পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

------TarunnoBot (আলাপ) * * * , . . - a- * *-ū - o 4. o | GD t *: o-. | ప్రాణా ; క్క ‘‘ SS S SSAAAAS S AAAA S AAAA S পদ্মবল (স্বও রাজত্বের সময় অঙ্কিত ) চিত্রবিদ্যা উৎসাহ প্রাপ্ত হয়েছিল । মিষ্টিক সাধক তাও-মঙের প্রচারক লাওটসের দীক্ষায় চিত্রে এবং সাহিত্যে কল্পনার বিকাশ হয়েছিল । আর্টের ভিতর একটা দ্বিত্বের ভাব আছে -একটা শৃঙ্খলা এবং নিয়মামুগত্য আর একটা শক্তি এবং স্বাতন্ত্র্য । দুষ্ট সাধকের দীক্ষায় এইই দুই দিক্ । কু কাই চি-এর ছবি খুব সমাদর লাভ করেছিল, তা এই ঘটনা থেকে জানা যায়। একবার এক বৌদ্ধমঠস্থাপনের জন্য তার কাছে চাদ। চাওয়া হয়। শিল্পী লক্ষ মুদ্রা দান করবে ৰুলে প্রতজ্ঞা করে, বৌদ্ধ পুরোহিতেরা প্রবাসী—কাত্ত্বিক, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড তা’কে বিদ্রুপ করে’ উড়িয়ে দেয়। তখন সে এক-মাস সময় প্রার্থনা করে’ নিজেকে ঘরের ভিতর বন্ধ করে’ রাখে । এক-মাস পরে যখন দরজা খুললে, তখন দেখা গেল, দেওয়ালে তাক বৌদ্ধ সাধক বিমলাকীৰ্ত্তির প্রমাণ মূৰ্ত্তি ঘরটিকে উজ্জল করে শোভা পাচ্ছে। দলে-দলে দর্শক আসতে লাগল, আর সকলে মিলে শিল্পীর প্রতিশ্রুত অর্থ পূর্ণ করে দিলে । তার এক ছবির কিয়দংশ বিলাতের জাদুঘরে আছে— নাম কেশ-প্রসাধন। দাসী এক মহিলার চুল আঁচড়িয়ে দিচ্ছে, সামনে একটা গোল আয়না, আর কতকগুলি কোটা রয়েছে। তার আরও দুয়েকখানা ছবি পাওয়া যায়, আর সব নষ্ট হ’য়ে গেছে । সে-সব ছবির নাম "পবিত্র যশের সাধু”, “স্বর্গের তিন স্বন্দরী", "শীতের ঘুম থেকে ওঠা বসন্তের ড়েগন”, “বীণা তৈরি করা”, “বাঘ, চিতা ও শকুন”, “বৌদ্ধ-সঙ্ঘ”, ইত্যাদি। ড্রেগন এবং বাঘ চীনের চিত্রে খুব বড় আসন পেয়েছে । অধিকাংশ চিত্রকরই এই দুয়ের এক বিষয়ে ছবি একেছে। চীনাদের কাছে বাঘ হ’ল শক্তির প্রতীক এবং ড্রেগন আত্মার প্রতীক। চীন কাব্যরসিকদের মধ্যে একরকম সাহিত্যের খেলা প্রচলিত ছিল । কু কাই চি-এর বন্ধুমহলে এ-খেলা হচ্ছিল, প্রস্তাব হ’ল, একটা ভয়ের ছবি দেওয়ার। নানান জনে নানারকম কথা বললে। চিত্রকর শেষে বললে “একজন অন্ধ এক অন্ধ ঘোড়ায় চেপে অতলস্পর্শ এক হ্রদের কিনারায় এসে পড়েছে।” এক বন্ধু এ-ছবি আর সহা করতে পারল না, ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল, কারণ তার চোখ কিছু খারাপ ছিল । চিত্রকরের কল্পনার জোর এর থেকে পাওয়া যাবে। চতুর্থ শতাব্দী থেকে একেবারে ৮ম শতাব্দীতে এসে পড়তে হয়। এই সময়ের মধ্যে যদিও ভালো ভাস্কর্ঘ্যের নমুনা পাওয়া যায়, কিন্তু ভালো চিত্রের নমুনা পাওয়া যায় না। এসময়ে ভারতবর্ষ হ’তে বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মেব প্রভাব চীনে এসে পড়ছিল । বৌদ্ধ অৰ্হত, যারা ভারত থেকে চীনে ধৰ্ম্ম এবং শিক্ষা প্রচার করতে এসেছিল তাদের প্রস্তর-মূৰ্ত্তি শিল্পীরা গড়েছে। এ-সমস্ত মূৰ্ত্তির মধ্যে অনেক বাঙ্গালী পণ্ডিতের সাদৃপ্ত পাওয়া যায়। বৌদ্ধ দেবদেবীর চীনে