পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ফলের আশাটি মধুময় করে তুলেছে তেমনি করে তুলতে হবে প্রকৃত রস রচনাকে । ফুলের মত এর বাধন স্বন্দর হওয়া চাই, ফুলেরই মত নিজের বৃস্তের উপর নিজস্ব ভঙ্গীতে হাৰা হ’য়ে নিতান্ত সহজ স্বাভাবিকভাবে ফুটে থাকা চাই, ফুলের মত অন্তরে মধু থাকা চাই ও কেন্দ্রকে ঘিরে সমগ্র দলগুলিব একগতি হওয়া চাই। কোনো কদৰ্য্যত উপরে উঠে এলে, কোনো রেখার বন্ধন টুটে গেলে, কোনো দল উন্ট মুখে কবি-মানস 86:సి ফুটলে কিম্বা ওজনে বৃন্ত ছিড়ে ফেললে, অথবা সমগ্রটি শূন্তগর্ত অর্থহীন হ’লে, তার আর কোনো মাধুৰ্য্য থাকে না । এসকল দিকে লেখকদের দৃষ্টি বড় দেখা যায় না ; নিজেদের সকল দৈন্য তারা পাঠকের কাছে খুলে’ ধবৃছেন অতিরিক্ত দানের উৎসাহে, এবং এই দৈন্য-জনিত বিকৃতিটাকেই সাহিত্যের আর্ট ভেবে মনকে খুলী কবৃতে চাইছেন । = কবি-মানস শ্ৰী পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় পূর্ণিমার চাদ তার স্নিগ্ধ আলো দিয়ে পৃথিবীকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেচে । স্বষ্টিকৰ্ত্ত ব্ৰহ্ম ধ্যানে নিমগ্ন, অনেকক্ষণ পরে স্তিমিতনেত্রে বলে উঠলেন : এতদিন আমার ধারণ ছিল. আমার স্বষ্টির মধ্যে মানুষই সব চাইতে স্বন্দর কিন্তু দেখচি তা ভুল ; ওই যে সরোবরের পদ্মটি ফুটে রয়েচে, সামান্ত বায়ুভরে হেলচে দুল চে–ওর মত সুন্দর ত আর কিছুই দেগ চিনে। সৌন্দর্ঘ্যের নদীতে যে এমন করে বান ডাকাতে পারে, মানুষের মধ্যে তার সন্ধান ত মেলে না । ধ্যানমশ্নের মত কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ব্ৰহ্ম আবার বলে’ উঠলেন : - ফুলের মধ্যে যেমন পদ্ম, মানুষের মধ্যে তেমনি একজনকে স্বষ্টি করলে হয় না ? আচ্ছ, আমি এমন একজনকে স্বষ্টি করব যাকে নিয়ে সকলে তৃপ্তি পাবে আর ধরণীর বুক গর্বে ভরে উঠবে। কমল, তুমি বালিকার মূৰ্ত্তি ধরে আমার স্বমুখে এসে দাড়াও ! একথা বল্বমাত্র সরোবরের জল ছুলে ফুলে মেচে উঠল—যেন শ্বেত রাজহংসের ডান-দুটি কেঁপে উঠল। ক্রমে মিশৗখিনী উজ্জ্বলতর, জ্যোৎস্ন স্নিগ্ধতর হ’ল, শাখায় শাখায় পিক-বধু স্বরের পিচকারী ছুড়ে মারলে । অীবীর সব স্তন্ধ, নিথর । সব যেন অভিনব মন্ত্ৰ-শক্তিতে একদম বদলে গেল । ব্ৰহ্মার স্বমুখে কমল নারী-মুর্ভিতে এসে দাঁড়াল। আপন স্বষ্টি দেখে স্বয়ং স্বষ্টিকৰ্ত্ত অবকৃ হ’রে চেয়ে রইলেন । পরে বালিকা-কুমলকে শুধোলেন, তুমি ছিলে সরোবরের কমল, আজ থেকে হ’লে ব্ৰহ্মার মানস-কমল । বসন্তের দখিন হাওয়া যখন ফুলের পাপড়ি চুম্বন করে তার কানে কানে যৌবনের কথা কয়, ঠিক তেমনি করে বালিক জবাব দিলে প্রভু, আপনি আমার মানৰী ক’রে স্বষ্টি করেছেন, এখন আমার বাসস্থান নির্দেশ করে দিন। আমি যখন ফুল হয়ে সরোবরে ফুটেলিম, তখন ঈষৎ তরঙ্গ-হিয়েলে আমি ভরে কেঁপে উঠ তুম। বড়ঝঞ্জ বজ্রবিদুৎ চমকালে আমার ভয়ের সীমা থাকৃত না । আপনার আদেশে নারীরূপ ধারণ করলেও আমার অস্তরটি এখনো ফুলের মতই রয়ে গেছে। আজ যখন ধরিত্রীর বুকে এসে দাড়ালুম, তখন আমার প্রাণ-মনদেহ অজ্ঞাত শঙ্কায় কেঁপে কেঁপে উঠচে । অামায় অভয় দিন প্রভু, আর থাকৃবার স্থান নির্দেশ করে দিন । ভগবান তার সর্বদশী দৃষ্টি নিয়ে শুভ্ৰ নীলাকাশের বুকের অগণিত তারকার দিকে চেয়ে রইলেন, তার ললাটে চিন্তার রেথ ঘনিয়ে এল । হঠাৎ তিনি জেগে উঠে” কমলের দিকে চেয়ে শুধোলেন, শৈল-শিখরে বাস করতে চাও? প্রভু, সেখানে অত্যন্ত শীত, বরফও আছে, আমার এ তনু দেহ সেশীতের শিহরণ সহ্য করতে পারবে না । ত হ’লে সরোবরের জলে তোমার বাসের জন্তে একটি স্ফটিক প্রাসাদ তৈরী করে” দেব ? জলকে আমি জানি প্রভু, সেখানে অনেক বিকট জীবজন্তুব ৩ অভাব নেই-আমার এই কিশলয়ের মত কোমল দেহ ত তাদের ভিতর বাস করবার উপযোগী নয়। তা হ’লে ওই বিস্তৃত প্রাস্তরের ভিতর তোমার বাসগৃহ তৈরী করে झेि ? না, সেখানে ঝড়ঝঞ্জীর ভয় বড় বেশী { তা হ’লে দেখচি ভারি মুশকিল। আচ্ছা, হয়েচে । জগতের সকল কৰ্শ্বকোলাহল থেকে দূরে—অতিদূরে গিরিগহ্বরে মুনিঋষির যুগযুগান্তর ধরে ধ্যানধারণ করচেন, সেখানে সেই মৌন প্রকৃতির কোলে ধাকৃতে, আশা করি, তোমার কিছুমাত্র আশঙ্ক হবে না। প্রভু, সেখানে ভীষণ নিস্তব্ধতা ও গাঢ় অন্ধকার—ন। প্রভু, আমার एठोंज्ञेि एठन्र इन् । & বালিকার জবাব শুনে ব্ৰহ্মা ভারি বিষণ্ণ হয়ে মাখা গুজে ভাবতে লাগলেন। বালিকা ভয়ে থর থর করে কাপতে লাগল। ক্রমে vrstitutta stra affinirharta ےrgممستثنگ_ انحصم