পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\లు তদ্রসং রসসংযুক্তং একীকৃতং তু মর্দয়েং ॥ অন্ধমূষাগতং প্লাতং রসং ম্ৰিয়েত তৎক্ষণাং সহস্রবেধী কৰ্ত্ত চ জ্ঞায়তে স মহারস: | মূষাং সংলেপয়েং তেন পুরাগুহ মহৌষধী: । ( কাকচণ্ডেশ্বরীমত তন্ত্র ) “বজদণ্ড, মুদণ্ড, লৌহদণ্ড, ব্ৰহ্মদণ্ড, পুট দ্বারা বিড় । করিবে। উছার রসের সঠিত পারদ সংযোগ করিয়া মৰ্দ্দন করবে। তংপরে বদ্ধমুযাযন্ত্রে (মচি) স্থাপন করিয়া পাক করিলে পারদের মারণ ক্ষণমধ্যেই হয়। এই পারদ একলে মষ্টারস সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয় । ইহা সহস্ৰবেদী অর্থাৎ সহস্ৰগুণ হীন ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করিতে পারে।” অন্যান্য হিন্দু রসায়ন-সংক্রান্ত পুস্তকে পারদের ঐ গুণ সম্বন্ধে যথেষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায় যথা— চতুঃ যষ্ঠ শর্তে বীজপ্ৰক্ষেপো মুখমুচ্যতে। এবঙ্কতে রসো গ্রাসলোলুপে মুগবান ভবেং ॥ মুখস্থিত রসেনাল্পলোহস্য দমনাং খলু। স্বর্ণরুপ্যত্ব জনমং শব্দবেধ: স কীৰ্ত্তিত: (রসরত্নসমুচ্চয়) “চতুঃষষ্ঠাংশ বীজ প্রক্ষেপকে মুখ বলে। এরূপ করিলে পারদ গ্রাসলোলুপ মুখযুক্ত হয় । এইরূপ মুখযুক্ত পারদের সাহায্যে অল্পপরিমাণ ধাতুকে রৌপ্যে বা স্বর্ণে পরিণত করাকে শব্দবেধ বলে ।” একবিষয়ে সৰ্ব্ব-দেশেই একমত ছিল । তাহা পারদের অলৌকিক গুণ সম্বন্ধে। এদেশে বহু রাসায়নিক পারদের প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন। পাশ্চাত্য প্রাচীন রাসায়নিকগণও পারদের গুণকীৰ্ত্তন করিয়াছেন। নাগাৰ্জুন তাহার রস-রত্নাকরে বলিয়া গিয়াছেন— রসং হ্মেসমং মদ্য পীঠিক গিরিগন্ধকম্। দ্বিপদীরজনীরস্তাং মদ য়েং টঙ্কণাস্থিতাম্ ॥ নষ্টপিষ্টঞ্চ মুক্ষঞ্চ অন্ধমূৰ্য্যাং নিধাপয়েৎ । তুষাল্লঘুপুট দন্ত যাবৎ ভষ্মত্বমাগতঃ ॥ ভক্ষণাৎসাধকেন্দ্রস্তু দিব্যদেহমবাপ্ল স্নাৎ ॥ “সমপরিমাণ স্বর্ণ পারদের সহিত মর্দন করিবে । পরে গিরিগন্ধক, সোহাগা ইত্যাদির সহিত মৰ্দ্দন করিবে । এইরূপে নষ্ট পিষ্ট পারদকে মু্যাযন্ত্রে ( মুচিতে) আবদ্ধ করিয়া তুষানলে লঘু পুটপাক করিবে, যতক্ষণে ইহা ভস্মে প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড পরিণত হয় তৎপর্য্যন্ত । এই ঔষধ ভক্ষণ করিলে দিব্যদেহ (জর মৃত্যুর অতীত) প্রাপ্তি হয়।” অন্যদিকে গন্ধক সম্বন্ধেও এইরূপ বিশ্বাস অনেকস্থলে পাওয়া যায়। প্রাচীন পাশ্চাত্য রাসায়নিকদিগের বিশ্বাস ছিল, যে, পারদের আত্মার সহিত গন্ধকের আত্মীর যোগে সৰ্ব্বধাতু উৎপন্ন হয়। এই গন্ধকের আত্মাকেই প্রাচীন পাশ্চাত্য রাসায়নিকগণ দার্শনিকের প্রস্তর বা স্পর্শমণি নামে অভিহিত করিতেন । স্পর্শমণির অলৌকিক গুণ সম্বন্ধে বিশ্বাসের কথা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। স্বর্ণ প্রস্তুত-করণ ভিন্ন ইহার অন্য ব্যবহার ছিল জীবদেহু জরাব্যাধি হইতে মুক্ত করায় । খৃঃ চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে অনেক চিকিৎসক স্বাস্থ্যরক্ষা ও দীর্ঘজীবন লাভের ঔষধ হিসাবে স্পর্শমণি প্রয়োগের ব্যবস্থা দিতেন ! “রৌপ্যপাত্রে উত্তম শ্বেতবর্ণ স্বর অনুপানে এক-গেণ-পরিমাণ স্পর্শমণি দ্রবীভূত করিবে এবং দ্বিপ্রহর রাত্রিতে তাহ পান করিবে ।’ এইরূপ ব্যবস্থা এক প্রাচীন চিকিৎসা-শাস্ত্র গ্রন্থে পাওয়া যায়। স্পর্শমণির ব্যবহার সকলেই জ্ঞাত ছিলেন । কিন্তু কি উপায়ে ইহা লাভ করা যায়, সে-সম্বন্ধে মতভেদ যথেষ্টই ছিল। কাহারও মতে ইহা দৈব উপায় ভিন্ন পাওয়া অসম্ভব ; আবার কেহ কেহ ইহা প্রস্তুত-করণের উপায় জানেন, একথাও বলিয়া গিয়াছেন। তবে প্রস্তুতকরণের উপায় অতি অদ্ভুত কূট সাঙ্কেতিকভাবেই লিখিত হইত। যেমন একজন নিম্নলিখিত ব্যবস্থা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। н “পারদ বন্ধনের প্রথা—কতিপয় দ্রব্যমধ্যে, এইসকল গ্রহণ কর । যথা ২, ৩ এবং ৩, ১ i ১ এর প্রতি ৩, ৪ হয় ; ৩, ২ এবং ১ । ৪ এবং ৩ মধ্যে আছে ১ ; ৩ হইতে ৪ হয় ১ ; তৎপরে ১ এবং ১, ৩ এবং ৪ ; ১ হইতে ৩ হয় ২ । ২ এবং ৩ মধ্যে আছে ১, ৩ এবং ২ মধ্যে ১ । ১, ১, ১, এবং ১, ২, ২, এবং ১, ১ এবং ১ এর প্রতি ২ । তৎপরে ১ হয় ১ । তোমাকে সমস্তই বলিলাম।” ফলাফল যাহাই হউক, এই স্পর্শমণির অন্বেষণ ও অমরত্বের ঔষধের অন্বেষণের গণ্ডীর মধ্যে রসায়ন শাস্ত্র বহুকাল আবদ্ধ ছিল । ইয়োরোপে ১৪৯৩ খৃঃ প্যারা