পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواel(ی

  • ‘অমৃত বোসের কৃপণের ধন’ দেখেছিস ত ? আমার কুন্তলার কথা মনে পড়ে গেল।”

অধিকতর লজ্জিত প্রসন্ন চুপ কুরিয়া রহিল। গলা নামাইয়া সত্যেন বলিল, “আমার কালাচাদ আছেন ত ? তারই টানে দৌড়ে এসেছি।”

  • च्षांटक्कन” “তা হ’লে”—ঘরের দরজায় কুলুপের দিকে চাহিয়া সত্যেন বলিল, “তা হ’লে চাবিটা দে ।”

ঘর খুলিয়া জল-বিহীন হকাতে তামাক খাইয়া সত্যেন বাহিরে আসিল। প্রসল্পের কাধে গোটা দুই-তিন থাবড়া মারিয়া বলিল, “চট্‌পট্‌, চটুপটু ; পুড়ে যাবে।” সন্দিগ্ধ-নেত্ৰে ক্ষান্ত চাহিয়াছিল। প্রসন্ন একবার চকিতে তাহার পানে চাহিয়া বলিল, “আজ অসম্ভব ভাই । বিস্তর পীড়াপীড়ি করিয়াও সত্যেন রাজি করিতে পারিল না । ৰাসায় গিয়া সত্যেন দেখিল পীতাম্বরও আসিয়াছে । সে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিবার পূৰ্ব্বেই বিশ্বম্ভর থিয়েটারী স্বরে কহিল, “কি সংবাদ দূত ?” সত্যেন বলিল, “জবর সংবাদ ; তুই কখন এলি, পীতু ? “আঃ! কি সংবাদ তোর বলনা আগে” বলিয়া বিশ্বম্ভর সত্যেনের মুখটা নিজের দিকে ফিরাইয়া লইল । সত্যেন বলিল, “গুরুমশায় যে বেজায় প্রেম লাগিয়ে দিয়েছে ওদিকে ” সাগ্রহে বিশ্বম্ভর বলিল, “কার সঙ্গে ?” সত্যেন একটু রসিকতা করির বলিল, “বাবা, তোমাদের দেশের মেয়েদের আমি চিনি কোথেকে ?” পীতাম্বর বলিল, “তবেতো দেখতে যেতে হচ্চে।” বিশ্বম্ভর কহিল, “কালই আমি চিনে আসছি।” সত্যেন চিন্তান্বিতভাবে বলিল, “সে ত হবে ; এখন ষে এক বিপদ উপস্থিত, তার কি উপায় ?” পীতাম্বর জিজ্ঞাসা করিল, “কি বিপদ আবার ?” “श्रांभि खांब हि ७ यनि এইরকম প্রেম করতে থাকে ; আর পরে বিয়েও ईब ত আমাদের সখের প্রবাসী—জাষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাঠশালাটি যায় ষে । এই ষে গাধার খাটুনিট খাট লাম সে কি এরই জন্তে ? তখন প্রসন্ন কি জার ছেলে ঠেঙাতে চাইবে ? লঙ্কা পায়রাটি হ’য়ে দাড়াবে এক্কেবারে ।” তখন, এ-যে এক ভীষণ বিপদ, তাহাতে সকলেই সম্মত হইল। একটা উপায়-নিৰ্দ্ধারণের জন্ত সন্ধ্যা পর্য্যস্ত পরামর্শ চলিল। অবশেষে একটা উপায়ও স্থির হইল । ( & ) পরদিন উঠানে বসিয়া প্রসন্ন একটা নারিকেল কাটিতেছিল । সহর্ষমনে বাটীতে প্রবেশ করিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “ছেলে ত বিশ্বস্তর, বুঝলে গা ? বেঁকে বসেছে ‘আমি টাকা নিয়ে বে করব না। ঐ পাড়ার রাধুর মেয়েকে পছন্দ হয়েছে ; ওই যে যে মেয়েটি কখনও কখনও আমাদের পবৃশার কাছে পড়তে আসে গো । বলে ‘একটা গরীব বিধবার এতে উপকার হবে ।’ ” একটা কোপ নারিকেলে না পড়িয়া প্রসরের হাতের উপর আসিয়া পড়িল । বিশ্বস্তুরের প্রশংসা ছাড়িয়া তাড়াতাড়ি প্রসল্পের হাতটা ধরিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, *আঃ, আর এই এক ছেলে, তোর এখন সাত তাড়াতাড়ি নাবৃকোল কাটবার কি দরকার ছিল, বাপু?—” হাতটাকে পিতামাতার তত্ত্বাবধানে ছাড়িয়া দিয়া প্রসন্ন অসাড় হইয়া বসিয়া রহিল । তাহার হৃদয়-তন্ত্রীতে একটা বিষাদের মুর ঘনাইয়া উঠিতেছিল। আজ হঠাৎ একটা কথার আঘাতে অভিনবরূপে, এক অভিনক্স , w" ক্ষান্ত তাহার মানস-পটে স্পষ্ট ফুটিয়া উঠিল X আতঙ্কে তাহার মনটা ভরিয়া উঠিতেছিল» একদিন— শীঘ্রই একদিন এক কথায় এই বন্ধন ছদ করিয়া ক্ষাস্ত তবে চলিল ? বিশ্বম্ভরদের যত অত্যাচার তাহার একে একে মনে হইতে লাগিল। তাহার জীবনটা দুই পায়ে মাড়াইয়। তাহাদের খেলা ! অথচ তাহার অপরাধ ? প্রসন্ন পাঠশালে গেল না। ক্ষাস্ত বসিয়া বসিয়া অবশেষে গুরুমহাশয়ের বাড়ী আসিল । মুখটা ভার , গুরুমহাশয়ের আজকাল প্রায়ই এইরকম। প্রায়ই ত আজকাল বাড়ী আসিয়াই পড়িয়। যাইতে হয় ।