পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\^\\yo প্রারম্ভিক বস্তৃতা করিয়াছিলেন। ইনি হিন্দুধৰ্ম্মাবশ্বৰী। তিনি বলেন জাতিভেদের জন্ত ভারতবাসীরা সমকক্ষভাবে পাশ্চাত্য জাতিসকলের সহিত প্রতিযোগিতা করিতে পারিতেছে না। শিক্ষায় আমরা পিছাইয়া রহিয়াছি । স্ত্রীলোকেরা সামাজিক ও জাতীয় জীবনে আপনাদের জাতিভেদের এই হয় । শক্তি প্রয়োগ করিতে পারিতেছেন না । জঙ্ক শিল্প বাণিজ্যের উন্নতিতে ব্যাঘাত হইতেছে। সমিতির অধিবেশনে অনেকগুলি প্রস্তাব ধার্য্য তন্মধ্যে একটিতে বালিকা ও নারীদিগের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের জন্ত সকল সম্প্রদায়ের লোককে বিদ্যালয়সকলে শিশুদিগকে পাঠাইতে অনুরোধ কর। হয় । সরযুপারীণ ব্রাহ্মণসভা । গত ২৬শে, ২৭শে ও ২৮শে ডিসেম্বর হিন্দুর অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান হিন্দুপ্রধান অযোধ্যা নগরীতে সমগ্র ভারতের সরযুপারীন ব্রাহ্মণদিগের মহাসভার অধিবেশন হইয়াছিল। বঙ্গে যেমন রাঢ়ীয়, বীরেন্দ্র প্রভূতি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর ব্রাহ্মণ আছেন, আগ্রা অযোধ্যাদি প্রদেশে তেমনি কান্তকুজ, সরযুপারান প্রভূতি শ্রেণীর ব্রাহ্মণের বাস করেন। বারাণসীর বিখ্যাত পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় শিবকুমার শাস্ত্রী এই মহাসভার সভাপতির কাজ করিয়াছিলেন । ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশ ও জেলা হইতে দুই শতের অধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। যে সকল প্রস্তাব ধাৰ্য্য হয়, তাহার মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য । একটি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে, এবং অপরটি ছাত্রদিগকে বৃত্তি দিয়া শিক্ষাবিস্তারের সপক্ষে। সভাস্থলেই কুড়িটি বৃত্তি অঙ্গীকৃত হইয়াছে। এই সরযুপারীন ব্রাগণ মহাসভা শিক্ষিত সংস্কারকদিগের সভা নহে ; মহামহোপাধ্যায় শিবকুমার শাস্ত্রীও সেকেলে টোলের পণ্ডিত, তিনি সমুদ্রযাত্রার বিরোধী । সুতরাং সরযুপারীন ব্রাহ্মণ মহাসভায় বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রস্তাব ধার্য্য হওয়ার গুরুত্ব আছে । জার-গ্রাড না জার-গ্রাস ? ইণ্ডিয়ান ডেল নিউস বলেন যে রুশের ভূর্কের কন্‌ষ্টাণ্টিনোপলকে ইতিমধ্যেই জার-গ্রাড (Czargrad ) প্রবাসী—মাঘ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড নাম দির। ঐ নাম ব্যবহার করিতেছে । জার রুশিয়ার সম্রাটের উপাধি। জার-গ্রাড, মানে জারের দুর্গ বা পুরী। রিভিউ অব রিভিউজ নামক বিখ্যাত মাসিক পত্রের সম্পাদক বলিতেছেন যে “তুরস্ক যুদ্ধে যোগ দেওয়ায় একটা সমস্তার সমাধান হইল, যাহা সে নিরপেক্ষ থাকিলে কঠিন হইত ; সেটা হচ্চে কনষ্টাণ্টিনোপলের ভবিষ্যৎ । এখন আর কোন সন্দেহই নাই যে বৰ্ত্তমান যুদ্ধের অবসানে রুশিয়া ঐ সহর এবং বস্পোরাস প্রণালী দখল করিবে, এবং এই প্রকারে তাহার বহু আকাঙ্ক্ষিত বরফবিহীন একটি বন্দর পাইবে - যেহেতু তুরস্ক আর উহা দখল করিয়া থাকিতে পারিতেছে না, অতএব তাহার একমাত্র সম্ভব উত্তরাধিকারী রুশিয়া । আমুন আমরা রুশিয়াকে এই ভরসা দি, যে, তাহার বহুবিলম্বিত ভাগ্যলিপি ফলিবার বিরুদ্ধে অন্ততঃ এই ( ইংলণ্ড ) দেশে কোন চেষ্টা হইবে না ।” অবশু সম্পাদক মহাশয়ের মতে রুশিয়ার ললাটে বিধাতা লিথিয় রাখিয়াছেন যে তুমি কনষ্টাণ্টিনোপলের প্রভু হইবে, এবং সম্পাদক এই লিপি পড়িয়াছেন । ইহা একজন ইংরেজের মত মাত্র ; তাহার বেশী কিছু ঠিক করিয়া বলা যায় না। এখন আর একজন ইংরেজের আর এক বিষয়ে মত কি দেখা যাক্ । লর্ড হলুসবের পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডের লর্ড চান্সেলর ছিলেন। ইহা অতি উচ্চ পদ : তিনি গত ডিসেম্বর মাসে একটি বক্তৃতাতে জার্মেনীর সম্রাটুকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছেনঃ– “The eighth commandment had universal application.................. A man who thought himself appointed by God to seize another's property and an 12mperor wanting to possess a world cupire by seizing countries simaller that his own was a dirty thief and ought to he hanged.” অর্থাৎ “খুষ্টধর্মের দশ আজ্ঞার মধ্যে অষ্টম আজ্ঞা [ চুরি করিও না ] সৰ্ব্বত্রই প্রযোজ্য। কোন মানুষ যদি মনে করে যে সে ঈশ্বর কর্তৃক,অপরের সম্পত্তি দখল করিবার জন্ত নিযুক্ত হইয়াছে, একজন সম্রাট যদি তাহার নিজের দেশের চেয়ে ছোট দেশগুলি অধিকার করিয়া জগৎ-সাম্রাজ্যের অধিকারী হইতে চায়, তাহ হইলে সে একটা জঘন্ত চোর এবং তাহার ফাসী দেওয়া উচিত।”