পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতানার মন্দির ঐনিৰ্ম্মলকুমার বসু কিছুদিন পূৰ্ব্বে লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্ত অধ্যাপক শ্রীরাধাকমল মুখোপাধ্যায় মহাশয় আগ্রাঅঞ্চলের সম্বন্ধুে গবেষণা করিতে গিয়া আবিষ্কার করেন যে সে দেশের কুয়ায় আজকাল যত নীচে জল পাওয়া যায়, পূৰ্ব্বে তাহ অপেক্ষা আরও কাছে জল পাওয়া যাইত ; তখন ষত হাত দড়িতে কুলাইত আজকাল আর তাহাতে কুলায় না । ইহা হইতে মনে হয় যে, আগ্র-অঞ্চলের জমি উত্তরোত্তর শুখাইয়। যাইতেছে । হয় ত এমন দিন আসিতে পারে যপন জলাভাবের জন্তু এ প্রদেশে চাষবাস পৰ্য্যস্ত কঠিন ব্যাপার হক্টয়া দাড়াইবে । ইহার শেষ পরিণতি যে কি হইতে পারে তাই রাজপুডানার পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান অবস্থা হইতে বুঝা যায় । আরাবল্পী পৰ্ব্বতের পশ্চিমে রাজপুতানার যে-অংশ অবস্থিত, তাহার মধ্যে নদী নাই বললেই হয় । অবশু) লুনী ও পশ্চিমী বনাস নামে দুষ্টটি নদী থাকিলেও বৎসরের অধিকাংশ কাল তাহাতে জল থাকে না, চাষবাস ও তেমন কিছু হয় না । লুনী হইতে পশ্চিমে, বায়ুকোণে বা উত্তরে যভহ যাওয়া যায়, ভূমি ততই মরুভূমির আকৃতি ধারণ করে। আরাবল্পী পাহাড়ের কাছে তবু কিছু জল হয়, গরুবাছুর ঘাস খাইতে পায়, লোকেও দুধ খাষ্টয়া বঁাচে । কিন্তু যতই পশ্চিমে যাওয়া যায়, ভডই গরু বাছুরের পরিবৰ্ত্তে ছাগল ও ভেড়ার পাল দেখিতে পাওয়া যায়। জয়সলমীর বা বিকানীর অঞ্চলে লোকে ছাগলের দুধ ও সেই দুধের দই খাইয়া থাকে। জলাভাবের জন্ত সেদিকে গরু বাছুর পোষা যায় না। কিন্তু এই প্রদেশটি চিরকাল যে এত শুষ্ক ছিল তাহা মনে হয় না । যোধপুর নগরী হইতে বায়ুকোণে প্রায় বত্ৰিশ মাইল দূরে ওসিয়া নামে একটি গ্রাম আছে। ওলিয়। এখন মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র গ্রাম হইলেণ্ড এক সময়ে ইহা খুৰ সমৃদ্ধিশালী নগর ছিল। বাংলা দেশে মুর্শিদাবাদ জেলায় নাহার, সিং প্রভৃতি পদবীধারী ষেসকল মারওয়াড়ী-পরিবার বাস করেন তাহারা সকলে ওসওয়ালী জৈন, ওসিয়া তাহাদের আদি বাসস্থান ছিল । ওসিয়াতে এখনও একটি পুরাতন জৈনমন্দির ও কালীর মন্দির আছে । সেইজন্ত ওসিয়া রাজপুতানার মধ্যে একটি বিখ্যাত উীর্থস্থান বলিয়া পরিগণিত হয় । উল্লিখিত দুইটি মন্দির ভিন্ন ওসিয়াতে আরও দশ-বারটি পুরাতন ও জীর্ণ মন্দির আছে । সেগুলিতে পূজা হয় না এবং কালক্রমে তাঙ্গর ক্রমশঃ জীর্ণ হইয়; আসিতেছে । এই সকল মন্দির খৃষ্টায় অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিভ হইয়াছিল বলিয়া জানা যায় । মন্দিরগুলি গ্রামের ধেদিকে তা বস্থিত তাহার কাছে একটি পুরাতন পুষ্করিণীর চিহ্ন ৪ পf eয়! যায় । পুষ্করিণীর চারিদিকে পাথর দিয়া ৰাধান ঘাট ছিল, সেগুলি আজও অটুট রহিয়াছে । কিন্তু তাহাতে এখন বিন্দুমাত্র জল নাই । কেবল গর্তের শুষ্ক বালুকারাশির মধ্যে অসংখ্য মূষক গষ্ট করিয়া মনের আনন্দে বাস করিতেছে । ইহা হইতে সংস্র বৎসরের মধ্যে ওসিয়ার কিরূপ পরিণতি হইয়াছে তাঙ্গা বুঝিতে পারা যায়। শুসিয়াতে আজকাল জলের এত টানাটানি যে, ধে জলে স্নান করা হয় বা কাপড় কাচা হয়, তাহাকেই চৌবাচ্চায় ধরিয়া রাখা হয় ; এবং গ্রামের উট, গরু, ছাগল, গাধা প্রভৃতি সেই জলই পান করিম থাকে। যোধপুর-রাজ্যে লুনী জংশন হইতে যে রেলপথটি সিদ্ধ অভিমুখে গিয়াছে, তাহার পাশ্বে বাড়মেরের সন্নিকটে দু-একটি পুরাতন মন্দির দেখা যায়। এগুলি মরুভূমির বালুকারাশির দ্বারা এমনভাবে প্রোথিত হইয়া গিয়াছে যে এখন উপর হইতে গর্ত খুড়িয়া মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করা ভিন্ন গতি নাই। ওসিয়াতে একটি গল্প প্রচলিত আছে যে এক সময়ে এই প্রদেশটিতে জলের ८कांन च छोब श्णि न । क्रूि ८कान गभ८ब्र हानौछ