পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] হইয়া উঠিয়াছিল, সুতরাং ডাকাতদের লুব্ধ দৃষ্টি ব্রিটিশ প্রজাদের উপর বেশী পড়িয়াছিল। ব্রিটিশ প্রজাদের বেশী ধনী হইয়া উঠার কোন প্রমাণ কিন্তু তিনি দেন নাই। দ্বিতীয় কারণ তিনি নিম্নলিখিতরূপে নির্দেশ করিরাছেন – ' 尊 "Second. the long security which the country lius enjoyed from foreign enemies, and the consqtiont loss of martial halits and “haracter, havio muul' the people of Bengal so timuid and eueivated that no resistance is to lie apprehended in the act. nor punishments afterwiirds. তাৎপৰ্য্য “বাংলা দেশ দীর্ঘকাল বিদেশীয় শুক্রর আক্রমণ হইতে অব্যাহতি ভোগ করায় এবং তজষ্ঠ তাহদের যুদ্ধ করিবার অভ্যাস ও যোদ্ধস্বলভ চরিত্র লুপ্ত হওয়ার, তাহার এরূপ ভীরু ও বলবীৰ্য্যপৌরুষহীন হইয়। পড়িয়ছে, যে, ডাকাতদের ডাকাতিতে বাধা পাইবার এবং ধৃত হইয়| দণ্ডিত হইবার কোন আশঙ্কা নাই।" ইহা হইতে প্রমাণ হয়, যে, ইংরেজ-রাজত্বের পূৰ্ব্বে বাংলার অধিবাসীদের যুদ্ধ করিবার অভ্যাস ছিল এব" যোদ্ধস্থলভ গুণও ছিল ; কেন না, যাহা কোন কালে ছিল না, তাহার “লস" অর্থাৎ ক্ষয় বা লোপ হইতে পারে না । ইহা হইতে ইহাও প্রমাণ হয়, যে, ইংরেজের শাসননীতি ও “ব্রিটিশ” শাস্তির প্রভাবে বাঙ্গালীর ভীরু ৪ বলবীৰ্য্যপৌরুষহীন হইয়া পড়িয়াছিল। অতএব “ব্রিটিশ” শান্তির পূর্ণ-অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া লইলেও, বলিতে হইবে, যে, উহা অবিমিশ্র কল্যাণের কারণ হয় নাই । বৰ্ত্তমান সময়ে যে ডাকাতির আধিক্য দেখা যায়, তাহার একটি কারণ যে (লর্ড মিন্টো-বর্ণিত ) ব্রিটিশশান্তি-জাত ভীরুতা ও যুদ্ধে" অনভ্যস্ততা, তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ হইতে পারে না । কোন দেশের মানুষ সাহসহীন, বলৰীর্ষ্যহীন যাহাতে না হয়, সেই দেশের গবর্ণমেন্টের তাহার ব্যবস্থা করা একান্ত কৰ্ত্তব্য । যদি ইহা স্বীকার করাও যায়, যে, গবর্ণমেণ্টের ওরূপ কোন কৰ্ত্তব্য নাই, তাহা হইলে অন্ততঃ ইহা ত মানিতেই হইবে, যে, দেশের লোকদের ধনপ্রাণ ইজ্জং রক্ষা করা গবর্ণমেণ্টের কৰ্ত্তব্য। কিন্তু দেখা যাইতেছে, বৰ্ত্তমান সময়ে দুষ্ট দমনের এবং শিষ্টের রক্ষা ও পালনের যথেষ্ট সরকারী বন্দোবস্ত নাই, অথচ অন্য দিকে প্রজাদের সাহসিকত বিবিধ প্রসঙ্গ-কলিকাতায় বিধবা-বিবাহ ՀԵ-> ও শক্তি সংরক্ষণ ও বর্জনের ব্যবস্থাও নাই ; বরং সেই উদ্দেশ্যে কোন বেসরকারী চেষ্টা হুইলে তাহার উপর কর্তৃপক্ষের সন্দিগ্ধ বিষদৃষ্টি পড়ে। অথচ কৰ্ত্তারা নিজেদের শাসনের স্বখ্যাতিতে পঞ্চমুখ, এবং কিছুকাল হইতে ভাড়াটিয়া আমেরিকান লেখকদের দ্বারাও এই স্বথ্যাক্তি রটাইতেছেন । কলিকাতায় বিধবা-বিবাহ বঙ্গীয় সমাজ সংস্কার সমিতির উদ্যোগে সম্প্রতি কলিকাতায় একটি নমঃশদ্রজাতীয় বিধবার বিবাহ হইয়া গিয়াছে। তাহার নাম শ্ৰীমতী দেবযানী। তিনি ফরিদপুর জেলার সাতপুর গ্রাম নিবাসী শ্ৰীযুক্ত গয়ালীচরণ বিশ্বাসের কন্যা। তিনি বেশ ভাল বাংলা লেখাপড়া জানেন । বর শ্ৰীযুক্ত রসিকলাল বিশ্বাস মহাশয়ের বাড়ী যশোর জেলার নারায়ণপুর গ্রামে। তিনি এবার বি-এ পরীক্ষা দিয়াছেন। তিনিও নমঃপূদ্র । বিবাহ হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে হইয়াছিল । সংস্কৃত কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যক্ষ স্থব্রাহ্মণ শ্ৰীযুক্ত মুরলীধর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় পৌরোহিত্য করিয়াছিলেন । পণ্ডিত মহোদয়ের সহৃদয়ত, সত্যনিষ্ঠ ও সৎসাহস অতীব প্রশংসনীয়। শুনিতে পাই, বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় যখন সংস্কৃত কলেজের গ্রিন্সিপ্যালের কাজ করিতেন, তৎকালে মেদিনীপুরে সমাজসংস্কারবিষয়ক একটি বক্তৃভায় স্বম্পষ্টভাষায় সত্য কথা বলিয়া সংস্কারের আবশ্যকতা প্রদর্শন করেন । এই অপরাধে, সরকারী উচ্চপদে অধিষ্ঠিত, গোত্রাহ্মণপালক, সৰ্ব্ববিধ শাস্ত্রীয় আচার দেশাচার ও লোকাচারে পরম নিষ্ঠাবান, পরম হিন্দু বৰ্দ্ধমানের মহারাজাধিরাজ র্তাহাকে সংস্কৃত কলেজের কাজ ছাড়িয়া অবসর লইতে বাধা করেন। ইহা কি সত্য ? - এই বিবাহে বর ও কস্তা উভয়েই প্রভূত সৎসাহস প্রদর্শনপূর্বক সমাজের কল্যাণ করিয়াছেন । বিবাহসভায় হিন্দুসমাজের অনেক মান্যগুণ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন এবং জলযোগ করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মসমাজের স্ত্রে দুই চারিজন মহিলা ও ভদ্রলোক উপস্থিত ছিলেন, তাহ বিশেষ