পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] “বেতসী” =দণ্ডায়মান অবুস্থ হইতে ঈষৎ অবনত হইয়া শরীর দক্ষিণে বামে সম্মুখে কিম্বা পশ্চাতে, যেকোন দিকে বেতসলতার স্যায় হেলাইয়া যে অঙ্গ-চালনা, তাহারই নাম “বেতসী” গতি। e “জামু-বিজান্থ”-কোন জামুই ভূমি স্পর্শ করিবে না, অথচ উভয় বজণ (কুঁচকি ) এবং উভয় জামুই বিভিন্ন ভঙ্গীতে বক্র থাকিবে, তদবস্থায় অঙ্গ-চালনার নামই "জামু-বিজামু” । "বিনোদ" প্রয়োগ হেতু ঘষ্টির পশ্চাৎ-বিন্দু হইতে চারি অঙ্গুলী পরিত্যাগ করিয়াই হস্ততল দ্বারা যষ্টি মুঠ করিয়া ধরিতে হয়। বিনোদের কৌশল প্রয়োগ করিতে হইলেই ক্ষয়িষ্ণু জেলাগুলির উন্নতির উপায় S) প্রতিপক্ষের অতিসন্নিকটবৰ্ত্তী হইয়া পড়িতে হয়, অত অল্প দূরত্বে ক্ষুদ্র যষ্টির আঘাত যত কাৰ্য্যকারী হয়, অসি কিম্বা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ লাঠির আঘাত তত কাৰ্য্যকারী হয় না, কারণ তদবস্থায় অসি কিম্ব লাঠির চালনাতেও কিছু বাধা উৎপন্ন হয়, এবং তাহাদের দোলন-কেন্দ্রও প্রতিপক্ষের শরীরের বহির্দেশে আসিয়া পড়ে। সেই-হেতুই অধিকাংশ স্থলে অসি-কৌশল অপেক্ষ “বিনোদ"-কৌশল অধিক কাৰ্য্যকারী হইয়া থাকে। শ্রেষ্ঠ অসি-ধারীগণ অসি দ্বারাই “বিনোদের” কৌশল প্রয়োগেও স্বাক্ষ হইয়া থাকেন, এবং সংঘর্ষ-কালে কদাচ কোন বিষয়েই বিচলিত হন না। ( ক্রমশ: ) ঐ পুলিনবিহারী দাস ক্ষয়িষ্ণু জেলাগুলির উন্নতির উপায় বঙ্গের যেসব জেলার লোক-সংখ্যা নানা কারণে কমিয়াছে, তাহাদের অবস্থা ভাল করিতে হক্টলে বাহিরের সাহায্যের প্রয়োজন আছে বটে ; কিন্তু প্রধানতঃ সেই সেই জেলার লোকদিগকেই, নিজেদের দুরবস্থা হইয়াছে বলিয়া বুঝিয়া, সেই দুৰ্দ্দশা দূর করিবার উপায় অনুসন্ধান করিতে হইবে, এবং উপায় জানিয় তাহ অবলম্বন করিতে হইবে । অর্থাৎ তাহাদের বাহ উন্নতি হইবার আগে ঐসব জেলার মাধুর্যগুলির হৃদয়মনের পরিবর্তন হওয়া আবশ্যক। উন্নত স্থানসকলের সহিত তুলনা করিয়া নিজেদের অবনত অবস্থ৷ বুঝিবার মৃত জ্ঞান তাহাদিগকে লাভ করিতে হইবে। তার পর কি কি উপায়ে অবস্থার উন্নতি হইতে পারে, তাহা জানিতে হুইবে ; এবং সৰ্ব্বশেষে সেইসকল উপায় অবলম্বন করিতে হইবে । ইহার মধ্যেও একটি কথা বলিতে বাকী রহিয়৷ গিয়াছে। অবস্থার উন্নতি করিতে হইলে, মানুষের চেষ্টার দ্বারা উন্নতি যে হইতে পারে, এই বিশ্বাস থাকা একান্ত আবশ্যক। মাটী চষিয়া তাহাতে সার,ও জল দিয়া বীজ বপন করিলে ও তাহার পর নিয়মমত যত্ব করিলে শস্ত X & উৎপন্ন হয়, এই বিশ্বাস নিরক্ষর কৃষকেরও অাছে। কৃষক দার্শনিকের মুত যুক্তিমাৰ্গ অবলম্বন করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় না, যে, মানুষের চেষ্টার ফলদাতা একজন আছেন, তাহারই নিয়মে চেষ্টার ফল ফলে । কিন্তু যুক্তি তর্ক না করিলেও প্রত্যেক মানুষই যতরকম কাজ ও চেষ্ট৷ করে, তাহার মূলে এই স্বাভাবিক বিশ্বাস গৃঢ়ভাবে নিহিত আছে, যে, মঙ্গলময় ফলদাতা বিধাতার নিয়মে উন্নতির যথোচিত চেষ্টা করিলে উন্নতি হয়, হিতের যথোচিত চেষ্ট করিলে হিত হয়, ধে-রকম কাজ করা ধায় তাহার সেইরূপ ফল হয়। অতএব ক্ষয়িষ্ণু জেলাসকলের হিত যাহারা করিতে চান, তাহারা উহার লোকগুলিকে নানা উপায়ে তাহাদের অবস্থা সম্বন্ধে সজাগ করুন। বক্তৃতা দ্বারা, ম্যাজিক লণ্ঠন ও অন্যান্ত উপায়ে ছবি দেখাইয়া, পুস্তক পুস্তিক পত্রিকা লিখিয়া ও প্রচার করিয়া তাহার বুঝাইয়া দিউন, যে, ঐসব জেলার অবস্থা কত হীন হইয়াছে। তাহার পর, চেষ্টা করিলে উন্নতি যে হইতে পারে, সেই বিশ্বাক্ষশজাগাইয়। তুলুন। এবং সঙ্গে সঙ্গে উন্নতির উপায়সকল নিজের