পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] SeMAMA eAMAM MA AMAAA AAAA LSLASAAA AAAA S ভিড়ের মধ্যে আর একবার বাহির-বাড়িতে ঘোরা-ফেরা করিতে লাগিলেন । ওদিকে পাল্কী-বেহারাদের শব্য, মশালের অালো, হাউই আর ঢোল-শানাইয়ের শব্দ প্রায় গ্রামের মধ্যে শোনা যাইতে লাগিল এবং আর একদিকে পশ্চিম প্রান্তে ঘন বঁাশবনের মাথার উপরে বিদ্যুৎ-ঝলকিত প্রকাগু একখানি কালে মেঘ ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেঞ্জিল । কৰ্ত্তার চেয়ে সোমনাথের ভাবনা যেন বেণী ; সোমনাথ মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । অবশেষে বর আর ঝড় একসঙ্গে ছোট গ্রামখানিকে আলোড়িত করিয়া তুলিল। ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে জোরে বৃষ্টি নামিল । মুহূৰ্ত্তমধ্যে বিবাহ-বাড়ির পাল-শামিয়ানা প্রভৃতি বৃষ্টিতে ভিজিয়া ভারী হইয়া একেবারে মাটিতে গড়াইতে লাগিল । তাহারই মধ্যে লোকজনের ছুটাছুটি, চ-সরবৎ ডাব লইয়া বরযাত্রীদের ছড়াছড়ি এবং আর একদিকে 'লগ্ন ব’য়ে যায়—তোমরা সব কি করুছ ছাট মাথামু? প্রভৃতি বলিতে বলিতে সোমনাথের চীৎকার ঝড় ও বুষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়া চলিল । e কৰ্ত্ত সমস্ত দিন উপবাস করিয়া ছিলেন , কোনো কালেই এত হাঙ্গাম সহ করিবার অভ্যাস তাহার নাই ; তিনি তোমরা সব দেখে শুনে ব্যবস্থা করো’ ‘বিয়ের - সময় আমাকে ডেকে দিও’ বলিয়া স্বরে গিয়া খিল দিলেন । কোলাহলের আর একদিকে একখানি ছোট ঘরে আলিপনা-আঁকা একখানি পিড়ীর উপরে একটি দশএগার বছরের মেয়ে নিঃশব্দে বলিয়া ছিল । দুরুফুরু বুকে ভাবী জীবনের অতকিত মুহূর্তের প্রতীক্ষায় তাহার চোখ ঘুমে ঢুলিয়া আসিতেছিল। সাজ-পোষাকের বাহুল্যে তাহার মুখের পাউডার ঘামে ভিঞ্জিয়া উঠিয়াছিল । মেয়েটি কালে ; শুধু তাহার দু’খানি সোনার চুড়ীপর নিটোল হাত চেলীর মধ্য হইতে কোলের উপর বাহির হইয় ছিল । প্রদীপের ক্ষীণ আলোতে সেই হাত দুখানি বড় স্বন্দর দেখাষ্টতেছিল। বাহিরে বৃষ্টির বিরাম নাই ; ক’নে অন্নপূর্ণ পিড়ীর উপর শুইয়া ঘুমাইতে পারিলে যেন বঁাচে | ം്. - ." -"...ബ് ബ് গ্রাস SS S SSAAAAAAS AAAAA AAAAMAMAMAMAMMAMA AeeAMAAA AAAA AAAASAAAAS AAAAA AAAA SAAAAA AAAA S ఇషిat AMMSAAAA AAAA AAAA AAAAMMM AA AeMAeeAM AAAA SAAAAA AAAASAAAA AAAA AAAAA বিবাহের লগ্ন উপস্থিত। সোমনাথ তাড়াতাড়ি গিয়া বরকে এক রকম করিয়া টানিতে টানিতে লইয়া আসিলেন। পিড়ীর উপর বসাইয়া দিয়া গা-হাত-পা বাড়িতে বাড়িতে বলিলেন –জার কি সেদিন আছে ? বর হ’ল গিয়ে ইয়া জোয়ান, আমি পাবৃত্ব কেন । , বরযাত্রীর দল জলস্রোতের মত বাড়ির মধ্যে আসিয়া পড়িল । সোমনাথ আমনি তাড়াতাড়ি গলায় কাপড় দিয়া তাহাদের দিকে ফিরিয়া বলিলেন—জাঙ্গে না, ঐটি মাপ করতে হবে । ও-সব শহর-বাজারে চলে ; আমাদের এ নিতাস্ত কুপল্লী স্থান—এখানে ও-সব বিয়ে দেখার নাম ক’রে এসে ‘স্ত্রী-আচার’ দেখা চলবে না মশায়। ভয়ানক আপত্তি উঠিল । অবশেবে কৰ্ত্ত ঘর হইতে বাহির হইয়া সব মিট্‌মাটু করিয়া দিলেন । বরযাত্রীদের জন্য একটি পৃথক্ আসন করিয়া দেওয়া হইল । বিবাহ আরম্ভ হইল ; শুভদৃষ্টির সময় ক’নে অন্নপূর্ণার পিড়ী বরের মাথা ছাড়াইয়া অনেক উৰ্দ্ধে তুলিলেও বয়সের দিক দিয়া বরের শ্রেষ্ঠত্ব সকলেই মনে মনে স্বীকার করিলেন। বিষ্ণুচরণ গোফগুলি ছাটিয়া আসিয়াছিল, কিন্তু কপাল ও চোখের রেখাতে বুঝা গেল, তাছার বয়স পচিশ ছাব্বিশের কম নয় ; বিষ্ণুচরণ দ্বিতীয় পক্ষের বিবাহ করিতেছে বলিয়া অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করিল। গৃহিণীর ইচ্ছা ছিল মেয়ের বয়সের অনুপাতে একটি ছোটখাট ছেলেমাচুষ জামাই পাইবার । কৰ্ত্ত জামাই দেখিয়া আসিয়া বলিয়াছিলেন—খাসা জামাই, একেবারে কাৰ্ত্তিকের মত । খুব ছেলেমাতুষ, আমাদের জান্নার সঙ্গে ঠিক সাজস্ত হবে । বিবাহের পরে গৃহিণীর সঙ্গে কৰ্ত্তার এই উপলক্ষ্যে খানিকটা ঝগড়া হইয়া গেল। গৃহিণী অবশু কাদিতে কাদিতে বলিলেন—তা হয়েছে, হয়েছে, বেশ হয়েছে— আমি কি আর কিছু বলছি –তুমি বলেছিলে কি-না, তাই ! কর্তা রাগিয়া উঠিয়া বলিলেন-বেশ হয়েছে, না ত কি ? ধে কালো মেয়ে তোমার—ঐ এখন জামাইয়ের পছন্দ হ’লে হয়! :