পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Wob” - -اح سسی----- ص- سد سه م. ------ ص- م------حه حسن ۳*۳ আপনার মাঝে আমি আধ চেতনায় ?...যারে বহুেছি হৃদয়ে, সহসা বাহিরে তারে হেরি;—তারে নাহি হেরি। সচকিত ছায়৷ হেরি কার প্রভাত গগনে। ধন মেঘস্তরে কার স্বর্ণকায় শিহরি’ ডুবিয়া যায়। দুরে খামায়িত বনরেখা পরে আঁখির পল্লব কার ঘনস্নিগ্ধ আলসের ভরে হইয়া নামিয়া আসে। দিগন্থের অনন্ত বিস্তারে আকুল আগ্রহ-ভরে ডেকে ডেকে খুজে ফিরি তারে, ' তবু যেন তারই মাঝে রতি। ধীরে কেটে যায় দিন, আনন্দে ব্যথায় ভরা আপনার হৃদয় নিলীন অজানা সে আভাসের টানে দূর হতে দূরে চলি, অস্তরের অস্তস্তল পানে, তোমারেই কাছে শুধু আনি । তার পর কতবার, হৃদয়-গহন-কোণে আষাঢ়ের বিজলি-বিভার আলোকে তোমারে হেরি শুধু এক পলকের মতো । বুকের গোপন-কক্ষে নিরাশায় শাস্ত অনাহত স্তিমিত যে দীপথানি জলে, তার ধ্যান-দৃষ্টি দিয়া তোমারে চকিতে লভি, তার পর হাসিয়া কাদিয়া পুনরায় বসি ধ্যানে। কত জন্মযুগ যায় বহি’, কাদে এ-বক্ষের মাঝে এ-বিশ্বের অনাদি বিরহী অজানা প্রিয়ার লাগি তার । কন্তু সোহাগের তুলি বুলাইয়া আঁকি তোম। —শোণিতে জীবন্ত রঙ গুলি হাসে তব কেশে-বেশে, কপোলে, অধরে, বক্ষে, পারে, শুধু মোর দীর্ঘশ্বাস বহে স্তব্ধ পটেরে কাপায়ে, নিরাশায় আঁখি মোর ঝরে । কভু অনিন্দিত ঐ রূপথানি কঠিন পাষাণে গড়ি’ করি তোমা’ কঠিন পাষাণী, চরণে মরণ-লেখা একে লই ললাট-ফলকে মিনতি-নতির পুরস্কার । কন্তু চাহি অপলকে যেথায় চলে না দৃষ্টি, স্বষ্টির বাহির দূর-পানে, যা-কিছু অচেনা সবে তোমার মতন করি? টানে, ডাকে ঘোর শঙ্খের নির্ঘোষে । পথে পথে বাহিরাই বীর-বেশে স্বর্ণচূড় তুর্ণগতি রথে চক্রের ঘর্ঘর তুলি, শঙ্খের নিনাদ, ভেরীরব – রণ-অবসানে হের পুঞ্জ পুঞ্জ ব্যর্থতার শব প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তোমার পথেরে করে দুস্তর দুর্গম। কভু চুপে তোমারে ধরিতে চাহি এ-বিশ্বের দেবতার রূপে ; ধূপের অলস ধোয় বাতাসের গায় মুরছিয়া রহে পড়ি কাপন জাগায় স্পন্দমান সন্ধ্যাতার অন্ধ নিশীথের চির প্রতীক্ষার বুকে, হিমভারে অবশ শীতের জমাট বিষাদ-সম মৰ্ম্মরের দেব-আয়তনে স্তব্ধতার করি পূজা, আঁধারেরে বসায়ে যতনে আলোক-পিপাস্থ মৰ্ম্মশতদলে, পদতলে দিই দীপ জেলে, তারপর আঁখি মুদি’ভাবি তুমি এলে, তুমিএলে,তুমি এলে! কত যুগ ধরি তোমারে গড়েছি আমি আমার মনের মতো করি' কামনার নানা বর্ণে রূপে । কত রুদ্র তপস্তায় পাষণে এনেছি প্রাণ তিলে-তিলে, জড় মৃত্তিকায় হৃদয়ের স্পন্দনের সুর । গড়িয়ছি আঁখিদুটি আমার এ আঁখিজল দিয়া । অধরে যে হাসি ফুটি' মিলায় উষার আলো সম, আমি আকিয়াছি তারে আমার-আধর পিপাসায় । কপোলের একধারে একটি তিলের ফোটা বাসনার বেধলক্ষ্য সম,— যুগব্যাপী সাধনার সাদর বুকের স্পর্শে মম আছিল সে নিভৃত লালনে । পুঞ্জ পুঞ্জ কেশভার, তব পথ-চাওয়া মম স্বনিবিড় ঘন তমসার স্মৃতি সে যে বহু দিবসের । আজি চাহি কুতুহলে তোমার ও-মুখপানে, ভাবিতেছি কোন মন্ত্রবলে তোমারে আনিচু আমি আশাধন হৃদয়-গঠন-তল হ’তে এবিশ্বের উদার আলোতে । অস্তরের অনিৰ্ব্বাণ আশা, আমার অস্তিত্বমূলে অনাদি কালের ভালবাসা, সে আজি লভেছে রূপ কি মায়াতে, ওগো মায়াবিনী ঐ বাহুলতিকায়, পদাযুজে, কণ্ঠগীতে, কঙ্কণ-কিঙ্কিণী নূপুর-বলয়-রবে, কটিতটে, গ্রীবা বক্ষ নাসিকা ললাটে, কোমল কপোলতলে, ভুরুষুগে, কেশপাশে, মান সিথিপাটে, ললিত গতির ছন্দে, আবেশে-আগ্রহে, হাসি অশ্রু মানে অভিমানে, ধ্যানে, মোহে,