পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 সৰ্ব্বগ্রাসে উদ্যত হইয়াছিলেন বহুলোক আসিয়া জুটিয়াছিল কিন্তু কেহ অগ্নি লিভাইতে অগ্রসর হয় নাই ; সকলে দুরে দাড়াইয়। জল জল বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠতেছিল। যাহাদিগের বাট পরাণের চালার ণাশে তাহার। ক্ষি প্রহস্তে স্ব স্ব গৃহু হইতে জিনিষ- e পত্র বাহির করিয়! ফেলিতেছিল পুরাণের সাহায্যার্থ একটি প্রাণী ও অগ্রসর হয় নাই। দেখিতে দেখিতে রমেশের চালাতেও আগুন ধরিয়া গেল। এই সময় অগ্নিসথ পবন ও বেশ জোরে বহিতেছিল, কাজেই অগ্নি সহজেই এক চালা হইতে অঙ্গ চালায় অগ্রসর হইতে লাগিল । পরাণের বাড়ীর লোক গুলা কোন মতে এক বস্ত্রে পরাণের বুদ্ধ পিতাকে লইয়া অগ্নির মুখ হইতে নিস্কৃতি পাইল । সং৭:রের একট। জিনিষও কেহ উদ্ধার করিতে পারিল না। বাক্স পেটরা, গরু বাছুল প্রভূতি সকলই অগ্নিদেলের বিশ্বগ্ৰাপী ক্ষুধার অ{হার হইল । রমেশ গরু বাছুর ও আর কয়েকটা জিনিষ কোন মতে বাহিরে অনিতে পারিয়াছিল । তাহারও অবশিষ্ট সমস্ত পুড়িয়া ভস্মসাৎ হইয় গেল । সারার)ত্রি ধ বয়। এই অতি কাণ্ড চলিল। পরীণ গোয়ালঘরের কাছে দ{ড়াইয় ছিল ; মাঝে মাঝে বলিতেছিল,—“এ কি এ ? ঠ। .....এসব কি ?...... কেউ নিবুতে পার না ; ওগো যাও না, সব গেল ষে મામા ....'stનો !......” ক্রমে ঘরের স্টক ভাঙ্গিয় পড়িল। পরাণ পাগলেখ মত ছুটয় সেই অগ্নিসমূদ্রে প্রবেশ করল ; ইচ্ছা, যদি একট। গরু ও বঁ চাইতে পারে । অগ্নি তখন লেলিহান জিহব। বিস্তার করিয়। তাহার চতুৰ্দ্ধিকে তাণ্ডব নৃত্য করিতেছিল । বাড়ীর দুইজন রমণী দেখিতে পাইল পরাণ সেই অগ্নিস টুদের মধ্যে র্দী ছাইয়া আছে । তখনই তাহারা ঈশানকে পাঠাই দিল। সে যখন পরাণকে বাহিরে লইয়। আসিল তখন পরাণের চেতনা ছিল না। তাহার সর্বাঙ্গ ফোঙ্গা পড়িয়া গিয়াছিল, মাথার চুলগুলা পুড়িয়া গিয়াছিল। জ্ঞান ফিরিয়া আসিলে দীর্ঘশ্বাস ফে,গয়া সে বলিল,-“একি এ ? এ আমার কি হ’ল ? প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS অগ্নিকাণ্ড দেখিতে • ...... এসব কি ? আঁ্যা ?......? এখন কি আর নেভাবার উপায় নেই ? এখন কি আর নেভান যায় না ?— ই্যাগ ?” সকাল বেলা গ্রামের পঞ্চায়েতের মণ্ডল প্রসাদ ঘোষের পুত্র পরাণকে ডাকিতে আসিল । “পরাণকাকা তোমার বাবা যে মরমর হয়েছে ! একবার শেষ দেখা দেখতে চায়। এস।” পরাণের কোন কথা মনে ছিল না ; শোকে তাহার স্মৃতি নষ্ট হইয়। গিয়াছিল। আগস্তুকের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল,—“কে ? বাবা ? ডেকেছে ?—কাকে ডেকেছে বল দেখি ?" “পরাণকাক তোমায় ডেকেছে, একবার মরবার আগে শেষ দেথা করতে চায়। আমাদের বাড়িতে আছে, এস।”—বলিয়। সে তাহার হাত ধরিয়৷ টানিয়া লইয়া চলিল । বৃদ্ধকে সময়-মত-বাহির করা হইলেও কতকগুলা জলন্ত পা তা তাহার গায়ে পড়িয়াছিল। ক্ষয়রোগগ্রস্ত বৃদ্ধ তাহাতেই মৃতপ্রায় হইয়াছিল । পরাণ যখন পি তার নিকট উপস্থিত হইল তথন সেখানে মাত্র প্রসাদ ঘোষের স্ত্রী উপস্থিত ছিল । বাড়ীর পুরুষরা অগ্নিকাণ্ড দেখিতে গিয়াছিল। কয়েকটা ছোট ছেলে উঠানে খেলা করিতেছিল। পরাণ পিতার কাছে আসিয়া হতাশ ভাবে বসিয়া পড়িল । বৃদ্ধ বলিল,—“বলেছিলুমনা পরাণ, যে, এ আগুনের ফুলকি এইবেল নিভিয়ে ফেল ? এই সারাগ্রামটা পুড়ল । কে পোড়ালে বল ত ?” “সে বাব! সে ! আমি তাকে হাতে নাতে ধরেছিলুম, কিন্তু রাখতে পারলুম না! হায়, হায়, হায়! তখন যদি নিভিয়ে ফেলতে পারতুম, তাহলে আর এত কাগু হ’তে পেত না ।” “পরাণ ! আমি ত মরতে বসেছি, তুমিও একদিন মরবে, সত্যি ক’য়ে বল দেখি এ পাপের জন্যে দায়ী কে ?” পরাণ চুপ করিয়। পিতার দিকে চাহিয়া বসিয়া রহিল, একটা কথাও বলিতে পারিল না । “বল পরাণ বল, চুপ ক’রে রইলে যে ? মাথার ওপর