পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ ৫ম সংখ্যা ] AMMA AJAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA - ATwه. অঙ্কুরক্ত ছিলেন। র্তাহারা ক্ষীণচেতা, অত্যাচারী, ইন্দ্রিয়পরায়ণ ইঙ্গায়ুধকে প্রীতির চক্ষে দেখিতেন না। প্রজাবৃন্দ গুর্জররাজের ভয়ে প্রকাশুে বিদ্রোহাচরণ করিত ন, কিন্তু তাহার গোপনে গোপনে উদারচেতা সদয়হৃদয় বজায়ুধের জন্য শোকপ্রকাশ করিক্ত । কন্যকুজরাজ্যের সামন্তগণ হইতে সামান্ত কৃষক পৰ্য্যন্ত বজায়ুধের পুঞ্জের বয়ঃ প্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছিল । গৌড়ীয়ুসেন। সঙ্গে লইয়া চক্রায়ুধ যখন পিতৃরাজ্যে প্রবেশ করিলেন, তখন দেশে ইন্দ্রায়ুধের পক্ষপাতী একব্যক্তিও ছিল না । ইন্দ্রায়ুধ পলায়ন করিলে রাজ্যের প্রধানী প্রধান দুর্গের নায়কগণ সৈনিকগণের হস্তে নিহত হইল, প্রজাবৃন্দ বিদ্রোহী হইয়। কৰ্ম্মচারীগণকে হত্য। করিল, একদিনে কানাকুজে ইন্দ্রায়ুধের অধিকার লোপ পাইল, বজায়ুধের সময়ের কৰ্ম্মচারী ও সেনানায়কগণ বহুকাল পরে স্বপদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন । ধৰ্ম্মপাল ও চক্রায়ুধ স্পষ্ট বুঝিতে পারিলেন যে, ইন্দ্রায়ুদ্ধ গুর্জর রাজের সহিত ফিরিয়া আসিলেও বিনা-অয়াসে রাজ্য অধিকার করিতে পাব্লিবেন না,কিন্তু তথাপি তাহারা রাজধানীতে অভিষেকোৎসব আরস্ত করিতে সন্মত হইলেন না। ধৰ্ম্মপাল ও ভীষ্মদৃেবকে বিশ্বানন্দ কহিয়াছিলেন যে, যতদিন কান্যকুজরাজ্যের চতুর্দিকের রাজগণ চক্রায়ুধকে কান্যকুজরাজ বলিষ্ট স্বীকার না করিবেন ততদিন যুদ্ধ শেষ হইবে না। ধৰ্ম্মপালদেব তাহার উক্তির যাথার্থ্য বুঝিতে পারিয়া কান্যকুজরাজ্যের সামস্তগণের অনুরোধ রক্ষণ করিতে পারেন নাই । বৃদ্ধ ভীষ্মদেব বুঝিয়াছিলেন যে, শীঘ্রই ভীষণযুদ্ধের আয়োজন করিতে হইবে । তিনি যমুনার উত্তরতীরে প্রতি ঘাটে ঘাটে গৌড়ীয়সেন সমাবেশ করিয়া বিমলনন্দী ও প্রমথসিংহের সাহায্যে নুতন সেনা সংগ্ৰহ করিতেছিলেন। প্রতিষ্ঠানে রণসিংহ, কৌশাম্বীতে বীরদেব, মথুরায় কমলসিংহ ও স্থার্থীশ্বরে জয়বৰ্দ্ধন চক্রায়ুধের রাজ্যের সীমান্ত রক্ষ। করিতেছিলেন। প্রতিষ্ঠান হইতে স্থাধীশ্বর পর্য্যন্ত শত শত ক্রোশব্যাপী সীমান্তের পরপারে গুর্জররাজ্যের সীমা আরম্ভ হইয়াছে। গৌড়ীয় সামন্তরাজগণ দেখিতে