পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-89 প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ২য় খ .চেয়ে রেশী পাওয়া যায় তাহা বুঝিতে পারিল না, বুঝাইতে পারিল না । রেরা কিন্তু মনে-মনে তীরের মন পথ কাটিয়া লইল । দিনটাকে স্বনীর করিয়া নিঃশেষ করিয়া দিতে হইবে । স্বকাস্তের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “লক্ষ্মীটি একটু বোসো, এখুনি ক্ষাসছি।” রেবা অন্ত-একটা প্রকোষ্ঠে চলিয়া গেল আর সুকাস্ত বসিয়া ভাবিতে লাগিল । আধঘণ্টা পরে রেবা হাসিতে হাসিতে ঘরে ঢুকিল । -ততক্ষণ সে স্নান সারিয়া আসিয়াছে। তার দীপ্ত ও স্নিগ্ধ মুখের দিকে তাকাইয়া স্বকান্ত বলিল, “স্নান করলে যে ” “করতে হয়।” - “কেন ?” “আজ পয়লা আষাঢ় ।” পয়লা আষাঢ় যেন কত পবিত্র দিন। তার কথার ভঙ্গীতেই এমন-কিছু ছিল যাহা স্বানের শুচিত্ব জানাইয়। দিল। হায় মেঘদূতের কবি ! তোমার লেখার পর অনেক যুগ অতীত হইয়াছে, বিরহের অনেক অশ্রু ঝরিয়া পড়িয়াছে, শুচিতার ছাপ তোমাকে কেহ দিয়াছে কি ? -মুকান্ত বুঝিল কালিদাসের সম্মান আরম্ভ হইয়াছে। রেবা তেমনিভাবে বলিল, “তোমাকেও স্নান সেরে নিতে বলতাম, কিন্তু বাইরে তোমার কতগুলো কাজ আছে, তাই তুমি পরে স্বান করবে।” এই বলিয়া তার হাতে সলজ্জভাবে একটা বেশী করিয়া -ভাজ করা কাগজের টুকরা দিয়া বলিল, “লক্ষ্মীটি, এটি হাতে করে, তুমি আমাদের বাজারে চলে, যাও। সেখানে না-যাওয়া পৰ্য্যন্ত এটি খুলবে না । বলে, খুলবে না ?” রহস্যময়ী এ-মূৰ্ত্তি মন্দ লাগে না। স্বকান্ত তারি স্বর চুরি করিয়া বলিল, “আচ্ছ, খুলব না।” “ঠিক ত ?” .**ठेक !” বাজার খুব বেশী দূর নহে। দু-মিনিট আগে বা পরে খুলিয়া কি ক্ষতিবৃদ্ধি হয় তা বুঝাইতে পার কঠিন। কিন্তু কুকস্তি আজ্ঞা পালন করিল। বাজারে গিয়া খুলিতেই তার চোখে নিম্নলিখিত ফৰ্দ্দখানি পড়িল — মোমবাতি ১২টা ধূপ ر/e ধূনা ᎪᎭ দড়ি y० ट्धांनी পেরেক yেe অর্ণনা ফুল (যুই, মল্লিক, শিউলি )।• আনা মালা (੪ੀ ) কালিদাসের ছবি ১ খানা রমণীর মন ! মুকাস্ত ভাবিয়া মরিতেছিল কি করি আজিকার দিনের শোভা বাড়ে, আর রেবা না ভাি চিন্তিয়া তৎক্ষণাৎ তাহা নির্দেশ করিয়া দিল। ফুে মত এমন জিনিষ আর কোথায় পাওয়া যাইবে ? বিে রেবা ফুলের পাগল । স্বকান্ত ফর্দের কতখানি বুঝিল, কতখানি বুঝি পারিল না। দড়ি, পেরেক কিসে লাগিবে বুঝি পারিল না। তার আর রেবার জন্য দুইটা মালাই যা অথচ মালা দরকার ৮টা । কিসে? আর এত ফুলই লাগিবে কোনখানে ? যা হোক এখন আর প্রশ্ন করিবার মানুষটি না স্বকাস্তের মনে হইল পাছে সে প্রশ্ন ও তর্ক করে সেইং চতুর রেরা চালাকিতে কাজ সারিয়াছে। নি:ে বুদ্ধিমত কোন জিনিষ কম যা বেশী করিতে স্বকা:ে মন সরিল না । সে যথাযথ কিনিল । কিন্তু তার হাসি পাইল রেবার ফরমায়েসী :ে জিনিষটা দেখিয়া । কালিদাসের ছবি কোথায় মিলিবে কালিদাসের ছবি না লইয়। ফিরিয়া আসিতেই রে তাকে জিজ্ঞাসা করিল, “যা-যা লিখে, দিয়েছিলাম নিয়ে এসেছ ত ?” স্বকান্ত গম্ভীর হইয়া বলিল, “সবই এনেছি, - একটি বাদ ।” রেবা চোখ কপালে তুলিয়া বলিল, “সৰ্ব্বনাশ কোনটি বাদ ?” wo “কালিদাসের ছবি ।” “করেছ কি ! যাও, যাও, এখনি সেটা নিয়ে এসগে স্বকীন্ত তবু নড়ে না দেখিয়া কাছে আসিয়া রে হাত নাড়িয়া বলিল, “ওগো আসলটাই যে বাক