পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ৷ পারে, "ইহা যাহারা ভাবে, তাহারা সৎ ষে কি তাহ। জানেই না। সৎ যাহা তাহ ভিতরে বাহিরে উদ্দেশ্বে ফলে সব দিক দিয়া সৎ । মোগল রাজত্বকালে মরাঠা নেতাদের মধ্যে কেই কেহ খুব মহৎকাজ করিতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু কাহারও স্বারা স্বাধীনতালাভ বা অন্য মহৎ উদ্দেশুসুধিনের উপায়স্বরূপ লুণ্ঠন হওয়ার কালে লুণ্ঠনই অনেক নেতার, “বগাঁ”দের, এবং পিণ্ডারী দস্থ্যদের প্রধান বা একমাত্র উদ্বেগু হইয়। উঠে । ইহা মরাঠাদের অধঃপতনের এবং ভারতবর্যে বিদেশীশক্তির প্রাধান্সের অন্যতম কারণ । ইতিহাস ভাল করিয়া পড়িলে অীমাদের একথার প্রমাণ পাওয়৷ যাইবে । যে-সকল যুবক স্বাধীনতা চান, র্তাহাদের স্বাধীনতা কথাটার অর্থও ভাল করিয়া বুঝা উচিত। স্বাধীনতার অর্থ। একরকমের স্বাধীনতা এই যে, দেশের রাজা সেই দেশের, সেই দেশের অধিবাসী কোন জাতি হইতে উদ্ভূত, এবং সেঙ্গ দেশেই থাকেন। এরূপ রাজা যদি যথেচ্ছাচারী হন, তাহা হইলেও সে দেশকে স্বাধীন বলা হয় । কিন্তু এরূপ স্বাধীনতা সন্তোষজনক নহে । যদি সন্তোষজনক হই ত, তাহ। অবলম্বিত হইলে তুরস্কের মুসলমান অধিবাসীরা সুলতান আবদুল হামিদকে সিংহাসনচু্যত করিয়া তাহার ভ্রাতাকে সিংহাসনে বসাইত না । বৰ্ত্তমান সুলতান প্রজাবর্গেব প্রতিনিধি দ্বারা নিৰ্দ্ধারিত শাসনপ্রণালী অনুসারে চলিতে এবং তাঁহাদের সাহায্যে আইন করিতে বাধ্য। চীনের সম্রাট মাঞ্চুবংশের লোক ছিলেন, মাঞ্চু অভিজাতবর্গ প্রধান প্রধান কাজ পাইত । মাঞ্চুর। চীনেরই অধিবাসী হইয়া গিয়াছিল। তথাপি চীনের লোকেরা সস্তুষ্ট হয় নাই। জাপানেও জাপানেরই দেশী সম্রাট রাজত্ব করিতেন, কিন্তু সামুরাই অভিধেয় ক্ষত্রিয় অভিজাতেরাই প্রধান প্রধান রাজপদে প্রতিষ্ঠিত থাকিত। জাপানীরা তাহাতে সন্তুষ্ট ছিল না । এখন জাপানে সম্রাট প্রজাতন্ত্রপ্রণালী অনুসারে রাজত্ব করেন, এবং সকলশ্রেণীর প্রজাই উচ্চতম রাজকাৰ্য্য পাইবার বিবিধ প্রসঙ্গ—স্বাধীনতার অর্থ やか>(? অধিকারী । অতএব দেখা যাইতেছে যে দেশী রাজ। বা •দেশের শ্রেণীবিশেষ শাসনকৰ্ত্ত হইলেই দেশকে স্বাধীন বলা উচিত নয়। স্বাধীনতার সার বস্তু এই যে প্রজারা নিজে বা তাহাদের প্রতিনিধিরা আইন করিবে, ট্যাক্স বসাইবে কমাই বে বাড়াইবে, ট্যাক্সদ্বারা প্রাপ্ত রাজস্ব একমাত্র দেশের লোকের মঙ্গলের জষ্ঠ্যe ব্যয় করিবে, দেশের লোকেরা জাতিধৰ্ম্মশ্রেণী নিৰ্ব্বিশেষে যোগ্যতা অনুসারে যে-কোন উচ্চ বা অস্বচ্চ পদ পাবে, কাহারও উপর জুলুম জবরদস্তা হইবে না, এবং আইনসঙ্গত বিচার ব্যতিরেকে কেঙ্ক কাহারও সম্পত্তির উপর বা ব্যক্তিগত দৈহিক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করিতে বা প্রাণবধ করিতে পারিবে না । তাহার দণ্ড হক্টবে। যদি কেহ মাকুযকে ষন্ত্রণা দিয়া, প্রাণে মারিবার ভয় দেখাষ্টয়া, বা প্রাণে মাfরয় তাহার ধন অপহরণ করে, তাহা হইলে এখানে ত স্বাধীনতার মূলনীতিভঙ্গ সম্পূর্ণরূপেই হঠল । শ্রাম দেশকে জাতিকে স্বাধীন করিতে. চায় ; কিন্তু রামও ষে দেশের একজন, রামকেও লইয়াও জাতি । রামের উপর জুলুম জবরদস্তি, রামের সর্বস্ব অপহরণ, রামের প্রাণবধ দ্বারা শু্যাম যাহা করিতে চায়, তাহাকে করিলে, যে কfরবে শু্যাম ষে নামই দিকনা কেন, তাহ স্বাধীনতা নহে ইতিহাস খুজিয়া ১১ টা বর্তমান সময়ে অ প্রযোজ্য দৃষ্টান্ত দ্বারা খামের পক্ষসমর্থনের চেষ্টা কব বুখ। আমরা ইতিহাসের দৃষ্টান্ত অপেক্ষা মানুষের ধৰ্ম্মবৃদ্ধি এবং প্রত্যেক মানুষের স্বাতন্ত্র্যকে বড় জিনিষ বলিয়া মানি । তা ছাড়া, ইতিহাসে যেখানেই দেশের একশ্রেণীর লোক অষ্ঠশ্রেণীর লোকের উপর অত্যাচার করিয়া দেশকে তথাকথিত স্বাধীনতা দিতে চাহিষণছে, সেখানেই ( যেমন প্রথম ফরাশি রাষ্ট্রবিপ্লবের সময়ে ও পরে ) স্বাধীনতার নামে ভীষণ অত্যাচার ও রক্তপাত হইয়াছে, এবং নূতন নামে পরাধীনতা আসিয়াছে । আমরা ত্রিকালদশী নহি ৷ ‘ ভারতবর্ষ স্বাধীন হইবে কি না, হইলে কথন হইবে, বা কি উপায়ে হইবে, তাহা আমরা মানস দিব্যচক্ষুতে পরিষ্কাররূপে দেখি নাই ; স্বতরাং সে বিষয়ে কিছু বলিতে পারিলাম না। আমরা