পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(? o চরম উদেষ্ঠ বুলিয়ু মনে করিতে পারিলেন না। উtহার। উহার সঙ্গে অীর একটা জিনিস আনিয়া ফেলিলেন ; উহার নাম "করুণা ৷ ইহা যেমন-তেমন করুণ। নয়, সৰ্ব্বজীবে করুণ, সৰ্ব্বভুতে করুণা। রূপধাতু ত্যাগ করিয়া অরুপধfতুতে আসিয়া ঘেমণ সকল পদার্থকেই আকাশের ন্যায় অনন্ত দেঞ্চিাছিলেন, এখন সেইরূপ করুণকেও অনস্ত দেখি৩ে লাগিলেন । শুদ্ধ শূণ্ঠতা লষ্টয়া যে নিৰ্ব্বt ৭, প্রাণ শূন্য, নিশ্চল, নিম্পণ, কতকটা পাথরের মত, কতকটা শুকন। কাঠের মত হইয়াছিল ; করুণার স্পর্শে, তাহাতে যেন জীবন সঞ্চার হইল ; যাহারা অহৎ হওয়াই, অর্থাৎ কোনরূপে আপনাদের মুক্ত করাই, জীবনের লক্ষ্য স্থির করিয়াছিলেন, সমস্ত জগৎ যfহাদের চক্ষে থাকিলেও হই ত, না থাকিলেও হইত, জগতের পক্ষে র্যাহারা সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন, সেই বৌদ্ধর এখন হইতে আপনার উদ্ধারট আর তত বড় বলিয়। মনে করিতে পরিলেন না, জগৎ উদ্ধার তাহ1দের প্রধান লক্ষ্য হইল। আমার আমিত্বটুকু লোপ করিব, আমি মুক্ত হইব, আর আমার চারিদিকে কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ডের অনন্তকোটি জীব বদ্ধ থাকিবে, একি আমার সহ্য হয় ? বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বর সংসারের সকল গণ্ডী পার হইয়া ধ্যান-ধারণাদি বোধিসত্ত্বের মা কিছু কাজ, সব সাঙ্গ করিয়া, এমন কি ধৰ্ম্মস্ত,পের আগায় উঠিয়া শুষ্ঠতা ও করুণাসাগরে ঝাপ দিতে যান, এমন সময় তিনি চারিদিকে কোলাহল শুনিতে পাইলেন । তখন উfহার অtমিত্ব চলিয়া পিয়াছে, তঁtহার আয়তন আকাশের মত অনন্ত হইয়াছে, তাহার করুণাও আকাশের মত অনন্ত হইয়াছে । তিনি দেখিলেন ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত জীব দুঃখে আৰ্ত্তনাদ করিতেছে ; জিজ্ঞাসা করিলেন ‘কিসের কোলাহল ? তাহারা উত্তর করিল ‘আপনি করুণার অবতার আপনি যদি নিৰ্ব্বাণ লাভ করেন, তবে আমাদের কে উদ্ধার করিবে ? ' তখন অবলোকিতেশ্বর প্রতিজ্ঞা করিলেন "যতক্ষণ জগতের একটিমাত্র প্রাণী বদ্ধ থাকিবে, ততক্ষণ আমি নিৰ্ব্বাণ লইব না।’ খ্রীষ্ট্রের দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শর্তে বেীদ্ধেরা ভারতবর্ষে এই মত লইয়াই চলিত । ইহাকেই তখনকার লোকে মহাযান বলিত । BBK BBB BBB BB BB BB BB BBSBB SLLLSBB BS SSS BBB বোধিসত্ত্বের করুণায় অভিভূত হইয় পড়তেন, তখন তাহার। জীবের উদ্ধারের জন্য পুন: পুনঃ জন্ম গ্রহণ করিতে ও কুষ্ঠিত হইতেন ন। বুদ্ধদেব যে পঞ্চশীগ দিয়া গিয়াছেন, তাহ! ভাঙ্গিতেও কুষ্ঠিত DDu YS BBBBSBBBBSBKBBBS BBgSL LCBBD SaD জগৎ উদ্ধারের জন্য কোমর পধি {{ছে, তা হার যদি কোন দেtষ হর, সে দোষ একেবারে ধর্তবাই নয় ।” এই বৌদ্ধধর্মের চরম উন্নতি । মহাযানের দর্শন যেমন গভীর, ধৰ্ম্মমত যেমন বিশুদ্ধ, করুণা যেমন প্রবল, এমন আর কোন ধৰ্ম্মে দেখা যায় না। বুদ্ধদেবের সময় হইতে প্রায় হাজার বৎসর অনেক লোকে অনেক তপস্ত ও সাধন করিয়৷ এইমতের সষ্টি করিয়াছিলেন । ভারতবর্ষে তখন বড় বড় র; জ্য ছিল, নানাঃপ ধণগমের পথ ছিল, কৃষি বাণিজ্য ও শিল্পের যথেষ্ট বিস্তার হটতেছিল, বিণ্যfর যথেষ্ট আদর ছিল, ধৰ্ম্মের ও যথেষ্ট আদর ছিল । তাই এত লোকে এতশও বংসর ধরিয়া একই বিষয়ে চিন্তা করিয়া এতদূর উন্নতি করিতে পারিয়াছিলেন । জ্ঞান উপাৰ্জন সহজ, কিন্তু "জ্ঞানটি রক্ষা করা বড় কঠিন । মহাযানেরও এই জ্ঞান বেশীদিন রক্ষী হয় নাই । দেশ ক্রমে ছোট ছোট রাজ্যে ভাগ হইয়া গেল, সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য লোপ হইয়া আসিল, লোকেও দেখিল যে বহুকাল চিন্তা করিয়া বহুকাল যোগসাধন। করিয়া মহাযান হৃদয়ঙ্গম করা অসত্তব, সুতরাং একটা সহজ মত প্রবাসী—মাঘ, ১৩২১ هر بیر ۹ کیمی = اه [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড メ ヘーゞ-ヘーイ・ヘヘヘッ・ヘヘヘヘヘヘーヘ。 বাহির করিতে হইবে । বৌদ্ধ ভিক্ষুর রাজার দত্ত বুত্তিতে বঞ্চিৎ হইয়৷ যজমানদিগের উপর নির্ভর করিতে লাগিলেন ; উtহাদের আর চিস্ত করিবার সময়ও রহিল নী, সে স্বাধীনতাও রহিল না। মহাযানের নির্বাণ শূন্যত" ও "করুণায় মিশামিশি । এ নিৰ্ব্বাণের একদিকে "করুণা", আর একদিকে শূন্ততা, করুণ। সকলেই বুঝতে পারে । কিন্তু যে-সকল যজমানের উপর বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশী নির্ভর করিতে লাগিলেন, তাহাদিগকে শূন্যতা বুঝান বড়ই কঠিন । তাহারা শুষ্ঠতার বদলে আর একটি শব্দ ব্যবহার করিতেন— সেটি *লিরাত্মা” । নিরাত্মা শব্দটি সংস্কৃত ব1াকরণে ঠিক সাধ যায় না, কিন্তু এসময় বেীদ্ধেয়া সংস্কৃত ব্যাকরণের পঞ্জীর মধ্যে থাকিতে চাহিতেন না । উrহারা যজমানদিগকে বুঝাইলেন যে, বোধিসৱ যখন স্ত,পের মাথায় দাড়াইয়া আছেন, তখন র্তাহার। চারিদিবে অনন্ত শূন্ত দেখিতেছেন । এই শূন্তকে উtহার বলিলেন ‘নিরাত্মা', শুধু নিরাত্মা বলিয়া তৃপ্ত হইলেন না, বলিলেন “নিরাত্মাদেবী" অর্থাৎ নিরাত্মা শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ । বোধিসত্ত্ব নিরাত্মাদেবীর কোলে ঝ"াপ দিয় পড়িলেন । ইহা হইতে মজমামের বেশ বুঝিল, মানুষের মন কত নরম হয়, কত করুণায় অভিভূত হয় । সুতরাং নিৰ্ব্বাণ যে শুষ্ঠতা ও করুণার মিশামিশি, তাহাই রহিয়া গেল, অথচ বুঝিতে কত সহজ হইল । এ নিৰ্ব্বাণেও সেই অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব ও সেই অনস্ত ভাব, দিকে ও অনস্ত, দেশেও অনন্ত, কালেও অনন্ত । ( নারায়ণ, পৌব ) শ্ৰীহরপ্রসাদ শাস্ত্রী। বাঙ্গাল নাট্যসাহিত্যের পূর্ব-কথা জগতের প্রাচীন নাট্য-সাহিত্যের মধ্যে ভারতীয় নাট্যের স্থান অতি উচ্চ । গ্রীসে স্বেরূপ দায়োনিসাসূ দেবের উৎসব উপলক্ষে নাট্যtfভনয়ের সূত্রপাত হইযা ছিল, প্রাচীন ভারতেও সেইরূপ দেবদেবীর পূজা ও উৎসবাদিতেই প্রথম নাট্যাভিনয় আরম্ভ হয় । বৈদিক সাহিত্যের সংবাদগুলি কথোপকথনা করে গ্রথিত ; তাহা৩ে অনেকে অনুমান করিয়াছেন যে, বিশেষ বিশেয সঙ্গে ঐ কথোপকথন্ধগুলি বিভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক উচ্চারিত হইত । ইহাই ভারতীয় নাট্যের অতি প্রাচীন রূপ । ভারতীয় নাটকের এই স্বচনা হইতে কালক্রমে যে নাট্য সাহিত্য গঠিত হইয়া উঠিয়াছিল তাহা জগতের অন্য সমস্ত নাট্যসাহিত্য হইতে বিশিষ্ট । প্রাচীনকালে রাজসভায় বা দেবোৎসবাদিতে অভিনীত নাটকগুলি রচনানৈপুণ্যে মনোহর হইলেও সাধারণ দর্শক তfহাদের সম্যক রসগ্রহণ করিতে পারিত না । প্রাকৃতভtধfবহুল নাটকগুলি অধিকতর জনপ্রিয় হইও বটে, কিন্তু কথিত ভাষার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নাটকের ভাষার পরিবর্তন হইল না । কারণ আলঙ্ক রিকগণ নাটা-সাহিত্যকে কঠিন নিয়মপাশে বাধিয়া দিলেন । সংস্কৃত ভাণ, প্রহসন প্রভূতি নাট্যে সাধারণের মনোরঞ্জনের প্রয়াস লক্ষিত হয় বটে, কিন্তু এ প্রয়াস সফল হয় নাই । কাজেই সংস্কৃত নাট্যাভিনয় কেবল বিশেষ বিশেষ উৎসবের অঙ্গরূপেই বহুকাল জীবিত ছিল । ভারতে মুসলমান-প্রভাব পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হইলে হিন্দুর নাট্যকলা একরূপ নষ্ট হইয়া গেল। কারণ মুসলমাল শাসকগণ র্তাহাদেয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রে নাট্যাভিনয় নিষিদ্ধ বলিয়া নাট্যচর্চায় বিন্দুমাত্র উৎসাহ দান করিতেন না। বঙ্গদেশে যে-সকল প্রাচীন নাট্যকার জন্ম গ্রহণ করিয়াfছলেন উtহাদের মধ্যে ভট্টনারায়ণ, জয়দেব, রূপগোস্বামী ও কর্ণপুরের নামই বিশেষ উল্লেখযোগ্য। আদিশূরের সমসাময়িক ভট্টনারায়ণ