পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२br ( জমীদারদিগের ) নিকট হইতে মুচিলুক গ্রহণ করিতেছেন, প্রজাদিগের প্রার্থন ও মৃত কিফায়েৎ খাঁর কার্যপ্রণালীর অনুসরণ করিয়া আপনি ঐ-সকল (জমাদারগণের ) উপর রাজস্বের কিস্তি ধাৰ্য্য করিয়া দিতেছেন, তাহা এবং অন্যান্য বিষয় বাদশাহ অবগত হইলেন। আপনি লিথিয়াছেন—“তোপখানা, হস্তী এবং অন্যান্ত প্রাদেশিক খরচের জন্য ফলুরিয়া ও অন্যান্ত পরগন স্থায়ী খাস মহাল নির্দিষ্ট করিয়ী রাখিয়াছি, এবং বাদশাহের আজ্ঞানুসারে তাহ মুহম্মদ হাদী নায়েব-দেওয়ানের হাতে অপণ করিয়াছি। যদি বাদশাহ হুকুম করেন তবে ঐ মহালগুলি বখশী বা বোইউতাতের হাভে দিতে পারি।” প্রদেশের বোইউতাতের হাতে ঐ মহালগুলি সমপণ করা বাদশাহ অকুমোদন করিলেন । নিশ্চয়ই আজ্ঞানুসারে কাৰ্য্য হইবে । [ টকা। কিফায়েৎ খা মীর আহমদ বাঙ্গলার দেওয়ানের পদ হইতে চু্যত হইবার পর ১৬৯৭ খৃষ্টাব্দে সদরের খসি মহাল বিভাগের পেশকার নিযুক্ত হয়, এবং છે. খৃঃ মে মুসে মারা যায়। বখশীগণ সৈন্যদিগকে বেতনাদি বাটিয়া দিত ও তাহার হিসাব রাখিত। বোইউতাৎ—বাদশাহের গহস্থ্য সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক কৰ্ম্মচারী ; ইহারা মুত ব্যক্তির সম্পত্তির ফর্দ করিত এবং তাহা হইতে বাদশাহের অংশ লইত । ] - [ ૭ ] 編 শূজাউদ্দীন মুহম্মদকে উড়িষ্যায় নায়েবরূপে તાવિજ્ઞા উড়িষ্যা ও বালেশ্বরের খাজানা সহ আপনার বাঙ্গলা প্রদেশে রওনা হওয়া এবং অষ্টান্ত ঘটনা-পূর্ণ আপনার দুইখানি চিঠির সংক্ষেপ বাদশাহকে জানান হইল । আপনি লিখিয়াছেন, "উড়িষ্যার খাজনা আদায় হৈমন্ত শস্যের উপর নির্ভর করে ; তাহা অনেক দিন ধরিয়া জমা করিয়া রাখা হয়, এবং কোন উপায়ে বিক্রয় করিতে পারা যায় না ।” বাদশাহ তদুত্তরে বলিলেন যে,-“আমি শুনিয়াছি যে বণিকেরা এই শস্য গ্রহণ করে এবং তাহার পরিবর্তে যে জিনিষ চাওয়া যায় তাহ বন্দর হইতে আনিয়া দেয় ।” প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ .[ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড আপনি প্রস্তাব করিয়াছেন, “সমস্ত 'উড়িষ্যা প্রদেশটা যুবরাজের বেতনের জন্য নির্দিষ্ট হউক, এবং [ এখন ] বাঙ্গল ও বিহারে যে-সব খাস মহাল আছে তাহার পুরিবর্ভে [ অপর জমী । খাস কর, এবং হুজুর হইতে খাস মহালগুলি নির্দিষ্ট করিয়া দেওরা হউক।" তদুত্তরে বাদশাহ বলিলেন,—“মুর্শীদ কুলী তিন প্রদেশের এবং যুবরাজের সম্পত্তিরও পূর্ণক্ষমতাপ্রাপ্ত দেওয়ান। অতএব যে শাসন-] প্রণালী উপযুক্ত সুবিধাজনক এবং লাভকর মনে করে তাহ প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্তার [ আজীমূউশ-শানের । মনঃস্তুষ্টি ও সন্মতি অনুসারে যেন করে ।” আপনি লিথিয়াছেন,--“আমার বিহার প্রদেশে যাওয়া অত্যন্ত আবশু্যক । তথা হইতে ফিরিয়া মেদিনীপুর বা বৰ্দ্ধমান-যাহ আমার অধীনস্থ ফৌজদারী এলাকাগুলির কেন্দ্ৰ—যে ধানে হুকুম হইবে, তথায় যাইব । যদি উড়িষ্যা প্রদেশ যুবরাজের তন্‌খা নির্দেশ করা মঞ্জুর হয়, তবে হৈমন্ত, শস্য র্তাহার তনখা স্বরূপ দেওয়া হইবে, এবং বাঙ্গলার খাসমহল চাকুলাগুলির ফৌজদারীর বন্দোবস্ত বহাল রহিবে ।” তদুত্তরে বাদশাহ বলিলেন,— “তুমি এই-সব বিষয়ে নিজের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করিতে পার।’ আপনি লিখিয়াছেন, —“যদি উড়িষ্যা অন্ত কাহাকে প্রদান কবা হয় তবে আমি বৰ্দ্ধমান ও অন্যান্ত স্থানের কৰ্ম্ম হইতে অবসর লইব ।’ বাদশাহ বলিলেন “অন্ত কৰ্ম্মচারীকে দেওয়া হইবে না, তোমাকেই বহাল রাখিলাম।” এই উপলক্ষে বাদশাহকে জানান হইল যে আপনি আপনার পূর্ববৰ্ত্তী কৰ্ম্মচারীদিগের অপেক্ষা অনেক ভালরূপে উড়িষ্যার বন্দোবস্ত করিয়াছেন, এবং জমীদারদিগের নিকট হইতে উপঢৌকন (পেশ কশ ) লইয়। তাহ। সরকারী কোষাগারে দাখিল করিয়াছেন । শুনিয়া বাদশাহ বলিলেন, বাহব ! বাহব ! [ টকা । “মুর্শীদ কুলীখ। শাসনভার প্রাপ্ত হইয়াই প্রথমে বাদশাহের নিকট প্রস্তাব করিলেন যে বাঙ্গলার জাগীরগুলি রদ করিয়া তৎপরিবর্তে সকল কৰ্ম্মচারীকে উড়িয্যায় জাগীর দেওয়া হউক ।... প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ মঞ্জুর হইল।” ( &য়ার্ট, Sec. VI, ) ] শূজাউদ্দীন—মুশীদ