পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵՀ উল্লেখযোগ্য নহে ; কারণ, তাহারা ত সমাজসংস্কারক বলিয়া পরিচিতই আছেন । নমঃপূদ্র সমাজের কতিপয় খছিল এবং বিস্তর প্রতিষ্ঠাবান পুরুষ সভাস্থলে উপস্থিত :থাকিয়া কাৰ্য্যন্তঃ বিধবাবিবাহে তাহাজের সম্মতি জ্ঞাপন কেরিয়াছিলেন.। বালবিধবার বিবাহ শৈশবে ও বাল্যকালে যাহারা বিধবা হন, তাহাদের পুনৰ্বার ৰিবাহ হওয়৷ একান্ত আবশ্যক। তঁহাদের বিবাহের বিরোধীরা যতপ্রকার যুক্তিতর্ক উত্থাপন করিয়াছেন, সমস্তই বার বার খুণ্ডিত হইয়াছে বালৰিধবাদের প্রতি স্বাধ্য ও সহৃদয় ব্যবহার করিতে হইলে তাহাদের বিবাহ দেওয়া উচিত ; হিন্দুসমাজকে ক্ষয় হইতে, সংখ্যার হ্রাস হইতে, রক্ষা করিবার জন্ত বালবিধবাদের বিবাহ দেওয়া উচিত ; বিধবাদের মানইজত রক্ষা করিবারও প্রকৃষ্টতম উপায় তাহাদের বিবাহ দেওয়া । সামাজিক অপবিত্রতা দূরীকরণ, এবং পবিত্রতা সংরক্ষণের জন্যও বালবিধবাদের বিবাহ দেওয়া একান্ত আবশুক । তাহার একটি প্রমাণ দিতেছি । মামুষের জ্ঞান ও প্রয়োজন যত বাড়িতেছে, সাহিত্যিক ৰৈজ্ঞানিক দার্শনিক, প্লভৃতি নানা শ্রেণীর লেখক ততই নূতন নূতন কথা ভাষায় যোগ করিতেছেন । ইহার মধ্যে কতকগুলি কথা চলিত হইয়া যায়, কতকগুলি বা লোপ পায় । এগুলি ব্যক্তিবিশেষের স্বস্ট বলিয়া সব সময় সামাজিক অবস্থা সম্বন্ধে কোন সাক্ষ্য দিতে পারে না । কিন্তু যেসকল শব্দ গ্রাম্য ও কথিত ভাষায় বহুশতাব্দী .ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে, তাহা ব্যক্তিবিশেষের স্বল্প নহে, এবং,তাহ হইতে-স্থলবিশেষে সামাজিক তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়। গ্রাম্য ভাষায় বিধবার যাহা প্রতিশব্দ, ইতর ভাষায় পতিত নারী বুঝাইতেও সেই শব্দ ব্যবহৃত হয় । ইহা দ্বার সমাজ নিজের অজ্ঞাতুসারে বহুশতাব্দী ধরিয়া এই লক্ষ্যই দিয়া জাপিতেছেন, যে, সামাজিক অপবিত্রতার জ্ঞতম কাৰুণ বালিকাদের চিররৈধব্য। অতি পৰিত্ৰ&ৰজাবাহিন্দু বিধবার অস্তিত্ব কেহই অস্বীকার করিতে প্রবালী জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১. [ ২৪শ ভাগ; ১ম খণ্ড AAAAAASAA S SSSSSSMMMMMMSSMMSMAAA AAAA SAAAAA AAAA SAMAAA SAAAAA AAAA AAAA S AAAAAMAMAAA AAAAS AAA AAAA AAASA SAAAAA AAAA S পরিবে না। কিন্তু গ্রাম্য ভাষা হইতে যে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহা সমাজসংস্কারকদিগের মনগড় নয় ; তাহী আমাদের সকলের লজ্জা ও কলঙ্কের বিষয় হইলেও তাহা উড়াইয়া দিবার কোন উপায় নাই। এই প্রমাণ কালক্রমে লুপ্ত করিবার একমাত্র উপায় বলবিধবাদের পুনর্বার বিবাহ দেওয়া। তাহাদের বিবাহ প্রচলিত করিবার জন্য যে মহাত্মা বাংলাদেশে প্রথম সফল চেষ্টার সূত্রপাত করিয়াছিলেন, তাহাকে ভক্তিসহকারে স্মরণ করিয়া, যেসকল মহানুভব ব্যক্তি র্তাহার পদাঙ্কের অনুসরণ করিতেছেন, তাহাদিগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। তাহারা প্রাণের সহিত যাহা করিবেন, ভগবান তাহার সহায় হইবেন । নারীরক্ষা-সমিতি বঙ্গের নানাস্থান হইতে, বিশেষতঃ উত্তর ও পূৰ্ব্ববঙ্গ হইতে, নারীর উপর অত্যাচারের মৰ্ম্মম্ভদ সংবাদ ক্রমাগত প্রকাশিত হইয়া আসিতেছে । এ অবস্থায় একটি নারীরক্ষাসমিতির একান্ত আবশ্বক ছিল । মুখের বিষয়, পাঠকগণ অন্ত পৃষ্ঠায় দেখিবেন, তাহা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । তাহার কাজও আরম্ভ হইয়াছে । অবশু কেবল কলিকাতায় স্থাপিত একটি এরূপ সমিতি দ্বারা সমুদয় বাংলাদেশের নারীকুলের রক্ষা হইতে পারে না। সকল সহর ও গ্রামে এইরূপ সমিতি বা তাহার শাখা চাই । 镜 নারীর ধৰ্ম্ম ও সম্মান সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করিতে হইলে সমাজে অনেক গভীর ও ৰ্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন । নারী যে পুরুষের অন্যতম ভোগ্য বস্তু মাত্র, এই নীচ ধারণা লুপ্ত হওয়া আবশ্বক। তাহার জন্য পুরুষদের স্বশিক্ষার আবশ্বক। নারীদেরও শিক্ষা এরূপ হওয়া চাই, যাহাতে র্তাহার নিজেদের ও পুরুষদের শ্রদ্ধার ও সম্বমের পাত্ৰী হইতে পারেন । সমাজের মধ্যে এই ভাবটি বদ্ধমূল হওয়া দরকার, যে, যে পুরুষ নারীর বৃক্ষার জন্য প্রাণ পৰ্য্যন্ত দিতে প্রস্তুত নহে, তাহার ৰিবাহ করিয়ু পরিরারী হুইবার কোন অধিকার নাই । নারীবৃক্ষৰূপ পবিত্র ও একাঙ্ক আবশ্বক কার্ধ্যের