পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বালিনের অবরোধ 8ፃ> छटग्नब मरवांम निtग्न श्रांभां८क अखियांमन कबृठ ।। ७कै। शनग्नবিদারক হাসির ভাব মুখে এনে, আমার সঙ্গে মিলিত হ’ত । আর, দরজার ভিতর থেকে আমি শুনতে পেতেন একজন হর্যোৎফুল্লকণ্ঠে বলছে : “আমরা বেশ এগোচ্ছি, বেশ এগোচ্ছি। আর এক হগুীর মধ্যে আমরা বার্লিনে প্রবেশ করব।” “সেই সময় প্রণীয়ের আর বেশী দূরে নেই, এক হস্তার মধ্যেই প্যারিতে এসে পড়বে। প্রথমে আমরা মনে কবৃলেম, এখান থেকে পল্লী-প্রদেশে চলে যাওয়াই ভাল ; কিন্তু এখন থেকে একবার বের হ'লেই, পল্লী-প্রদেশের অবস্থা দেখলেই আসল কথাটা প্রকাশ হয়ে পড়বে। কিন্তু বৃদ্ধ এখনও এত দুৰ্ব্বল, যে আসল কথা জানলে আর সহ করতে পারবে না । তাই, ঠিক্‌ হ’ল, এইখানেই থাকা হবে। “অবরোধের প্রথম দিনে, আমার রোগীকে আমি দেপতে গেলাম । —আমার বেশ মনে পড়ে, আমি তখন চিন্তাকুল । প্যারির কটক বন্ধ হয়েছে, আমাদের প্রাকারের নীচেই যুদ্ধ চলছে, আমাদের সহরতলীগুলোই আমাদের প্রান্তসীমায় পরিণত হয়েছে—এই কথা জেনে আমার মন তখন অত্যন্ত ব্যথিত, তখন সকলেই এই বাথ তীব্ররূপে অনুভব করছিল। “গিয়ে দেখি, বুদ্ধ বেশ হৰ্ষোৎফুল্ল, গৰ্ব্বিত ।" সে যস্লে :"অবরোধ ত আরম্ভ হয়েছে” আমি হতবুদ্ধি হয়ে তার দিকে তাকালেম । “তুমি কি করে জানলে, কনে ? তার পত্নী আমার দিকে ফিরে বস্লে—“হ ডাক্তার, এটা একটা মস্ত খবর। বালিনের অবরোধ আরম্ভ হয়েছে । তার ছুচটা টেনে নিয়ে, সে বেশ শান্তভাবে এই কথা বললে । বুদ্ধের মনে মন্দেহ কি করে আসবে? বৃদ্ধ কামানের গর্জনও শুনতে পায়নি, প্যারির এই রোধ-গম্ভীর ভাব ও বিশৃঙ্খল অবস্থাও দেখতে পায়নি। যা কিছু তার শয্যায় শুয়ে সে দেখতে পাচ্ছিল, তাতে তার বিভ্রমটা সমানই থেকে যাচ্ছিল । বাহিরে "বিজয়-তোরণ” ; আর ঘরের ভিতর, “প্রথমসাম্রাজ্যের” স্মৃ ত-সামগ্রীর বেশ একট। সংগ্রহ ছিল । ফরাসী-প্রধান সেনাপতিদের তস বির, যুদ্ধের খোদাই চিত্র. থোকার পোষাক-পরা রোম-নৃপতির ছবি ; সম্রাটের স্মৃতিচিহ্ন, তাম্রমুপ্তি, কাচের ফানসে ঢাকা "সেন্ট-হেলেনার" একটা পাথর—এইসব সামগ্ৰী। সরল প্রকৃতি কনে ল! আমর। যাই বলি না কেন. প্রথম নেপোলিয়ানের এইসব বিজয় কীৰ্ত্তির মধ্যে থেকে, সরলভাবে সে বিশ্বাস করেছিল বে, বার্লিন অবরুদ্ধ হয়েছে ।” “সেইদিন থেকে, আমাদের সামরিক ব্যাপারগুলো অপেক্ষাকৃত অনেকটা সহজ হ’ল । এখন বালিন দখল করা কেবল ধৈর্য্য-সাপেক্ষ । যখন বৃদ্ধ অপেক্ষ করে'-করে ক্লাস্ত হ’য়ে পড়ত, তখন মধ্যে-মধ্যে তার পুত্রের পত্র তাকে পড়ে শোনানো হত –অবহু এ-সব পত্র কাল্পনিক ; কেননা, তখন প্যারিসের ভিতর কিছুই প্রবেশ করতে পাৰ্বত না । এবং “সেডান’-এর পর, বুদ্ধের পুত্র ম্যাক্-মেহনের পার্শ্বচর সেনাধ্যক্ষকে একটা জাৰ্ম্মান-দুর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির মনে তখন কি-রকম নৈরাপ্তের ভাব জাগছিল তা বেশ কল্পনা করতে পার। বাপের কোন খবর পাচ্ছে না ; বীপ বন্দী,—আরাম ও স্বথের সামগ্ৰী হ’তে বঞ্চিত ; হয়ত পীড়িত। তবু তার মুখ দিয়ে, ক্ষুদ্র পত্রের আকারে, মিথ্যে করে বলতে হচ্ছে যে, তিনি বিজিত দেশে, ক্ৰমশঃই জয়ের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। কখন কখন, যখন রোগী একটু বেশী দুৰ্ব্বল হয়ে পড়ত তখন নুতন খবর আসতে কত সপ্তাহ अठोट श्रङ्ग ८क्ठ। किड पथन धूद छै२कडि श्रद्र श्रृंख्न ठ-विज। হ’ত না, তখন হঠাৎ জার্শ্বাণী থেকে যেন একটা পত্র আস্ত ; মেয়েটি সেই পত্র বুদ্ধের শয্যার পাশে বসে জোর করে কান্না চেপে রেখে হৰ্ষোৎফুল্লভাবে পড়ে শোনাতে । কনেল ভক্তিভাবে মনোযোগ দিয়ে শুনুহ ; মুখে একটা গর্বের হসি—কোন জায়গায় অনুমোদন করছে, কোন জায়গায় দোষ ধরছে, কোন জায়গায় ব্যাখ্যা করছে। তার সব চেয়ে গুণপন দেখা যেত, পুত্রকে যখন সে উত্তর দিত । বৃদ্ধ লিখত –তুমি যে একজন ফাদী, একথা কখনো ভুলবে না: ; ঐসব হতভাগা লোকদের প্রতি উদার হবে । এই আক্রমণটা তাদের পক্ষে যেন বেশী কঠোর না হয়। পরামর্শের আর অন্ত ছিল না , সম্পত্তির প্রতি সন্মান দেপানে-সম্বন্ধে, মহিলাদের প্রতি শিষ্টাচারসম্বন্ধে কতই উপদেশ–এক কথায় বুদ্ধ যেন বিজয়ীদের ব্যবহারের জন্ত একটা সামরিক ধৰ্ম্ম-সংহিত রচনা করছিল । এইসবের মধ্যে আবার পলিটিকৃসের কথাও থাকৃত—বিঞ্জিতের উপর সন্ধির সপ্ত কিরকম চাপতে হবে, সে কথাও থাকত। একথা স্বীকার করতেই হবে, বুদ্ধ বিজিতদের কাছে থেকে বেশী কিছু দাবী করেনি।" “যুদ্ধের ক্ষতি-পুরণের অর্থদও, তা ছাড়। আর কিছু নয় : দেশ দখল করায় কোন লাভ নেই। তুমি কি জার্মানীকে কখনে। ফ্রানসে পরিণত করতে পার ?” “বৃদ্ধ এই উত্তর লেখাবার