পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । হইত। তাহাকে অতি সহজেই April foot করা যাইত। একবায় রৰি গোপ দাড়ি পরিয়া একজন পাশী সাজিয়া উহাকে বড় ঠুকাইয়াছিলেন। আমি বলিলাম—বোম্বাই হইতে একজন পাশী ভদ্রলোক এসেছেন, তোমার সঙ্গে ইংরাজী সাহিত্য সম্বন্ধে আলোচনা করিতে চান । অক্ষয় অমনি তৎক্ষণাৎ স্বীকৃত হইলেন । রবি ছদ্মবেশী পাশী হইয়া আসিয়া ঠাহীর সঙ্গে সাহিতা-আলোচনা • আরস্ত করিয়া দিলেন । এই রবিকে তিনি কতবার দেখিয়াছেন, কণ্ঠস্বর তার পরিচিত, কিন্তু ঐ যে পাশী বলিয়া তার ধারণ হইয়াছে সে ত শীঘ্ৰ যাইবায় নয়। অক্ষয় বাবু বাইরন, শেলী প্রভৃতি আওড়াইয়া খুব গম্ভীর ভাবে আলোচনা আরম্ভ করিয়া দিলেন। অনেকক্ষণ এইরূপ চলিতেছিল, অমির হস্ত সংবরণ আর করিতে পারি না, এমন সময় শ্ৰীযুক্ত তারকনাথ পালিত মহাশয় আসিয়া উপস্থিত। আসিয়াই তিনি “ এ কে ?—রবি ?” বলিয়া রবির মাখায় যেমন এক থাপ্পড় মারিলেন, অমনি কৃত্রিম দাড়ি গোপ সব খসিয়া গেল । তপন অক্ষরবাবু কিছুক্ষণ বিহ্বলনেত্ৰে চাহিয়া রহিলেন ; তখনও কল্পনার নেশাট উtহার মাথা হইতে যেন সম্পূর্ণ ছুটে নাই । আরও দুই একবার তঁ tহাকে এপ্রিল ফুল করিবার মৎলব করিয়াছিলাম কিন্তু তাহার ঘরের চতুর মন্ত্রাটি সব ভণ্ডল করির দিতেন।” “উদাসিনী’ নামে একটি কবিতা তিনি প্রথম রচনা করেন । ইহা পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় । ইহার খুব প্রশংসাও তখন হইয়াছিল। তারপর “ভারতগাথা"-য়:ম কবিতায় তিনি একখানি ইতিহাস লেখেন। অক্ষয়বাবু ব্যয় বাজাইতেও বড় ভালবাসিতেন। আসল যন্ত্রের অভাবে তিনি অনেক সময় টেবিলেই কাজ সারিয়া লইতেন। অক্ষয়বাবু প্রেমের গানই বেশী রচনা করিয়াছিলেন, তাহার দুই একটি নমুনা নিয়ে প্রদত্ত হইল * সফদর্ণ—মধ্যমীন নিতান্ত না রইতে পেরে দেখিতে এলাম আপনি দেখ অীর না দেখ আমিীয় দেখিব ও-মুখখানি । মনে করি আসিব ন৷ এ মুখ আর দেখাব না, না দেখিলে প্রাণ কাদে 劍 কেন সে তাহ নাহি জানি । এসেছি, দিব না ব্যথা, তুলিব না কোন কথা, সাধিব না, কঁাদিব না, রব আমনি । যেথা অtছ সেখাই থাক অtর কাছে যাব না কে { চোখের দেখা দেখব শুধু দেখেই যাব এখনি । e 象 বেহাগ –মধ্যমীস্ কেনইবা ভুলিব তোমায় কে ভোলে ইসদর-ধনে । গৃষ্ঠ হৃদয় লয়ে - 愈 কি সুখ লাচিয়ে প্রাণে । কষ্টিপাথর আশাতে নিরাশা বলে’ তোমারে কি যাব ভুলে সে ত নয় রে ভালবাস। —মুখ-আশা মংগোপনে । রাখিব না সুখ-অশ। চাহিব না ভালবাসা ভাল বেসেই সুর্থী রব মনে মনে । gથtમત્ર લડિમાત્રાનિ দলিত হৃদয়ে আনি জীবন-অঞ্জলি দিয়ে পুজিব অতি সতনে ॥ এক সময় জ্যোতিবাবু পিয়ানো বাজাইয়া নানাবিধ মুর রচনা করিতেন। জ্যোতিবাবুর দুই পার্থে অক্ষয়বাবু ও রবীন্দ্রনাথ কাগজ পেন্সিল লইয়। বসিতেন । জ্যোতিবাবু যেমন একটি সুর রচন। কল্পিBB BBSB BBBS BB BBBB BBBB BB BB BBSBK KB BBBS করিতেন। একটি সুর তৈরি হওয়ার পর জ্যোতিবাবু আরও কয়েক বার বাজ।ঙ্গয়া ইহাদিগকে শুনাইতেন । সে সময় অক্ষয়বাবু চক্ষু মুদিয়া বৰ্ম্ম সিগার টানিতে টাণিতে মনে মনে কথার চিন্ত৷ করিতেন। পরে যখন র্তাহার নাক মুখ দিয়া অজস্র ভাবে ধুমপ্রবাহ বহিত তখনি বুঝা যাই ত যে এইবার উiহার মস্তিষ্কের ইঞ্জিন চলিবার উপক্রম করিয়াছে । তিনি অমনি Wরটের টুক্রাটি পিয়ানোর উপরেই রাখিয়া দিয়া, হাফ, ছাড়িয়া, “হয়েছে হয়েছে” বলিয়া লিখিতে মরু কল্পিয় দিতেন । রবিবাবু কিন্তু বরাবর শাস্ত-• ভাবেই রচনা করিতেন । অক্ষয় বাবুর যত শীঘ্ৰ হই ৩, রবিবাবুর তেমন হই হ না । সচরাচর গান বাধির ৩1হাষ্ট্ৰত সুর সংযোগ করাই প্রচলিত রীতি, কিন্তু ইহাদের এক উট পদ্ধতি ছিল । সুরের অনুরূপ গান তৈরি হই ১ । স্বর্ণকুমারী দেবীও অনেকসময় তাহার সুরে গান প্রস্তু ৩ করিতেন। সাহিত্য- এবং সঙ্গীত-চটায় তাহীদের তেতালার মইলের আবহাওয়৷ তখন পূর্ণ হইয়া থাকিত । রবিবাবুর প্রখম গfতনাট্য “কালমৃগয়া” এবং পরবর্তী গীতিনাট্য “বাল্মীকি-প্রতিভা"তে ও উক্তরূপে রচি ও সুরের অনেক গুiন দেওয়া হইয়াছিল । একদিন জ্যোতিবাবুর ষ্টীমারে চন্দননগর যাইতেছিলেন। পথে খুব ঝড় জল তুফ’ন আরম্ভ হ'ষ্টয়া সমস্ত ষ্টীমারকে আনে৷লি ও করিয়া তুলিয়াছিল । ইহাদের সেদিকে ক্ৰক্ষেপও ছিল না। জ্যোতিবাবু স্বর রচনা করিতেছিলেন ও অক্ষয়বাবু তার সঙ্গে গান বাধিতেছিলেন । ইহারা গান বাজনায় একবারে তন্ময় হইয়াছিলেন। এই দিনকার রচিত গানগুলি হইতে শেযে “মান ভঙ্গ’ নামে একখানি গীতিনাট্য প্রস্তুত হইয়া গেল। "মানভঙ্গ” প্রখম জোড়াসাকো বাড়ীতে অভিনীত হয় । তার অনেক দিন পরে শেষে যখন “ভারতীয় সঙ্গীতসমাজ" স্থাপিত হয়, তপন জ্যোতিবাবু এই “মীনভঙ্গের" আখ্যাণবস্তু লইয়। পরিবর্তিত আকারে “পুনবমস্ত” নামে আর একখানি পরিবর্দ্ধিত গীতিনাট্য প্রকাশ করেন। “পুলবৰ্মন্ত’ সঙ্গীতসমাজে অনেকবার অভিনীত হইয়াছিল । লোকের ও এথানি খুব ভাল লাগিয়াছিল । এই সময়ে জোড়tসাকোর বাড়ীতে জ্যেtfতবাবুর প্রতি বৎসর BBBSBBBBS BBBB BBB BBS BBBSDDSBBBBB মধ্যে যাহাতে পরস্পর আলাপ-পরিচয় ও সম্ভাব বৰ্দ্ধিত হয় । মহাস যে চারিজন ছাত্রকে বেদ শিক্ষার জন্য কাশীতে প্রেরণ করিয়াছিলেন, উtহাদেরই মধ্যে একজন শ্ৰীযুক্ত আনন্দচন্দ্ৰ বেদান্তবাগীশ মহাশয়,