পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28& দোষ ছিল না ? এ-প্রশ্নটা বারবার আমরা কেন জিজ্ঞাসা করিম, তাহার আলোচনা না করিয়া এখন আমাদের যাহ। বক্তব্য তাহা বলি ।

  • સrી બનામૌન છl qsામા શ્વાન્નામઃપ્રજ - ૯ (નોનজনক জিনিষ, আমরা এরূপ কোন অদ্ভুত কথা বলিতে যাইতেছি না। কিন্তু উহাই যদি সকল দুঃখের কারণ হইত, তাহা হইলে ষে-যে দেশে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা আছে, তাহীদের কোন দুঃগ থাকিত না . ইংলণ্ড, স্বাধীন ; কিন্তু স্থোনে বহু বংসর ধরিয়া এত ধৰ্ম্মঘট হইতেছে কেন, এত খনি নষ্ট হইয়াছে কেন, এত লক্ষ লোক বেকার কেন, এত স্কুশচরিত্রত, পানমত্তত, কুৎসিত ব্যাপির প্রাতুর্ভাব কেন ? আমেরিকাও ত খুব স্বাধীন । সেখানে বড় বড় রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারী নিজ নিজ সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়ু "উপরি পাওনা”র দ্বার। বড়মানুষ হইতেছে কেম ? তথায় ধূস, এবং নিগ্রো, ইহুদী ও সাধারণতঃ শ্রমজীবীদের উপর জুলুম ও অত্যাচার, এবং বিবাহ-সম্বন্ধবিচ্ছেদ এত বেশী কেন ?

অন্য দেশের কথা ছাড়িয়া দিয়া নিজের দেশে আসি । রাজনৈতিক কারণে অসহযোগীরা স্বীকার করিতেছেন, যে, অস্পৃশ্যতার বিশ্বাস নিন্দনীয় এবং উহার উচ্ছেদ করা উচিত। এই অস্পৃষ্ঠত জিনিষট। বহু শতাব্দী ধরিয়া কোটি-কোটি লোকের মনুষ্যত্বকে পিষিয়া ফেলিয়াছে, এবং তাহদের অশেষ দুঃখের কুারণ হইয়াছে। কিন্তু ইহা ইংরেজ-রাজত্বের সঙ্গে ভারতবর্ষে আসে নাই। ইছ.তাহার আগে হুইডেই ছিল । ইষ্ঠ মুসলমানেরাও এদেশে আনে নাই ; বরং দেখা যায়, যে, যে সব প্রদেশে ও অঞ্চলে মুসলমান রাজস্ব প্রতিষ্ঠিত ও দীর্ঘকালস্থায়ী ছিল, তথায় অস্পৃশ্যতার প্রকোপ অপেক্ষাকৃত কম ; এবং যেখানে মুসলমান রাজত্ব স্থাপিত ব! দীর্ঘকালস্থায়ী হয় নাই, তথায় উহার প্রকোপ বেশী। ইহার আমুষঙ্গিক ষে আর-একটা দোষ, দরিদ্রেব উপর ধনীর, দুৰ্ব্বলের উপর প্রবলের অত্যাচার, ইহাও রাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে এদেশে आभूगनी इग्न नई ; জাগে হইতেই ছিল । - বস্তুতঃ, সামাজিক অত্যাচার.৪ পরাধীনত। মাচঘকে প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৪১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড রাষ্ট্ৰীয় পরাধীনতার জন্তু পরোক্ষভাবে প্রস্তুত করে। মানুষের মেক্কদও, ঘাড়, ও মাথা একটা করিয়াই থাকে। যে-জাতির অধিকাংশ লোকের মেরুদণ্ড সামাজিক কারণে সঁকি ও নরম, রাষ্ট্ৰীয় প্রয়োজনে তাহ হঠাৎ সোজা ও · শক্ত হইয়| উঠিতে পারে না ; যাহাঁদের মাথ ও ঘাড় সামাজিক কারণে হুইয়াই আছে, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ডাহা হঠাৎ উচ ও খাড়া হইয়া উঠিতে পারে না । সেইজন্য দেখা যায়, যে, যাহারা ইংরেজ-প্রভুকে অগ্নাম্ব করিতে শিখিড়েছে, তাহারা অনেকে আবার এক-একজন দেশী , প্রভূ খাড়া করিতে ও র্তাহার পদানত হইতে ব্যগ্র। পরাধীনত জিনিষটা খুব খারাপ। রাষ্ট্রীয় পরাধীনত্ত সাতিশয় অনিষ্টকর। সামাজিক পরাধীনতাও খুব অনিষ্টকর । কেহ কেহ মনে করেন, এক-একটা করিয়া কাজ হাতে লওয়া ভাল –আগে রাষ্ট্ৰীয় পৰ্ব্বাধীনত্বার উচ্ছেদ সাধন করা যাক, তার পর সামাজিক পরাধীনতা বিনষ্ট করা যাইবে । কিন্তু ইহা ভুল । সবরকম উন্নতি পরস্পরসাপেক্ষ । সামাজিক জুলুম দূর না করিলে আমরা সংঘবদ্ধ হইতে পারিব না, এবং সংঘবদ্ধ ন হইলে আমরা স্বাধীন হইতেও পারিব না । ইহা যদি সত্য ন হইত, তাহ কইলে মহাত্মা গান্ধী অস্পৃশ্যত দূরীকরণ ও হিন্দুমুসলমানের মিলনকে স্বরাজের ভিত্তি বলিয় প্রচার করিতেন না । আমরা যদি স্বাধীন হইতাম, তাহা হইলেও অস্পৃষ্ঠতার বিনাশ এবং সাম্প্রদায়িক সদ্ভাব বৰ্দ্ধন আবখ্যক "হইত। সব মাতুষকে মাতুম বলিয়া মানা মনুষ্যত্বের একটি লক্ষণ । ত্রিবাঙ্কুড়ে অস্পৃশ্যত ত্ৰিবাঞ্চড়ে ভাইকম্ নামক স্থানে একটি দেবমন্দির আছে । দক্ষিণভারতের অনেক জায়গার মত সেখানেও মন্দিরের পাশ্ববর্তী রাস্ত দিয়া “অস্পৃশু” লোকেরা যাইতে পারে না । কিন্তু তাহারাও ত মানুষ । তাহারা বলিতেছে, তাহারা ঐসব রাস্তা দিয়া যাইবে ; যাইতে আরম্ভ ও করিতেছে। ত্রিবাঙ্কুড় দেশী রাজ্য। উহার রাজার গবর্ণমেণ্ট এই “অনাচার” বন্ধ করিতে বলেন। কিন্তু “সত্যাগ্ৰহী”রা তাহ না শুনায়ু