পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীবুক ( প্রত্নতত্ত্ববিভাগের সৌজন্তে ) প্রাচীন বটগোহালি । গোয়ালভিটাতে একটি স্থ প 可忆变 1 যাহা হউক, কালক্রমে স্তুপের চারি পাশ্বে মন্দির রচিত হয়। স্তপের উত্তর পাশ্বের মন্দির খুব সম্ভব সৰ্ব্বপ্রথমে নিৰ্ম্মিত হয়, কেন-ন মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথ ও তোরণ উত্তর দিকেই অবস্থিত। প্রাচীন ভারতে নিয়ম ছিল যে, শুধু মন্দিরের সন্মুখ দেশেই বাস করিতে হইবে । কিন্তু বিহারের সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেল, মন্দিরের পুরোভাগে বাস সকলের পক্ষে সম্ভব নয়, স্থান সঙ্কুলান হওয়া অসম্ভব । সেষ্ট অস্ববিধ দূর করিবার জন্তু স্তুপের অপর তিন পার্থেও ঠিক অতুরূপ মন্দির রচিত হইল । এই শ্রেণীর মন্দিরের সংস্কৃত পারিভাষিক নাম & শ্ৰীকৃষ্ণ কর্তৃক ধেনুকাকুর বধ ( প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের সৌছষ্ঠে ) “সৰ্ব্বতে ভদ্র” অর্থাৎ চারিদিকেই “স্বাগত ” প্রত্যেকটি মন্দিরের তিনটি অংশ। প্রথম পূজা মন্দির। ইহা স্তপের গায়ে গাথা এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা অন্তর্বত্তা। প্রত্যেক মন্দিরের মধ্যবিন্দুরূপে রহিয়াছে একটি প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত বেদী । ইহার উপর নিশ্চয়ই কোন-না-কোন দেবমূৰ্ত্তি পূজিত হইত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখন কোন বিগ্রহ পাওয়া যায় না । পূজা মন্দিরের বাহিরের দিকে, অথচ তাহার সঙ্গে সংলগ্ন, মণ্ডপ । এখানে পূজারীরা বসিয়া শাস্ত্রালাপ, দেবতার গুণকীৰ্ত্তন প্রভৃতি ধৰ্ম্মকার্য্য করত । মণ্ডপের বাহিরে প্রদক্ষিণ-পথ । ইহা মন্দিরের সর্বাপেক্ষ দূৰ্ববৰ্ত্তী অংশ। এখানে দর্শনার্থীর আসিয়া সমবেত এবং নৈবেদ্য দিবার পর ঐ পথ বাহ্যি অপর মন্দিরের সম্মুখে উপস্থিত হইত। হইত