পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখতার ও মিশরের নবজাগরণ মোহম্মদ এনামুল হক, এম-এ . * ব্যাবিলন, ফিনীশিয়া ও গ্রীস প্রভূতি দেশের প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে প্রাচীন মিশরের সভ্যতাও একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়া রঙ্গিয়াছে। আজ মিশর পুথিবীর নিকট শুধু মুভের দেশ বলিয়। পরিচিত, কিন্তু প্রাচীন কালে সে ভাহা ছিল না ! একদিন তাহার স্থাপত্যশিল্প, ভাস্কৰ্য্য চিত্রকলা প্রভৃতি প্রাচীন জগতকে স্তম্ভিত করিয়া দিয়াছিল ; আজ ও জগত মিশরের সেই প্রাচীন নিদর্শনমালা দেখিয়া বিস্ময়াবিষ্ট ন হইয়া পারিতেছে না ; ক্লিওপেটার যুগ পৰ্য্যন্ত মিশরীয় সভ্যতার এই দিক জীবস্থ ও জাগ্রত ছিল । তাহার মুতু্যর পর হইতে মিশর ধেন ম্ৰিয়মাণ, অসাড় ও নিম্পদ হুইয়া পডে। মিশরীয় জীবনের সকল বিভাগে এই সময় যে ঘোর অবসাদ দেপা দিয়াছিল, দেশের বুকে দিগ্বিজয়ীদের তুমুল সংগ্রামেণ্ড ত হে। কাটিয়া যায় নাই । এই সময় ইষ্টতে মিশরের উপর দিয়া নানা রাষ্ট্র-বিপ্লবের ঝড় বহিয়া *िप्रांtर्छ নানাভাবে তাহার ভাগ্য পরিবর্ত্তন ও বিবৰ্ত্তন ঘটিয়াছে ভাই ও মিথ্যা নয়, কিন্তু তাহ। সত্ত্বে ৭, মিশরেব প্রাচীন শিল্প ও কলা-শক্তি বিলুপ্ত হয় নাই –ভাই। শুধু কিছুদিনের জন্য ঘুমাইয় পড়িয়াছিল মাত্র । পচিশ বংগরের কিছু পূৰ্ব্বে মিশরের শক্তি নিদ্রা হইতে জাগ্রত হইয়া স্বপ্নাবিষ্ট নয়নে আধুনিক জগতের প্রতি নিরীক্ষণ করিল ; তাহার অবসাদ ও জড়তাগ্রস্ত বাহতে পূৰ্ব্ব শক্তি ফিরিয়া আসিল ; বহির্জগতের অগোচরে সে প্রাচীন শিল্পীর ধন্ত্রপাতি টানিয়া লইয়া অনন্তমনে আপন কাজে প্রবৃত্ত হইল এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন মিশর, তাহার লুপ্ত শিল্পকলা, মৃত বীর, পৌরাণিক দেবদেবী, ও সম্রাটদের মামীর কথা চিন্তা করিতে লাগিল । ナマJ. এই নবজাগরণের ফলে, মিশরে আজ আমরা একটি জীবস্ত কলাচক্রের মনোরম দৃপ্ত দেখিতে পাইতেছি। এতদিন কেরো নগরীর যাদুঘর ও পুস্তকাগারগুলি কেবল অলঙ্কার ও স্থাপত্যশিল্পমূলক হষ্টির নিদর্শন লইয়। গৌরব করিতে পারিত ; আজ কাহা অতি আধুনিক শিল্পকলাসামগ্রীতেও পরিপূর্ণ হইয়া উঠিতেছে। শিল্পকলার ক্ষেত্রে আধুনিকতার স্রোত প্রবাহিত হইয়া আজ কেরো নগরীকে পরিপ্লাবিত করিয়া তুলিয়াছে, তাহার প্রাণবস্তু নীল নদের তীরেই জন্মলা গু করিয়াছে। শিল্পকলার ক্ষেত্রে মিশরের এই তরুণ আনোলন নিতান্তই মগ্রত্যাশিতভাবে দেখা দিয়াছে । এতদিন জগৎ মনে করিত, এ ক্ষেত্রে মিশরের নবজীবনলাভ অসম্ভব ; জগতের কাছে যেন একটি কিংবদন্থী দাডাষ্টয়া গিয়াছিল,—মিশর কোন মন্ত্রশক্তি-বলে প্রাচীন শক্তি হারাইয়াছে, আর সে তাহার হৃতশক্তি ফিরিয়া পাইবে না ! তাই যখন তাহার নবজাগরণের সূত্রপাত হয়, তখন কেহ তাহার প্রতি লক্ষ্য করে নাই । কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে মিশর যখন স্বীয় অনন্যসাধারণ প্রতি ভাবলে পাশ্চাত্য জগতের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইল, তখন আমেরিকাবাসীরাও হঠাৎ পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখিতে পাইল,—মিশরে একটি নূতন বস্থর উদ্ভব ঘটিয়াছে । মিশরের কতিপয় প্রধান কলাবিদের শিল্পকাধা প্যারিসে প্রদর্শিত হইবার পর হইতেই আমেরিকাবাসীরাও বাধ্য হইয়। স্বীকার করিয়াছে,—মিশরীয় শিল্পকলা এখনও যথেষ্ট জীবন্ত ও জাগ্রত ! শিল্পকলার ক্ষেত্রে মিশরের নবজীবন প্রাপ্তির কথা, জনৈক মিশরীয় লেখকের নিম্নলিখিত কথাগুলিতে বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে,—“বৈদেশিক রাজদূতগণকর্তৃক শতমুখে প্রশংসিত মিশরের স্বম্বর