পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] MAAA S AAAAA AAAA AAAA AAA AAAA AAAA AAASS তীর্থের ফল لاسو٢C তাঙ্গাদের বাড়িঘর পুত্রকন্য। নাতিনাতিনীর জন্যই ধfহা খরচ হয় তাহাই অর্থের সন্ধ্যয় । সেই সন্ধ্যাবেলায় ফিরিয়া সকলেই স্নান করিলেন । ভাবিলাম, মাথায় থাক্ আমার মানবকীৰ্ত্তিদর্শনে অক্ষয় পুণ্য অর্জন-বাসন। এতগুলি বিকারগ্রস্ত প্রাণীর অন্তর অহরহ এই বিতৃষ্ণ ও পুণ্য শুচিবাইয়ের শঙ্কা লইয়৷ যে-কোনো মুহূৰ্বে অভিনব বিপত্তি ঘটাইতে পারে। অবেলায় স্নান, অসময়ে আঙ্গার, মাহুষের শরীর ত বটে ! একটা কিছু ঘটতে কতক্ষণ ? সুতরাং অতৃপ্ত বাসনা অন্তরে চাপিয়! সেই রাত্রিতেই পুষ্করের দিকে চলিলাম । পুণাতীর্থ পুষ্কর । বালুর রাজ্য—গ্রামখানি যেন মরুভূমির মাঝে ওয়েশি । দূরে সাবিত্রীমায়ের পাহাড়। বালুপ্রান্তরে স্থবিস্তীর্ণ জলরাশি বুকে লইয়া পুণ্য হ্রদ পুষ্কর । জলবক্ষে অসংখ্য কুম্ভীর ও সপ। তীর্থ দুষ্করই বটে ! এখানে ওখানে ময়ুরময়ুরী নচিয়া বেড়াইতেছে । মেঘ নাই তথাপি কলাপ-বিস্তারে রামধন্সর বিচিত্র বর্ণসুসম ফুটয় উঠিয়াছে। হিংসালীন প্রকৃতির মাঝে হ্যাসিয়া সতাই তৃপ্তি পাইলাম। দীর্ঘাকার পাণ্ডা আসিলেন—সাড়ে তিন ভাই । বিবাহ ন হইলে তাহাদের অর্মাঙ্গ না কি পূরণ হয় না। বলিলেন “জুলুম নাই, পীড়ন নাই, ধৰ্ম্মশালায় থাক, পুণা কর । পরে যাঙ্গ খুশী আমায় দিও। - সেদিন দ্বিপ্রহরে আর কিছু হইল না—শুধু স্নান। পরদিন মেয়েদের ডাকিয়৷ পাণ্ড পুষ্করের ছক্ষরত্ব সম্বন্ধে খুব খানিকট বুঝাইলেন। ব্ৰহ্মার যজ্ঞ, সাবিত্রীর অভিমান, গায়ত্রীকে পত্নী রূপে লইয়া যজ্ঞ সম্পাদন ও অভিমানিনী সাবিত্রীর পাহাড়ে অবস্থিতির বিষয় উল্লেখ করিয়া কছিলেন, সভয়ে "এই তীর্থে স্নান তৰ্পণ ভোজ্যদান করিলে যে অক্ষয় । পুণ্যের সঞ্চার হয়, সংসারে এমন কোন প্রচণ্ড পাপ নাই যাহার তীক্ষধারে সেই পুণ্যকে খণ্ডবিখণ্ড করিতে পারে। পরকালেও অনন্ত স্বর্গের পাকা বন্দোবস্ত—” কিন্তু ইহকাল পুত্ৰকলত্রের হাসিকান্নায় অশান্তিআনন্দে ও স্বখে-শোকে যে স্বৰ্গ রচনা করে—মূানব-মন -*. তাহারই ছায়ায় উদ্বেগ আশঙ্কা লইয়া বাস করিতে ভালবাসে । বিন্দুদি হিসাবী লোক । জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও সব করতে কত পড়বে, বাবা ?” পাণ্ডা বলিলেন, “ধরুন, ভূজ্যি একটা পাঁচ টাকা—” সকলে সমস্বরে কলরব করিলেন, “ওমা! পাঁচ টা—কা । ন। বাবা, অত পারব না। কমে সমে—” পাণ্ডা হাসিয়া বলিলেন, “ন। মায়ী, তোমরা রাজালোক— ষা দেবে তার চারগুণ গিয়ে স্বগগে পাবে। জান ত অযোধ্যা মধুর মায়া.কম দিয়ে কেন পরকালে গিয়ে কষ্ট পাবে ?” আমি বলিলাম, “ঠাকুর, পরকাল ত পরে, আপাতত ইহকালের সম্বল খোয়ালে রেল-সমুদ্র পাড়ি দেওয়া কঠিন হয়ে উঠবে।" পাণ্ড কি ছাড়িতে চান। কহিলেন, “ধরুন বাবুজা, থালা গেলাস বাটা চলি ডাল কাপড় খি তেল মুন তরকারী— দামটা ধরুন একবার ।" বিন্দুদি বলিলেন, “কেন, মূল্য ধরে নাও না । আমি বাপু স-পাচ আনার বেশ দিতে পারব না।” পাণ্ড দেখিলেন—সব কাচিয়া যায়। চাদর খাভায় সৰ্ব্বাগ্রে ষে সহিট থাকে, তাহী দৃঃে ধেমন নিম্নের স্বাক্ষরকারীর নিৰ্ব্বিঘ্নে অঙ্কপাত করিয়া যায়, শত অমুরোধউপরোধেও আর অঙ্কবৃদ্ধি করে না, ইহাও অনেকটা সেইরূপ । তাড়াতাড়ি রাঙামামীর পানে চাহিয়া পাণ্ডা বলিলেন, “তুমি-ই ভেবে লেখ মায়া, পাচ আনায় একখানা কাপড় হয় ? এ ষে দেওয়া-না-দেওয়া সমান ।” রাঙামামীর দয়ার শরীর। বিবেচনা করিয়া বলিলেন, “তবে পাচ সিকে ক’রে নাও বাপু, আর খিটমিট করে। না। মাথার ব্যামে, এক খাব লা জল না দিলে এখনি আবার মাথা ধ’রে উঠবে ।” পাণ্ডার মুখে হাসি ফুটন্ত । যদিও তিনি বুঝিলেন ; পাচ আনায় ধাহা হয় না পাচ সিকাতেও তাহা অসম্ভব। এ কেবল মনকে চোখ ঠার বই ত না। একই থাল, বাটী, গেলাস, একই চাল