদেবী, নটাকে ধদি নারীত্বের অধিকার দাও, তাহলে নট মাধবসেনা কুকুরীর মত প্রভুর সঙ্গে যাবে। . তখন চন্দ্রগুপ্ত দত্তদেবীর সম্মুখে জান্ত পাতিয়া মাড়পদযুগল জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন, “আর বিলম্বে প্রয়োজন নাই, অল্পমতি কর মা ! যদি মরণ আসে, পিতার মুখ স্বরণ ক’রে একবার হেসে । সিংহীসদৃশ বুদ্ধ। মহাদেবীর চক্ষু শুষ্কই রহিল, তিনি। অকম্পিতকণ্ঠে বলিলেন, “আশীৰ্ব্বাদ করি, জয়ী হও, কুলগৌরব রক্ষা কর । এমন ম৷ তোকে গর্ভে ধরেনি, চন্দ্র, যে বীরের কার্ধে পুত্রের বিপদ আশঙ্কা ক’রে বিদায়কালে চোখের জল ফেলবে।” t চন্দ্রগুপ্ত উঠিয়া বলিলেন, “বিদায় মা, বিদায় এবা ”