পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | ۹ تیر ۹ مار نه یس ۶۰ی - জানিতে চাহিয়াছেন, আমি নিজে বাড়ী বাড়ী ঘুরিয়া ৮ নম্বর বাজাপ্তী ইউনিয়ান হইতে সেই-সমস্ত বিষয়ের যতটুকু তথ্য সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি, তাহাই অতি সংক্ষেপে আপনাকে জানাইতেছি। t “চাউলের দর বর্তমান সময় ৫ ॥০ টাকা হইতে ৬০ টfক৮ বিগত বৎসর এই সময়ে ৪ টাকা হইতে ৫ টাকা পর্য্যন্ত ছিল। ডাল, তরকারী ইত্যাদির দরও বৃদ্ধি পাইয়াছে ; পাটের দর গত বৎসর ৬২ টাকা হইতে ১২< টাকা পৰ্য্যন্ত ছিল । কিন্তু এ বৎসর ॥• আন৷ হইতে ৩ ৪ টাকা ; তাহারও আবার খরিদার বেশী নাই । লোকে পেটের দায়ে সস্তী দামেই পাট বিক্রয় করিয়া ফেলিয়াছে। এখন ত ভয়ানক অর্থাভাব এবং তজ্জনিত অন্নাভাব উপস্থিত। এই ইউনিয়নের শতকরা প্রায় ৭৫ জন লোকের দু’বেল আন্নের সংস্থান হইতেছে না । জর, কলেরা, আমাশয়, পেটের অসুখ ইত্যাদি পূৰ্ব্ব বৎসর অপেক্ষ। এ বৎসর প্রচুরপরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে এবং পরিমাণ প্রায় দেড়গুণ বাড়িয়াছে। বস্ত্রণভাবে অনেক লোকে শাতে কষ্ট পাইতেছে। “এই ইউনিয়ানের বহু ছাত্র অর্থাভাবে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়াছে ও গ্রাম্য পাঠশালাতে অৰ্দ্ধেকের বেশী ছাত্রের বেতন আদায় করিতে পার। যাইতেছে না। বাজাপ্তী মধ্যইংরাজীফুলের প্রায় ৬০ জন ছাত্র বেতন দিতে অক্ষম হওয়ায় স্কুল পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছে। ( এই সমস্ত ছাত্রের নামের লিষ্ট কালীমোহন বাবু আমার নিকট প্রেরণ করিয়াছেন, বাহুল্য ভয়ে এ স্থলে ঐ লিষ্ট দেওয়া গেল না । ) কাটাখালি উচ্চ প্রাইমারি পাঠশালায় প্রায় ১• ০ জন ছাত্র অধ্যয়ন করিত, এখন ঐ পাঠশালায় ১৫।১৬ জনের বেশী ছাত্র নাই । “অল্পক্লিষ্ট লোকদিগকে সাহায্য করিবার শক্তি এদিকের অতি অল্প লোকেরই আছে । কারণ, কৃষকগণ জমীদারের খাজনা এবং মহাজনের ঋণ পরিশোধ করিতে না পারায় জমীদার, তালুকদার, মহাজন, সকলেরই অর্থাভাব উপস্থিত। গবর্ণমেন্ট এযাবৎ কোনপ্রকার সাহায্যের ব্যবস্থা করেন নাই । “হানারচর গ্রামের ছৈয়দ আলীর চোঁদবৎসরবয়স্ক। বিবিধ প্রসঙ্গ - বাঙ্গলাসাহিত্য ও সৰ্ব্বসাধারণের শিক্ষা 8>> কন্যা জামেলা খাতুন তিন দিন অনাহীয়ে থাকিয়া উদ্বন্ধনে প্রাণ ত্যাগ করিয়াছে । “চুরি অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে। অনেকের ক্ষেত্র হইতে পাকা ধান কাটিয়া লইয়া গিয়াছে, এবং বাগান ইইতে সুপারী চুরি করিয়া লইতেছে। হানারচরনিবাসী ডাক্তার শ্রীকালীচরণ মজুমদারের ক্ষেত্ত্ব হইতে ৮১০ মণ, শ্রীরাজকুমার চক্রবত্তীর ক্ষেত্র হইতে ১০১২ মণ এবং ঐরমণীমোহন মজুমদারের ক্ষেত্র হইতে ৪ ৫ মণ পরিমাণ ধান্ত কাটিয়া লইয়া গিয়াছে। সাদুল্লাপুর গ্রামের শ্ৰীহরিশচন্দ্র নাথের বাগান হইতে মুপারি চুরি হইয়াছে। মুকুন্দি গ্রামের একটি হিন্দুপরিবারের রান্নাঘরে প্রবেশ করিয়া ভাত লইয়া গিয়াছে ; ঘরের দাওয়াতে লিখিয়া গিয়াছে—“আমি হিন্দু, তোমাদের জাতি যাওয়ার আশঙ্ক নাই ” এইপ্রকার আরও অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চুরির সংবাদ পাওয়া গিয়াছে।” বাংলাসাহিত্য ও সৰ্ব্বসাধারণের শিক্ষা । বাংলাসাহিত্য সঁহাদের চেষ্টা ও মানসিক শক্তির ফল, তাহারা বিশেষ কোন একটি গ্রামের সহরের বা জেলার লোক নহেন । তাহারা বঙ্গের নানা জেলা, নানা সস্তুর ও গ্রামের অধিবাসী। তাগর কেবল পুরুষ কিম্ব। কেবল নারী নহেন ; গ্রন্থকারদের অধিকাংশ পুরুষ হষ্টলেও, তাহীদের • মধ্যে অনেক নারীও আছেন। স্ত্রীশিক্ষার বিস্তৃতি ও গভীরতাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লেখিকার সংখ্যাও বাড়িতেছে। কেবল পুরুষেরা লিখিলে যাহা হইত, নারীরা লেখনী ধারণ করায় তাহ হইতে স্বতন্ত্র নূতন জিনিষ কিছু কিছু পাওয়া গিয়াছে। তঁহাদের আত্মশক্তিতে বিশ্বাস যেমন বাড়িতে থাকিবে, র্তাহার। তেমনি কেবল পুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া ভয়ে ভয়ে ম। লিথিয়া স্বাধীন ভাবে লিখিতে থাকিবেন ; এবং তাহ হইলে বাংলাসাহিত্যে নূতন সম্পদ সঞ্চিত ও নুতন শক্তি সঞ্চারিত হইবে । বাঙালী গ্রন্থ। 'রের কেবল হিন্দু বা মুসলমান মহেন ; কেবল শূদ্র নহেন, বা দ্বিজ নহেন ; কেবল ব্রাহ্মণ, বা বৈদ্য বা কায়স্থ নহেন। অন্যান্য জাতির লোকও ভাল বহি লিখিয়াছেন। যাহারা যে পরিমাণে