পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা J へ一へ へヘヘヘヘヘヘヘ「へ*ーヘ・マ、ベ هم متمی احتسع i o ,' t io *** { i داستان به তাজমহলের তোরণ । বাড়াইয়। তোলে, তাজের তোরণও তেমনি । এই তোরণের ললাটে আরবী বচন মন্মর-অক্ষরে লেখা আছে —যাহার অন্তর পবিত্র নয় সে যেন ৩গবানের ফুলবাগানের অন্তরে না প্রবেশ করে । to ষ্টভেন্স বলিয়াছেন—“তাজমহলের দুধারে তিনগম্বুজের লাল পাথরের বাড়ী ; অগ্নিলোহিত এই বাড়ী ছুটির মাঝখানে চুনির মাঝে মুক্তার মতো নিটোল সুন্দর তাজটি ! তাজের চারিদিককার বাড়ী ঘর, তোরণ চত্বর, বাগান কেয়ারি, ফোয়ার জল, উৎকীর্ণ লিপি প্রভূতির মাঝখানে শুধু, চোখে পড়ে কল্পনার চেয়েও মুন্দর তাজমহল ; কিন্তু লক্ষা করিয়া দেখিলে দেখা যায় সকলের সহিত তাঙ্গের কি পরিপূর্ণ সামঞ্জস্য ; যেমন তাজমহল তেমনি তাহার আশেপাশের সমস্ত বিভূতিই নিখুঁত ! এ যেন আরব্য উপন্যাসের পল্লীর কাহিনী !” কেহ কেহ প্রথম সাক্ষাতে তাজমহলের পূর্ণ সৌন্দর্য্য প্রেমের মৰ্ম্মর-স্বপ্ন ৬২৭ উপলব্ধি করিতে পারে না। একজন দর্শক লিথিয়াছেন— *প্রথম সাক্ষাদ্ধতর অসন্তোষ শীঘ্রই অন্ধুতাপে পরিণত হয় । তারপর ছায়াস্নিগ্ধ ৩াজমহলের, কোলে মৰ্ম্মরজালির রক্কে রক্কে আলোর চুমকির উকি ঝুকি দেখিতে দেখিতে মন সৌন্দর্য্যের রসে পুর্ণ ইষ্টয়া আসে।” . • এই মর্শ্বর-জালির সমতুল্য সামগ্রী ভুগতে আর নই, ফাগুসন ইহার সম্বন্ধে বলিয়াছেন—“দেয়াগে দেয়ালে মিনার কাজকরা পুষ্পপত্র ও বিচিওঁ নক্সার জালি সমগ্র তা জটির মতনই সুসঙ্গত ও সুসমঞ্জস ।" একজন লিথিয়াছেন—“তাজমহলের যে অতীন্দ্রিয় সৌন্দর্য্য তাহ। তাহার উপকরণ ও বর্ণের মহোস্থ্যে, আর গঠণশিল্পের অসম্ভব রকমের সাদাসিধা কারুকৌশলে!” তাজমহলের সৌন্দর্য। খুলে ভালে সন্ধ্যার স্নিগ্ধ আলোকে বা জ্যোৎস্নার অবাধ প্লাবনে । “স্তব্ধ নিঃশব্দ রঞ্জনীর জ্যোৎস্ব-সাগরে একটি মুক্তাবিন্দুর মতো স্বচ্ছ টলটল করে তাজমহল। সেই নিস্তব্ধতার পথ বাহিয়। সমস্ত সৌন্দর্য্য তরুণী স্বন্দরীর মতো যেন দর্শকের হৃদয়ের মধ্যে নামিয়া আসে ।” ল্যাণ্ড র তাজমহলের বর্ণনা করিয়াছেন—“যখন সন্ধ্যার গৈরিক রাগিণী মন উদাস করিয়া পশ্চিমে মিলাইয়া যায়, যখন যমুম্বাবু কালে জলে সন্ধ্যার ছায়া ধন হইয়া পড়ে, যখন মুদু বা তাসে পিপল গাছের পাতায় পাতায় কাপন জাগে, যখন একটা একটা বাদুড় দীর্ঘ কালে। ডানা মেলিয়। নিঃশব্দে স্বচ্ছ নীল আকাশের বুক চিরিয়া দ্রুত উড়িয়া যায়, তখন তাজমহল চোখে দেখা যাক আর না-যাক, প্রাণের মধ্যে তাজমহলের সকল সৌন্দৰ্য্য ফুটিয় উঠে– মনে হয়, এখানে বাদশাহের পরমপ্রেয়সী শয়ান আছেন, আর তাহার পাশে আসিয়া ঠাই পাইয়া ছেন হৃতরাজ্য হৃত সিংহাসন শেfকীৰ্ত্ত বাদশাহ । তথন মনে হয় মানুযের যাহা কিছু প্রিয়, যাঙ্গ fকছু পবিত্র, যাহা কিছু সুন্দর, তাহ। এই ৩াজের অন্তরে নিহিত আছে! তাজমহল মহিমামণ্ডিত অপুৰ্ব্ব সুন্দর প্রেমের স্বস্তিক— পৃথিবীতে যতকাল নরনারীর প্রেম জাগ্রত জ:বস্ত থাকিবে ততদিন মুগ্ধ নরনার, মমতাজমহলের উদ্দেশে পুষ্পাঞ্জলি গইয়া এখানে আসিবেই আসিবে । সে শ্রদ্ধ। শুধু সেই