সময় এরূপ দৃঢ়স্বরে, এরূপ দেশভক্তিব্যঞ্জক বিশ্বাসের সহিত কথাগুলো বলে যেত যে, কাহারে পক্ষে অবিচলিত-চিত্তে তা শোনা অসম্ভব । "ইতিমধ্যে অবরোধের কাজ চলতে লাগল—অবশ্ব বালিনের অবরোধ নয়। হায়! এইসময় শীত, গোলাবর্ণ, নারী, দুর্ভিক্ষ চরমে উঠেছিল । অবস্থা যতদুর খারাপ হবার তা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের যত্নেঃ গুণে এবং গৃহ-পরিজনের অশ্রাপ্ত সেবার গুণে, বুদ্ধের শান্তি একমুহূর্ধের জন্যও বিচলিত হয়নি। শেষ পয্যন্ত খামি তার জস্থা—একমাত্র তারই জন্ত সাদা মটি, ও টাটুকী মাংস যুগিয়েছিলেম। বুদ্ধের প্রাতভোজনট। যারপরনাই মৰ্ম্মস্পর্শী । পিতামহ নিরীহ গৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত : মুখে তাঙ্গ ভাব, ও হাস্তবদন । শযltর উপর উঠে বয়েছে, ধুতির নীচে থাপ কিল বাধা ; শয্যার পাশে, তার নাত্বা অভাব ও অনশন পাণ্ডুবৰ্ণ-বুদ্ধের হাতটা ধরে মুখের দিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এবং সকলরকম ক্লা ক্ষর নিষিদ্ধ জিনিসের আহারে সাহায্য করছে। বৃদ্ধ থেয়ে দেয়ে একটু চাঙ্গ হয়ে উঠে নিজের গরম ঘরটিতে বেশ একটু আরাম উপভোগ করছে। ঘরের ভিতর শীতের বাতাস প্রবেশ করতে পাৰ্বছে না—কেবল জানালীর কাছে তুষারের ধুণিপাক চলেছে। এই সময়ে কবচ-ধারী অশ্বারোহী বৃদ্ধ উত্তর যুরোপের যুদ্ধ-কাহিনী বলতে ভালবাসত। শিয়ার যুদ্ধে সেই সৰ্ব্ব:নশে পশ্চাদগমনের বর্ণনা কর্ত—যাত্র-পথে বরফে জমা বিস্কুট ও ঘোড়ার মাস ছাড়া আর থাদ্য দ্রব্য কিছুই পাওয়া যেত না ।" বুঝিছিস পুড়ি, আমরা ঘোড়া থেতেম” ! “মেয়েটি খুবই বুঝতে পেরেছিল । কেননা, এই দুই মাপ কাল সে ঘোড়ার মাংস ছাড়া আর কিছুই খায়নি। বৃদ্ধ যেমন একটু সেরে উঠতে লগ ল—আমাদের কাজটাও প্রতিদিন কঠিণ হয়ে উঠতে লাগল। তখন কনেলের ইন্দ্রিয় ও অঙ্গাদির অসাড়তা—যারদরল আমাদের একটু স্ববিধা হয়েছিল—ক্রমশঃ অস্তৰ্হিত হতে আরম্ভ করেছে। এরই মধ্যে, দুই-একবার পোত মেলোর কামানের ভীষণ গর্জনে বৃদ্ধ চমূকে উঠেছিল এবং যুদ্ধের ঘোড়ার মতে কান খাড়া করেছিল। কাজেই বাধ্য হ’য়ে একটা কথা আমাদের বাণিয়ে বলতে হ’ল—আমরা তাকে বললেম, বালিনের সম্মুথে যুদ্ধে আমাদের জয় হওয়ায় তারই সম্মানার্থ “অ্যাভলিণ্ড" হতে তোপ-ধ্বনি হচ্ছে। আর-এক দিন তার শয্যাটা