পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२● _ “দ্বিতীয় দিবস মৌলানা আক্রাম ৰী সভাপতির আসন হইতে প্রদ্ধের *बिनीश्वबि एउ, नजिनौकांच ब्रांद्र (वप्नाइब), ब्रांबवणौ कांबकव cषांव (দৌলতপুর সন্তাশ্রম), স্তর আশুতোষ চৌধুরী, ও স্তর আশুতোৰ মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি দেশমাতৃকার স্বসন্তানদিগের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের প্রস্তাৰ উথাপন করেন ; এবং প্রস্তাবটি সৰ্ব্বসন্মতিক্রমে “This Conference expresses its heartfelt condolence for the passing away of Babus Aswini Kumar Datta, Nalininath Ray, Panch Couri Bandyopadhyay, Charu Chandra Ghosh, Sir Ashutosh Chowdhury, and Sir Asutosh Mookerjee, all noble sons of Bengal, and further expresses its Sympathy for the Ibereaved families.” পাঠকেরা লক্ষ্য করিবেন, গোপীনাথ সাহার আদর্শের প্রতি যে শ্ৰদ্ধা প্রকাশিত হইয়াছে, তাহার যে সম্বৰ্দ্ধনা হইয়াছে, অশ্বিনীকুমার দত্ত বা আর-কাহারও তাহা হয় নাই। অতএব ইহা মনে করা অন্তায় হইবে না, যে, সিরাজগঞ্জের সন্মিলনীর অধিকাংশ প্রতিনিধির মতে গত এক বৎসরে বঙ্গের যত “স্বসস্তান” পরলোকযাত্রা করিয়াছেন, গোপীনাথ সাহার স্থান তাহাদের সকলের অনেক উপরে। বাবু শ্ৰীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কমাল পাশাকে অভিনন্দিত করার কথা বলিয়াছেন । এবিষয়ে আমাদের বক্তব্য বলিতেছি। কংগ্রেসের সভ্যদের মধ্যে মহাত্মা গান্ধী অহিংসাকে সৰ্ব্বদ, সকল ক্ষেত্রে ও সকল অবস্থায় অস্থসরীয় আধ্যাত্মিক নিয়ম বলিয়। মনে করেন । সম্ভবতঃ আরো কাহারো কাহারে মত এইরূপ । মৌলানা মহম্মদ আলী বার বার বলিয়াছেন, যে, প্তাহার ধর্শ্বেবল-প্রয়োগ ও হিংসা স্থলবিশেষে ও অবস্থা-বিশেষে বৈধ। কিন্তু তিনি মনে করেন, ষে, ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থায় অহিংসাই অবলম্বনীয় এবং তাহার দ্বারাই স্বাধীনতা লব্ধ হইবে। যদি তাহা না হয়, তাহা হইলে যুদ্ধ করায় তাহার কোন আপত্তি নাই। তাহার মত অনেকেই অহিংসাকে ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থায় অনুসরণীয় নীতি বা পলিসি মনে করেন, উহা সকল অবস্থায় ও সকল দেশের অমুসরণীয় আধ্যাত্মিক বিধি মনে করেন না । অতএব, আমাদের মতে,যাহাদের মত ঠিক মহাত্মা গান্ধীর অনুরূপ, র্তাহার কমাল-পাশার সমর্থন বা তাহাকে অভিনন্দন করিতে পারেন না ; কিন্তু যাহাদের মত 'মৌলানা মহম্মদ আলীর অনুরূপ ( এবং প্রবালী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহাদের সংখ্যাই খুব বেশী বলিয়া মনে হয়), তাহারা নিশ্চয়ই কমাল পাশাকে অভিনন্দন করিতে পারেন। কারণ, ভারতবর্ষের কংগ্রেসের মূল বিশ্বাস ও নীতিস্বত্রগুলি ভারতের জন্ত এবং বর্তমান ভারতের জন্য ; উহা অন্ত কোন দেশের জন্ত লিখিত হয় নাই, এবং উহার কোথাও এরূপ লেখা নাই, যে, অন্য কোন দেশের লোক স্বাধীনতা লাভ ও রক্ষা বা দেশ, বা ধৰ্ম্ম, বা স্বার্থ রক্ষার জন্ত যুদ্ধ করিলে তাহ নিন্দনীয় বা সমর্থনের অযোগ্য হইবে। এই— জন্ত আমাদের বিবেচনায় শ্ৰীশবাবুর ব্যঙ্গ কেবল তাহাদের প্রতিই প্রযোজ্য যাহারা ঠিকৃ মহাত্মা গান্ধীর মতাবলম্বী হইয়াও কমাল পাশাকে অভিনন্দিত করিয়াছিলেন (এরূপ কেহ তাহা করিয়াছিলেন কি না জানি না ) ; সংখ্যাভূয়িষ্ঠ অন্ত কংগ্রেস-সভ্যদের প্রতি উহা প্রযোজ্য নহে, এবং উহা তাহাদের গায়েও লাগিবে না। তা ছাড়া, রাজনৈতিক খুন (পোলিটিক্যালয়্যাসাসিনেশুন) এবং যুদ্ধে একটা প্রভেদ আছে, তাহাও এখানে দেখান দরকার। সকল দেশের লোকমত অনুসারে অতর্কিতভাবে কাহাকেও আঘাত বা বধ করা নিন্দনীয়, সম্মুখ যুদ্ধে আহবান করিয়া আঘাত বা বধ করা তদপেক্ষা ভাল। রাজনৈতিক খুন অতর্কিতভাবেই করা হইয়া থাকে। শক্রকেও কেহ ব্যক্তিগত কারণে অতর্কিত ভাবে আক্রমণ করিলে তাহা নিন্দনীয় বিবেচিত হয়, অতএব রাজনৈতিক কারণে অতর্কিত আক্রমণ প্রশংসার যোগ্য, এরূপ মনে করিবার কোন কারণ দেখিতেছি না। দুই দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ হয়, তখন তাহার পূৰ্ব্বে যুদ্ধ ঘোষিত হয়, এবং উভয় পক্ষই যুদ্ধের জন্ত প্রস্তুত থাকে। কখন কথন যুদ্ধ ঘোষণা করিবার পূর্বেও আক্রমণ হয় বটে, কিন্তু তাহা আন্তর্জাতিক রীতির বিরুদ্ধ বিবেচিত হয়, এবং একবার আক্রমণ হইয়া গেলেই তাহা ঘোষণার সমান বিবেচিত হয়, এবং পরে উভয় পক্ষ প্রস্তুত থাকে। তখন গুপ্ত আক্রমণ দোষের বিষয় বলিয়া বিবেচিত হয় না। ইহার সহিত রাজনৈতিক খুনের তুলনা করা যাক । মিঃ আৰ্ণেই, ডে-কে ভ্রম-ক্রমে খুন করা হয়, স্বতরাং তাহার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কথা উঠিতে পারে না। মিঃ টেগার্টকে খুন করাই উদেশ্ব ছিল ; কিন্তু তাহার বিরুদ্ধেও