পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8९ বলিয়া কোন কোন প্রদেশের সিবিলিয়ানদের বেতল বাড়িয়াছে ; এখন আবার আর একট কারণে বাড়িল । যুদ্ধের জন্য সৰ্ব্বসাধারণ করদাতাদের এবং সরকারের গরীব কৰ্ম্মচারীদের অসচ্ছলতা হইয়াছে। তাহদেরও কিছু উপকার গবর্ণমেণ্ট করুন। উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীদের মোটা মাহিনা' বৃদ্ধি করিবার জন্য যখন অর্থাভাব ঘটিতেছে না, তখন স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতির জঙ্গ টাকা চাওয়া অসঙ্গত হইবে না। কেন না রাজকোষে অসচ্ছলতা নাই দেখা যাইতেছে । zÞÚFE Ff>[[R (MIachine (Guns) I কলের কণমান নানা রকমের । ম্যাক্সিম কামানের ওজন ২৫ হইতে ৩০ সের, ইহা হইতে মিনিটে ৪৫০ বfর গোল ছুড়া যায়, এবং ২৫ • ০ গজ দূরে লক্ষ্যবোধ করা যায়। কুচ কি কামানের ওজন ২৬ সের, গিনিটে ৫০০ হইতে ৬০০ বার ছুড়া যায়, এবং ২০ • ০ গজ দূরে লক্ষ্যবোধ হয় । কোণ্ট কfমানের ওজন ২০ সের, মিনিটে 8• • বীর ছুড়া যায় এবং ২০ ০০ গজ দূরে লক্ষ্যধেধ করা যায় । দেশের কথা পূজার পব মফঃস্বলের সংবাদপত্রগুলিব স্তস্তে একটি বিষয় এমন একান্ত প্রকট হইয়া উঠিয়াছে যে তাহ অতি সহজেই চোখে পড়ে। সেটি ফসলের দুরবস্থ। । এই যুদ্ধ বিপ্লবের দরুন চাল বিদেশে রপ্তানি বন্ধ হইয়। গিয়াছে—দেশে অন্নের প্রাচুর্য্য হইবারই কথা, কিন্তু চিলদারিদ্র্যীয় ভারতবর্ষে তাহ নিতান্তই যেন হইবার নহে । সুতরাং নানাপ্রকার অনুকূল অবস্থা সত্ত্বেও এবারও ভারতের চিরাগ ত প্রথানুসারে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা এখন হইতেই ঘনাইয়। দুঃখ-দৈন্ত-ও-ক্লেশেজর্জর ভারতবাসীর মাথায় ভাঙিয়। পড়িবার জন্য বজের মত উদ্যত তইয়া উঠিতেছে । সময়ে সুবৃষ্টির অভাবে শস্তে পরিপূর্ণ ক্ষেতগুলি পুড়িয়। যাইতেছে। চারিদিকে কৃষকের মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িয়াছে । এই গেল-বছর দামোদরের ভীষণ বস্তায় হাজার হাজার লোক গৃহহীন-অন্নহীন হইয়াছে। যাহার। বড়লোক ছিল তাহার কোনো প্রকারে মধ্যবিত্তের ঠাটে দিন কাটাইতেছে ; যাহার। মধ্যবিত্ত ছিল আজ তাহারা দরিদ্র ; আর যাহার দরিদ্র ছিল,সেই ভীষণ বদ্যার পরও যাহার। জীবিত ছিল, আজ তাহীদের ভিতর অনেকেই আর এজগতে নাই। প্রবাসী—অগ্রহায়ণ ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড তারপর গত বৎসর বন্যার ফলে বালি জমিয়া অনেক জমির উৎপাদিক শক্তি নষ্ট হইয়া গিয়াছে, অন্ততঃ দুই চারি বৎসর তাহাতে ফসলের অাশা নাই। সে-সকল জমিতে এবার চাষ হয় নাই—মু তরাং অন্যান্য বৎসরের অপেক্ষ। চাষের পরিমাণ এবার কমই হইয়াছে। কিন্তু তবু ফসল যদি ভালো হইত তাহ হইলে কোনরূপে এবছর লোকে দুটি ভাত পাইতে ও গেল বছরের ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরা তাহদের ক্ষতি কতকটা পুবাইয়া আনিতে পারিত । কিন্তু সে অাশা দুরে যাক এখন তাহীদের বঁচিয়া থাকাই দায় হইয়া উঠিয়াছে। এবছর ফসলের অবস্থা নিতা ও খারাপ। তাহার উপর যাহার। চাল কিনিয়া খায়, পাটের দুরবস্থায় তাহদের অবস্থা কিরূপ শোচনীয় হইয়। দাড়াইয়াছে তাহা কাহাবো অজানা নহে । ইহার উপর আর এক বিপদ । বন্যপীড়িত লোকেদের নিকট হইতে গত বৎসর খাজন। আদায় করা হয় নাই, তই এবছর ও গেল বছরের খ1জন। এবার একসঙ্গেই আদায় করা হইবে শুনা ধাইতেছে। তাহার উপর এই যুদ্ধের দরুন অঙ্গাঙ্গ সকল জিলিসের দরই চড়িয়া গিয়াছে—অথচ বৰ্ত্তমানে দেশের সর্বপ্রধান অভাব হইয়। পড়িয়াছে টাকার । টাকা থাকিলে লোকে বেশী দাম দিয়াও জিনিস কিনিতে পারিত, কিন্তু সে উপায় ও নাই। চারিদিকে জলের দারুণ অভাবে লোকে অতি কদৰ্য্য জল পাম করিতেছে—তাহার ফলে ওলাউঠা, আমাশয় প্রভূতি দুরারোগ্য রোগকে ডাকিয়া আনা হইতেছে । ইহার উপর আমাদের বাঙালীজীবনের নিত্যসহচর ম্যালেরিয়া তো আছেই । সুতরাং এইসকল বিধয় একটু আলোচনা করিয়ু। দেখিলে বুঝিতে আর পেশী বাকি থাকেন। যে এবৎসর কিরূপ ভয়ঙ্কর দুর্দশায় আমাদিগকে পড়িতে হইবে—কিরূপ ভয়ঙ্কর অদৃষ্ট আমাদিগের জন্য অপেক্ষা করিয়া আছে ! কিন্তু “অদৃষ্ট” বলিয়া তে। হাল ছাড়িয়া বসিয়া থাকা যায় না, প্রতিকারের চেষ্টা করাটাই মানুষের কৰ্ত্তব্য। সুতরাং এসম্বন্ধে প্রতিকারের হাত ধfহীদের আছে— তাহারা অবস্থা বুঝিয়। এখন হইতে যদি ই হার একট। ব্যবস্থা করিতে যত্নবান হন তাহা হইলে এই অবগুস্তাবী দুর্দশার কিছু লাঘব হইলেও হইতে পারে। নীচে মফঃস্বলের কাগজ গুলি হইতে ফসলের অবস্থার কথা তুলিয়া দেওয়া হইল— ফসলের অবস্থ!— বঁfকুড়া-দর্পণ । —বহুদিন বৃষ্টি হয় নাই বলিয়। ধীষ্ঠের বড়ই ক্ষতি হইতেছে । কেহ কেহ ভবিষ্যতে অল্প কষ্টের অfশঙ্কা করিতেছেন । বাধ পুষ্করিণী সকল কাটাইয়া সেচন কাৰ্য চলিতেছে । ভবিষ্যতে जादाग्न छल कछे न श्एलहे भत्रक ।