পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ole e zeAAASAAAA AAAA AAAA SAAAAASA SAAAAS AAAAA MAAAA SS SSAS SSAS SSAS SSAS কারখানা গড়িয়া উঠিয়াছে। ७की शृंडेाख३ वर्षहे श्व —জাৰ্শ্বেনীর এলবারফিল্ডে বায়ার কোম্পানীর ষে রংয়ের কারখানাটি আছে কেবলমাত্র তাহাতেই প্রায় ১৫ হাজার লোক নিযুক্ত আছে। পার্কিন মেজেণ্ট আবিষ্কার করিবার পরে স্বপ্নেও কি ভাবিয়াছিলেন যে একদিন তার এই সামান্ত আবিষ্কারকে অবলম্বন করিয়া একশ কোটি টাকা মূলধনের শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিবে ? ১৮১৯ খৃষ্টাৰে গার্ডেন নামক একব্যক্তি আলকাতরা হইতে ম্যাপথালিন আবিষ্কার করেন। সেই স্তাপখালিন আজ সারা দুনিয়ার ঘরে ঘরে বিরাজ করিতেছে। প্রত্যহ লাল নীল সবুজ গোলাপী কতরকমের মনোহর রং ও সাংঘাতিক সাংঘাতিক বিস্ফোরক যে এই সামান্য জ্ঞাপণালিন হইতে তৈরী হইতেছে তাহার ইয়ত্তা নাই। ১৮৩২ খৃষ্টাব্দে ডুমা ও লরে নামক ফরাসী রাসায়নিকদ্বয় আলকাতর হইতে এ্যানথ,াসিন (Anthracone) নামক এক-প্রকার পদার্থ আবিষ্কার করেন। আমরা যে-সময়ের কথা বলিতেছি তাহার বহু পূৰ্ব্ব হইতে ফ্ৰান্স রুশিয়া তুর্কী পারস্ত ও ভারতবর্ষ প্রভৃতি দেশে লক্ষ লক্ষ বিঘা ভূখণ্ড জুড়িয়া মঞ্জিণ্টার আবাদ হইত ও এই মঞ্জিণ্টার গাছের শিকড় হইতে কোটি কোটি টাকা মূল্যের Atizarin বা Turkey-red নামক এক-প্রকার লাল রং প্রস্তুত হইত। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে গ্রাবেও fi$f$UfA (Grabe and Libermann) নামক দুইজন জাৰ্ম্মান রাসায়নিক আবিষ্কার করিলেন যে anthracone হইতে অতি সহজে ও সস্তায় Atizarin তৈরী করা যায়। এই যুগান্তরকারী জাবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী হইতে মঞ্জিণ্টার আবাদ তিরোহিত হইল। যে-শিল্পের দ্বারা বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ নর-নারী জীবিকা অর্জন করিত আজ তাহা একমাত্র জার্মানীর হস্তগত হইল। “একটি আবিষ্কারে প্রভো, একটি আবিষ্কারে”—দিকে দিকে হাহাকার উঠিল। ছুদিন পূৰ্ব্বে যে Anthraconoএর মূল্য ছিল মণ-প্রতি কয়েক পয়সা মাত্র, ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দের পরে তাহার মূল্য প্রায় ২৩ শত গুণ বাড়িয়া গেল। আপনারা সকলেই রঞ্জনত্রব্যের প্রপিতামহ “নীলের” (Indigo) কথা অবগত আছেন। হাজার প্রবাসী—আষাঢ়, లలి? 学 ٭محیہ مماہ مہمحب۔ حب۔ مححے ماہ مہ રિકન ઇાન, ઝમ વe SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে মিশরে ও ভারতবর্ষে নীলের । চাষ ও ব্যবহার হইত। ঃপর ইউরোপেও ইহার প্ৰবৰ্ত্তন হয়। মিশরের ও ভারতের বিশাল ভূখও ব্যাপিয়া এই নীলের আবাদ হইত। তার পর আধুনিক কালে এই নীলের চাষের সঙ্গে ভারতের যে লাঞ্ছনা, ষে অপমান ৪ হৃদয়-বিদারক দুঃখের কাহিনী ও নির্দয় নীলকর সাহেবদিগের যে নিষ্ঠুরতা ও কলঙ্কের ইতিহাস জড়িত আছে—তাহা স্বৰ্গীয় দীনবন্ধু মিত্র মহাশয়ের “নীলদর্পণ” যাহারা পড়িয়াছেন তাহারা সহজেই অনুমান করিতে পরিবেন। ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে ব্যারার নামক একজন জাৰ্ম্মান রাসায়নিক আবিষ্কার করিলেন যে আলকাতর হইতে প্রাপ্ত পদার্থ-বিশেষ হইতে এই নীল তৈরি করা যায়। কিন্তু এইরূপে প্রস্তুত কৃত্রিম নীলের মূল্য প্রকৃতিজাত নীলের মূল্যের চেয়ে অনেক বেশী। অতঃপর জাৰ্ম্মানীর Badeische aniline and soda fabrik Hino gorfo কোম্পানী এ-বিষয়ে গবেষণার ভার গ্রহণ করেন। প্রায় ১৫ বৎসর ব্যাপিয়া অজস্র অর্থব্যয় ও অনেক উচুদরের রাসায়নিকদের অদম্য চেষ্টার পর সস্তায় অতি উৎকৃষ্ট নীল প্রস্তুক্তের উপায় আবিষ্কৃত হইল। এইরূপে অদ্যাবধি প্রায় ২০০০ হাজার বকমের রং আবিষ্কৃত হইয়াছে। প্রকৃতি-রাজ্যে এমন একটি রং ও নাই, যাহার অমুকরণে রাসায়নিক অসমর্থ হইয়াছে। - বস্তুতঃ এই যে এত-সব অসম্ভব অলৌকিক ব্যাপার আজ সম্ভবপর হইয়াছে তাহার মূলে প্রধানতঃ জাৰ্ম্মানজাতির উদ্ভাবনী শক্তি, অলৌকিক প্রতিভা, অদম্য অধ্যবসায় ও উৎসাহ, মনীষা ও অমাহুকি কৰ্ম্মকুশলতা। আজ ইহাদের আবিষ্কারগুলিকে অবলম্বন করিয়া দেশে দেশে বিরাটু শিল্পের প্রতিষ্ঠান হইয়াছে। বস্তুতঃ এক ইংলগুেই বৎসরে এত রং তৈরি হয় যে যদি তাহা দ্বারা একফুট চওড়া কোন বস্ত্রখণ্ডকে রঞ্জিত করা যায় তবে তাহার দৈর্ঘ্য এত বেশী হইবে যে তাহা পৃথিবীকে ২-•• বার বেষ্টন করিতে পারে বা পচিশবার পৃথিবী এব ং চন্দ্রে যাতায়াত করিতে পারে। . কিন্তু শুধু কি রং প্রতিবর কোটি কোটি টাক