পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬৬ eबांगैौ-कांख्न, ५७२१ [ ss* डॉग, २ग्न पं७ / SAAAAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAA AAAAMSJMSAAAAAA AAAA AAAAJJA AJAJAAJJAJJAMMAMAAMAAJJJYJAAMMAMMAJJAAAA \ാഷ്ട് স্থানে গুর্জরগণ যমুনাতীর আক্রমণ করায় আমাদিগের {সেনা পরাজিত হইয়া পশ্চাৎপদ হইয়াছে। মহারাজাধিরাজ পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তের সেন সংগ্ৰহ করিয়া কান্তকুঞ্জে আসিতেছেন। তিনি গৌড়েশ্বরের সমীপে আমাকে নিবেদন করিতে আদেশ করিয়াছেন যে, শীঘ্রই তিনি সসৈন্তে রাজধানীতে অবরুদ্ধ হইবেন এবং ভরসা করেন যে, গৌড়েশ্বর শীঘ্রই তাহার সাহায্যার্থ অগ্রসর হইবেন।” ভীষ্মদেব দূতের কথা শুনিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, তাহা দেখিয়া সামন্তরাজগণ সকলেই উঠিয়া দাড়াইলেন। প্রমথ সিংহ বস্ত্রাবাসের দ্বারে দাড়াইয়৷ উচ্চৈঃস্বরে ডাকিলেন, “মহারাজ, শীঘ্র বাহিরে আমুন।" ধৰ্ম্মপাল তৎক্ষণাৎ বস্ত্রাবাসের বাহিরে আসিয়া দাড়াইলেন। ভীষ্মদেব ও প্রমথসিংহ কহিলেন, “মহারাজ, চক্রায়ুধ দুত প্রেরণ করিয়াছেন ; পুনরায় যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে ; "নগণ যুদ্ধ ঘোষণা না করিয়াই কান্যকুজরাজ্য আক্রমণ করিয়াছে। যমুনাতীরে চক্রায়ুধের সেনা পরাজিত হইয়াছে, গুর্জরগণ নদী পার হইয়াছে। সমস্ত গুর্জররাজচক্র মিলিত হইয়া কান্যকুব্জ আক্রমণ করিয়াছে। চক্রায়ুধ হটিতে হটিতে কানাকুঞ্জে আসিতেছেন।” তাহাদিগের কথা শুলিয়া ধৰ্ম্মপালের মুখ বিবর্ণ হইরা গেল, তিনি কিয়ৎক্ষণ পরে আত্মসংবরণ করিয়া কহিলেন, “উত্তম। তাত ভীষ্মদেব, আপনার কথাই সত্য । cप्लेशैश সামন্তগণ, গৌড়ীয় সেনার গৌড়ে প্রত্যাবর্তনের এখনও বিলম্ব আছে। আপনার প্রস্তুত হউন ; কণ্য প্রাতে কান্যকুজের পথ ধরিব । ভীষ্ম।—মহারাজ, কান্যকুজে প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকটি ব্যবস্থা করিতে হইবে। এখন উদ্ধব ঘোষ প্রতিষ্ঠান দুর্গে আছে, তাহাকে নুতন যুদ্ধের কথা জানাইতে হুইবে ও গৌড়ে মহাকুমার বাকৃপালদেবকে সত্বর নূতন দেন। পাঠাইবার জষ্ঠ দূত প্রেরণ করিতে হইবে ! এম৫ – কৌশাৰী হইতে স্থার্থীশ্বর পর্য্যন্ত বিস্তৃত সমস্তের সকল স্থানেই যুদ্ধ হইবে। গৌড়ীয় সেনা ভাগ করিয়া লইলে হইত না ? ভায় – প্রমখ, তুমি এখনও বালক, তুমি গুর্জরদিগের রণনীতি অবগত নহ। গুর্জয়যুদ্ধ সীমাস্তে হইবে না, অস্তুৰ্ব্বেদীর মধ্যে পঙ্গপালের স্তায় গুর্জর সেনা অামাদিগকে বেষ্টন করিবার চেষ্টা করিবে। আমরা যদি তাহাদিগের বৃহ ভেদ করিতে পারি তাহা হইলেই দেশে ফিরিব, নতুবা সহস্ৰ সহস্ৰ গৌড়ীয় সেনার একজনও গৌড়ে ফিরিবে না । ধৰ্ম্ম – তাত, কান্যকুজ-দূতকে ফিরিয়া যাইতে বলিব কি ? ভীষ্ম – মহারাজ, দূত ফিরিবার আবখ্যক নাই, তাহা হইলে গুর্জরগণ গুপ্তচরমুখে আমাদিগের আগমন-সংবাদ ইবে । ধৰ্ম্ম।— উত্তম। দূত তুমি বিশ্রাম কর । কল্য প্রাতে আমরা সকলে কান্যকুক্সে ফিরিব। সন্ধ্যায় গঙ্গাতীরের বিস্তুত স্কন্ধাবার প্রত্যাবর্তনোমুখ গৌড়ীয়গণের সঙ্গীতধ্বনি ও আনন্দকোলাহলে মুখরিত হইয়া উঠিয়াছিল, শিবির সহসা নিস্তব্ধ হইল। বিদ্যুদ্বেগে নুতন যুদ্ধের সংবাদ স্কন্ধাবার-মধ্যে প্রচারিত হইল, প্রবাসী গৌড়ীয়সেন বিষণ্ণবদনে নূতন যুদ্ধের জন্ত প্রস্তুত হইতে লাগিল । সমস্তরাত্রি সমস্ত ও নায়কগণ যুদ্ধাভিযানের জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। আহত ও অকৰ্ম্মণ্য সৈনিকগণ প্রতিষ্ঠানে প্রেরিত হইল ; সেনাগণের ভগ্ন ও অকৰ্ম্মণ্য অস্ত্রশস্ত্র পরিবৰ্ত্তিত হইল। লৌহিকগণ ভগ্ন ও অসম্পূর্ণ বৰ্ম্মসংস্কার করিতে লাগিল, সেনাগণ যুদ্ধের জন্য সজ্জিত হইয়া বিশ্রাম করিতে লাগিল । ংজনীর প্রথম প্রহরে সম্রাটের বস্ত্রাবাসের সম্মুথে দাড়াইয়। জয়বৰ্দ্ধন, কমলসিংহকে কহিলেন, “কমল, তোমার ভগ্নীর বিবাহের এখনও বিলম্ব আছে দেখিতেছি, ধৰ্ম্মপাল ব্যস্ত হইলে কি হইবে, বিধাতা এখন কল্যাণীর বিবাহের জন্য মোটেই ব্যস্ত নহেন।” বিষণ্ণবদনে কমলসিংহ কহিলেন, “জয়, কল্যাণী বড়ই অভাগিনী ; মহারাজ কল্যাণীকে বড়ই প্রীতির চক্ষে দেখেন। আমি উদ্ধবের মুখে শুনিয়াছি কল্যাণী নাকি মহারাজকেই বরণ করিয়াছে।” মহারাজ যে গোকর্ণে মনটি হারাইয়া আসিয়াছেন সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই । অামি যখন গোকর্ণে তীর্থদর্শনের কথা বলিলাম তখন মহারাজের মুখ লাল হইয়। উঠিয়াছিল। দেখিয়াছিলে ?