পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] জীবতু” । দেশের এই-সকল চিন্তাশীল ম্যক্তিগণকে বাচাইয়া রাখা একটা জাতীয় সমস্ত হইয়া উঠিয়াছে। বিলাতে দেখিতে পাই ষে পঞ্চাশ বৎসরে সেখানকার মনীষীগণ যুবক থাকেন, আর আমাদের দেশে হয় উtহার। বৃদ্ধ না হয় গতাসু । বিলাতে কত শত লেখক, বীরপুরুষ, অধ্যাপক, রাজনীতিজ্ঞ, ধৰ্ম্মপ্রচারক, সমাজসেবক সত্তর, আশি, নব্বই বৎসর পর্য্যন্ত জীবিত থাকিয়া দেশের নানাবিধ মঙ্গল কার্য্যে ব্যাপুত আছেন । সকলেই অমুভব করিতে পারেন যে চিন্তাশীল ব্যক্তিগণের এইরূপ অকল বাৰ্দ্ধক ও মৃত্যুতে দেশের কি পরিমাণ ক্ষতি হইতেছে ; বাস্তবিক পঞ্চাশ বৎসর এক প্রকার শিক্ষার ও সাধনার আয়োজনের কাল মাত্র। পঞ্চাশ বৎসরের অভিজ্ঞতা, সাধন, শিক্ষা পরবর্তীকালে বুহৎ বৃহৎ কৰ্ম্মে ষোজনা করিতে পারিলে তবে দেশে বৃহৎ বুহৎ কৰ্ম্ম সাধিত হইতে পারে । বিলাতের কৰ্ম্মীদের অধিকাংশ বৃহৎ কৰ্ম্মই পঞ্চাশের পরেই সাধিত হইয়া থাকে, পঞ্চাশের পূৰ্ব্বে তাহার আরস্তু মাত্র হয়। পঞ্চাশের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বড়ই অমুল্য পদাৰ্থ । আমাদের দেশে যাহার। মস্তিস্ক চালনা করিয়া থাকেন, সেই-সকল চিস্তাশীল কৰ্ম্মাদিগকে পঞ্চাশের উপর সুস্থ রাখিবার কি কোনও উপায় নাই ? দেশের চিন্তাশীল ব্যক্তিগণের অ কালবাদ্ধক্য ও ততোধিক ভয়ানক অকালমৃত্যুর দুইটি প্রধান কারণ বিদ্যমান – বাল্যবিবাহ ও অপরিমিত মস্তিস্ক চtলন । ইহার মধ্যে বাল্যবিবাহ কেবল চিন্তাশীল ব্যক্তিগণের আয়ুক্ষয় করিতেছে এমন নহে, ইহা একটা জাতীয় অভিসম্পতিরূপে পরিণত হইয়াছে । অপরিণত বয়স্ক পিতামাতার সস্তান কখনও সবল ও দীর্ঘায়ু হইতে পারে না। অন্ততঃ শিক্ষিতসমাজে পুত্র কন্যার বিবাহের বয়স কেন আশানুরূপ উন্নত হইতেছে না তাহার কারণ ৩ দেখা যায় না । সকলেই বাল্যবিবাহেয় কুফল বোঝেন, সমাজে বাল্যবিবাহ রহিতের বিশেষ কিছু প্রতিবন্ধকও নাই—অথ১ মেয়েদের বিবাহ ১১ বৎসরের মধ্যে দেওয়া চাইই । অনেক যুবক পঠদ্দশায় বিবাহ করিতে একেবারে অনিচ্ছুক, কিন্তু পিতামাতার আগ্রহাতিশয্যে তাহারা নিরুপায় । আমরা সকলে নিজে নিজে যদি স্থির করি যে ভ্রাতা বা পুত্রের বিবাহ বাইশ বৎসরের বা কন্যা ও ভগিনীর বিবাহ ষোল বৎসরের কমে দিব ন!—তাহা হইলে সমাজ কি বলিবে ? বিলাত যাইলে এখনও জাতি যায়, বিধবাবিবাহ দিলে জাতি ঘtয় ; কিন্তু বোল ব। সতের বৎসরে কথার বিবাহ দিয়া কাহাকেও জীর্তিচ্যুত হইতে দেখি নাই । একটু মানসিক বল সংগ্ৰহ করিতে পারিলে অস্ত ত: শিক্ষিতসমাজ হইতে এই কুপ্রথা অচিরেই উঠিয়া মাইতে পারে । ব্যক্তিগণের জীবনীশক্তি হ্রাসের আর একটি কারণ—অতিরিক্ত মস্তিস্ক চালনা এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রতি ক ৰ্ত্তব। পালনের অভাব । শরীরকে বাচাইয়৷ মস্তিষ্ক পরিচালনা করিলে যে প্রভূত BB BBS BD C BBB BB BB BBBB D DDK KD DK ggg আমরা বিলাতের কৰ্ম্মবীর চিস্তাশীল মনীষীগণের দৃষ্টান্ত হইতে শিক্ষা করি । আমাদের দেশে প্রায় সত্তর বৎসর বয়সেও যে চিন্তাশীল ব্যক্তি দেশের কাজে যোগ দিতে পারেন –তাইrর প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্ৰীযুক্ত স্তার গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, ঐযুক্ত সার চন্দ্রমাধব ঘোষ, শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । এইরূপে শরীরকে বাচাইয়৷ মস্তিষ্ক পরিচালনা করিবার অামার নিজের কয়েকটি মুষ্টিযোগ আছে। ইহাতে আমি নিজে বড়ই উপকার লাভ করিয়া থাকি । বলাবাহুল্য বঁtধার্যাধি fাধির উপর জীবন চালনা করিতে হইলে যৌবন কাল হইতেই নিয়মপালনে অভ্যস্ত হইতে হইবে, বৃদ্ধবয়সে সেরূপ অভ্যাস হওয়া অসম্ভব । ') & কষ্টিপাথর-—বঙ্গে অকাল বাৰ্দ্ধক্য 歌 vවA আমীর মুষ্টিযোগের সংখ্য অঞ্জ, চারিটি মাত্র । তাঁহাদের উদেষ্ঠ শরীর ও মস্তিষ্ককে পঁাচাইয়৷ মস্তিষ্ক পরিচার্লন কর । ( ১ ) সপ্তাহের মধ্যে ছয় দিন মানসিক শ্রম করার পর একদিন সম্পূর্ণরূপে বিশ্রাম করা। একদিন লেখাপড় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখিলে পরবর্তী ছয় দিনে বেশ পুরাদমে কাজ করা যায় । ( ২ ) বৈকালে ৫টা বা ৫॥•ট হইতে রাত্রি ৮ট। পর্যাস্ত কোনও 鬱 BBBBBB BB BBSB BBD DBBB BS SSS BBBB g সন্ধ্যাবেলায় খানিকট। শারীরিক পরিশ্রম ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবন একান্ত প্রয়োজন । আমাদের দেশে সকলেই অকালবিজ্ঞ । আমরা ফুটবল প্রভূতি থেলা ছেলেদেরই উপযুক্ত বলিয়। মনে করিয়া থাকি । খেলা আমাদের দ্বারা হইবে না, বেড়ান ত হইবে ? আমাদের মধ্যে যাহারা বেশী মানসিক পরিশ্রম করেন, তাহদের শারীরিক শ্রম একেবারেই নাই— ফলে বহুমুত্র, অজীর্ণ, অনিদ্র। প্রভূত রোগ সহজেই ইtহাদের জীবনসঙ্গী হইয়া উঠে । যাহার। সারাদিন মানসিক পরিশ্রম করেন, রাত্রে ঠাহীদের লেখাপড় ণ করাই ভাল । কারণ এরূপ অনেক স্থলে দেখা যায় যে রাত্রে লেখাপড়া করিলে সমস্ত রান্ত্রি অtর ভাল ঘুম হয় না । তবে র্যাহীদের উদরাক্সের জন্য দিনের বেলায় স্কুল, কলেজ, কাছারি DS BBB BBB DD DS BBBS BBB BBYB BBDBB BBS শুনা করিতে পারেন । মোটের উপর দিবসের মধ্যে আট নয় ঘণ্টার বেশী মানসিক শ্রম একেবারেই অনুচিত । (৩) বড় বড় ছুটিতে স্বাস্থ্যকর স্থানে বায়ু পরিবর্তন করিতে ষাওয়া এটা একটা ফ্যাশান নহে, এ ব্যবস্থা অনেকটা মৃতসঞ্জীবনীর কাজ করে—ইহাতে মনের অবসাদ সচে, মস্তিস্ক প্রকৃতিস্থ হুইবার অবকাশ পায়, শরীরের পরিএম খানিকট বাড়ে, স্বাস্থ্যও ভাল হয়, মানুষ অনেক সময়ে নুতন হইয় গৃহে ফিরিয়া আসে । যাহাম্বের সামৰ্থ আছে সমুদ্রযাত্রা করিয়া দেখিয়া স্বর্ণকুন- অন্য দেশগুলt আমাদের দেশের মত মাটির না সোনার । যাহার অর্থ কম আছে তিনি ধার করুন | শাস্থে লেখা আছে “পণং কুহ ঘূতং পিবেৎ" ; বিংশ শতাব্দ ' ত আর বিশুদ্ধ ধূ ত মিলে না, তাই কলিকালে এখন *ঋণং কৃত্ব বায়ুং পিবেং" এই মন্ত্ৰ চলিবে । আগে বল সংগৃহীত না হইলে খরচ করিবে কি ? ( 4 ) প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিক । আহারের ব্যবস্থা। বাঙ্গালীর পুষ্টিকর খাদ্য ডাল, মাছ, ঘি, দুধ । মাছ ও দুধের অভাব একটা জাতীয় সমসাtয় পরিণত হইয়াছে । ইহার এ কমাত্র প্রতি করি আছে —দ্বিতীয় প্রতিকার নাই । শিক্ষিত ভদ্রলোকের ছেলের। যদি মাছের CBB D BBBS BBB BB BBBK BBB BBB BBS BBBBB BB দুধ, ঘির অভাব ঘুচিবে, মাছ মিলিবে । যে দেশের লোকের গভীকে ভগবতী বলিয়। পুজা করে সেই দেশে বিলাতী টিনের দুধ খাইয়া BBBBS BYSK K BJBLSSSBB SBBB BBB DDDBB DD BBBS BBB BBS BB SB BBB KDB S 0ggBB BmmDBB BBBS সুবকের মস্তিষ্ক সবল এবং বুদ্ধের জীবনীশক্তি অটুট রাথিতে হুইবে— এহেন সমস্যার সমাধানকল্পে ঘেণ আমরা সকলেই চিন্তা করি । BSEYBB BBB BBSBBB ggD DBBK BBB BBBB BB নাই ; জীবন সংগ্রামে আমা দ গকৈ বাটিতে হইবে, জয়ী ওইতে BBB S BBBB BBBSBBB KBB BBB BSBBBSBBB BBB হইবে, কারণ র্ত হাদের মধ্য হইতেই দেশনায়ক, সমাজনায়ক, সাহিত্যাচার্য্য মিলিবে । ( ভারতী, অগ্রহায়ণ ) • শ্রীপঞ্চানন নিয়োগী ।