পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१२ জানালীর কাছে সরিয়ে আনা হয়েছিল—সেই সময় স্কাশনাল গার্ড-এর একদল সৈন্ত, “বড়-বাহিনী-বীথির” পথে একত্র জড়ো হয়েছিল। দেখা গেল, বৃদ্ধ ঐ সৈন্ত দেখে খুৎ-খুৎ করছে। —জিজ্ঞাসা করলে – ' “ঐ ওরা কোন সৈন্ত ?—ওদের অঙ্গচালনার শিক্ষা মোটেই ভাল হয়নি-কুশিক্ষা, কুশিক্ষণ—” "এর খারাপ ফল কিছুই হ’ল না। কিন্তু আমরা বুঝতে পারলেম এখন থেকে আরো একটু সাবধান হওরা আবশ্যক। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা যথেষ্ট সাবধান হ’তে পারিনি ।” “একদিন রাত্রে দেখলেম, মেয়েটির খুব ভাবন হয়েছে।” সে বললে – “কাল ওরা প্রবেশ করবে” । পিতামহের ঘরের দরজাটা কি থেtল ছিল ? এখন আমার মনে হচ্ছে, সমস্ত রাত্রি উীর মুখে একটা অস্তুত ভাব লক্ষ্য করেছিলেম। বোধ হয়, আমাদের কথাগুলো তার কাণে গিয়েছিল। তামরা প্রশীয়দের কথা বলুছিলেম, কিন্তু তিনি মনে করেছিলেন আমরা ফরাসীদের কথা বলছি ; এত দিন তিনি যে আশা করছিলেন,— মার্শাল মাকৃ-মাহন পুষ্প বুষ্টির মধ্যে দিয়ে, তুরী-নাদের ভিতর দিয়ে, নগর প্রবেশ করছেন—আর মার্শালের পাশ্বচর ঠার পুত্র, মার্শালের পাশে পাশে অশ্বপৃষ্ঠে আসছে। তাই আজ দেপতে পাবেন বলে তিনি তার উদি পোষাক পরে’, বারুদ-কালিমার মলিন নিশান ও ঈগল-পতাকাকে অভিবাদন করবার জন্ত জানুলার বারাওয়ে বস্বেন মনে করেছেন। বেচার কর্নেল জুগু ! বুদ্ধ নিশ্চয়ই মনে করেছিল, মনের আবেগ পাছে তার তাসহ হয়, এই জঙ্ক আমরা তাকে ধাধা দেব। তাই তার মনোগত অভিপ্রায় আমাদের কাছে প্রকাশ করেনি । কিন্তু তার পরদিন পোত মেলোত থেকে তুইলরি পর্য্যন্ত যে লম্বী প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড রাস্ত গেছে সেই রাস্ত দিয়ে প্রশীয় সৈন্ত যখন অতি সাবধানে যাত্রা করছিল, ঠিক সেই সময় দেখা গেল, জানলাটি আস্তে আস্তে খুলে’ গেল—মাথায় শিরস্ত্রীণ পরে’, কোময়ে তলোয়ার ঝুলিয়ে বৃদ্ধ বারাওয়ে এসে দাড়াল। অনেক সময় আমি মনে মনে ভেবেছি, এইরকম সামরিক সাজ-সজ্জার ভূষিত হয়ে খাড়া হয়ে উঠতে তার না জানি কতটা ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছিল, তার এই ক্ষীণ অবস্থায়, কি প্রচণ্ড ত্যাকস্মিক আবেগ না জানি তাঁকে পরিচালিত করেছিল । এই পৰ্য্যন্ত আমরা জানি, বৃদ্ধ গরাদে ধরে চুপ করে দ্বাড়িয়ে আছে— কেবল তার আশ্চৰ্য্য মনে হচ্ছে—কেন রাস্তাটা এত নিস্তব্ধ, কেন সব গবাক্ষ বন্ধ : প্যারি যেন একটা কুণ্ঠরোগীর আশ্রম ; সর্বত্রই পতাকা–কিন্তু অপরিচিত , বিদেশী পতাকা : লাল 'ক্রস"-অঙ্কিত সাদা রঙের পতাকা । আমাদের সৈনিকদের দেখবার জন্ত কেউ আসেনি। "মুহূর্তের জন্য তার মনে হয়েছিল, হয়ত তার ভুল হয়েছে।” “কিন্তু না। ঐখানে, “বিজয়-তোরণের" পিছনে একটা তুমুল শব্দ, দিবালোকের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একটা কৃষ্ণ রেখা—তার পর ক্রমশঃ শিরস্তাণের শলাকাগুলো কিক্‌মিক্‌ করে উঠল, তলোয়ারগুলো কণঝন করে" উঠল, তার পর খবেয়ার-রচিত গগনভেদী বিজয়সঙ্গীত বেজে উঠল।” রাজপথের সেই মুতবৎ নিস্তব্ধতার মধ্যে একটা চীৎকার—একটা ভীষণ চীৎকার শোনা গেল :– "সবাই অস্ত্র ধর—অস্ত্র ধর—প্রাণীয়ের এসেছে”। অগ্রগামী সৈন্তऋलद्र aन्त्रन बचारब्राशे ८वाथ इग्न cमcथ' श्रांकुट्व-ये छे°प्ब्रव्र दांतt७l থেকে একজন দীর্ঘকার বুদ্ধ টলতে-টপূতে, হাত দোলাতে-দোলাতে নীচে পড়ে গেল। এইবার কর্নেল জুভ গতপ্ৰাণ ।” —আলফস দোদের ফরাসী হইতে ম্পর্শমণি গ্রী কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়, বি-এসসি ( লগুন), এ-আর-সি-এস্ ( লগুন ) এপৰ্য্যন্ত যাহা লিখিত হইয়াছে, তাহাতে ধাতুসকলের ংস্থান বা আভ্যন্তরীণ গঠন সম্বন্ধে প্রাচীনগণের কি-কি মত বা বিশ্বাস ছিল, তাহ, আশা করি, অনেকখানি প্রকাশ পাইয়াছে । প্রাচীনগণ, কি এই দেশে, কি বিদেশে, সৰ্ব্বত্রই এবিষয়ে একমত ছিলেন, যে, ধাতুসকল বিভিন্ন মৌলিক পদার্থ নহে । বরঞ্চ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই মত প্রবল ছিল, যে, ধাতুসকল, অন্যান্য স্বই পদার্থের ন্যায়, কতিপয় মৌলিক পদার্থের বিবিধ বিন্যাসের দ্বারা গঠিত হয়। বিশেষ বিশেষ ধাতুর স্বভাব ও গুণ ভিন্ন-ভিন্ন হইবার কারণ, ধাতুমধ্যে এই মৌলিক পদার্থগুলির পরিমাণভেদ এবং শুদ্ধতার তারতম্য । যাহা যৌগিক পদার্থ, তাহার উপাদানসকল পাইলে, তাহা কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করা যায়। কেবলমাত্র বিভিন্ন উপাদানের পরিমাণ স্থির করাই প্রয়োজন । স্বতরাং যদি স্বর্ণ যৌগিক পদার্থ হয় এবং তাহার