পাইলেন যে, সৰ্ব্বত্র গুর্জরসৈন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইয়। - * > ধৰ্ম্মপাল S S JSSS SSSJ SA SSASAS SS SAAAA S S SAAAAA ৬৬১ আছে ; ঘাটে ঘাটে অশ্বারোহী ও পদাতিকসেনা সৰ্ব্বদ সশস্ত্র হইয়। অপেক্ষ করিতেছে। পথিক ও স্বার্থবাহগণ সীমান্ত অতিক্রম করিবার অনুমতি পাইতেছে না, সীমান্তের প্রতি-দুর্গে প্রতিদিন নুতন সেনা আসিতেছে, যমুনাতীরে শত শত স্থানে সেতু নিৰ্ম্মাণের জন্য নীক সংগৃহীত হইয়া আছে, কিন্তু কোন স্থানেই গুর্জররাজের সেনা গোঁড়ায়সৈন্তকে আক্রমণ করিঃেছে না। সীমান্ত হইতে এই-সকল সংবাদ পাইয়। ধৰ্ম্মপাল ও চক্রায়ুধ বুঝিলেন যে, বিশ্বানদের কথা সত্য, যুদ্ধ তখনও শেষ হয় নাই । ধৰ্ম্মপাল ভাবিলেন যে, গুর্জররাজ বোধ হয় আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন, তিনি হয়ত ভাবিয়াছেন যে, ইন্দ্র যুদ্ধকে সাহায্যপ্রদানের জন্ত চক্রণয়ুধ পিতৃবৈরীকে আক্রমণ করিবেন। গৌড়েশ্বর একদিন মন্ত্রণাসভায় মনোভাব প্রকাশ করিয়া ভিল্লমীলে দূত প্রেরণের ইচ্ছা জ্ঞাপন করিলেন । বিশ্বানন্দ, ভীষ্মদেব, চক্রায়ুধ ও বিমলনন্দী একবাক্যে কহিলেন যে দূতপ্রেরণ_ বৃথা । চক্রায়ুধ জানাইলেন যে, বিশ্বাসঘাতক গুর্জরe রাজগণ যখন যুদ্ধের আয়োজন করে তখন দীর্ঘকাল এইরূপভাবে প্রস্তুত হইয় থাকে এবং সুযোগ বুঝিয়। যুদ্ধঘোষণ। না করিয়া সহসা পররাজ্য আক্রমণ করিয়া বসে। ধৰ্ম্মপাল নিরস্ত না হইয়া ভিন্নখালে দূত প্রেরণ করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। তন্মদেবের অনুরোধে সেইদিনই জনৈক অশ্বারোহী গৌড়ে মহাকুমার বাকৃপালের নিকট প্রেরিত হস্কুল, সম্রাট বাকৃপালকে নূতন সেন সংগ্ৰহ করিতে আদেশ প্রেরণ করিলেন । তখন বৰ্ত্তমান পঞ্জাব ও রাজপুতানা গুর্জরজাতি কর্তৃক অধিকৃত হইয়া ছিল । ভোজ, মৎস্য, অল স্তী, গান্ধার, মদ্র, কুরু, যদু ও কীর প্রভূতি প্রাচীন রাজ্য গুঞ্জর সমস্তগণের হস্তগত হইয়াছিল । ইহারা সকলেই ভিল্লমালের গুর্জররাজের অধীনতা স্বীকার করিতেন কিন্তু পক্ষে তাহারা স্বাধীন রাজা ছিলেন। গৌড়েশ্বর গুর্জয়রাজচক্রের সমস্ত রাজার নিকট দূত প্রেরণ করা স্থির করিলেন । যথাসময়ে দূতগণ বজ্রায়ুধের পুত্র চক্রায়ুধের সিংহাসনারোহণ-বৰ্ত্তা বহন করিয়া ভিন্ন ভিন্ন গুর্জররাজধানীতে যাত্রা করিল। প্রকৃত