পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8や সম্পত্তি দান করিয়াছেন । কলিকাতা বিশ্ব- বিদ্যালয়ের অধীন ཝ་སྭf་ পৰ্য্যন্ত তথtয় পড়াইবার ব্যবস্থা করা হইবে।

  • * —হিন্দুরঞ্জিকা

চীনে রবীন্দ্রনাথ— ১২ই এপ্রিল তারিখে হংকংএ কবি সদলে পৌছলে অন্তান্ত স্থানের মধ্যে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃত কবৃবীর জন্য অমন্ত্রিত হন । আমাদের পূর্বপরিচিত হর্ণেল সাহেব এখন ওখানকার ভাইস্চ্যান্সেলার। ২৩এ এপ্রিল তারা পিকিংএ পেীছন । সিনানে তাকে প্রথমেই উীর বাণী শোনাতে হয়েচে ছাত্রমহলে—চার হাজার ছাত্র তা শোল্বার জন্তে হাজির হয়েছিল । চীনে সমারোহের সঙ্গে তার জন্মোৎসব পালিত হয়েচে । ভূতপূৰ্ব্ব সম্রাট, তাকে পরিচ্ছদ উপহার দিয়েচেন আর চীনে উর নূতন নামকরণ হয়েচে "চু-চানতান”—যার মানে বজ্ৰগম্ভীর ভারত-প্রভাত । সমস্ত স্থানেই কবীন্দ্র অভিননানের উত্তর দিয়েছিলেন । কি চীন, কি বর্ণ। সকল স্থানে সকল সম্প্রদায়ই বার বার করে তাকে নিবেদন করেচে, তাবৎ এসিয়ার মহামানব তিনি—সকলরকমে এত বড় বিরাট ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎ তারা আর পায়নি। চীনসম্প্রদায় বলেছে বে, তার বিশ্বাস করে, তাদের দেশের অশাস্ত অবস্থা তার উপস্থিতিতে হয়ে যাবে ; সত্য স্বন্দর ও সৎ আর কারুর ভিতর এমন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করেনি। —বিজলী ইক্ষু চাষ ও গুড়– বাঙ্গলার ১৯২৩-২৪ সালের ইক্ষুচাষের অবস্থা প্রথমে কতকটা ভাল থাকিলেও মধ্যে অনাবৃষ্টির জন্য খারাপ হইয়া যাওয়ার শেষ ফল খুব আশাপ্রদ নহে। পূর্ববঙ্গের ফসল সন্তোষজনক হইলেও উত্তর পশ্চিম ও দক্ষিণ বঙ্গের ফসল আশানুরূপ হয় নাই। পুৰ্ব্ব বৎসর অপেক্ষা এ-বৎসর ৭৩• • একর বেণী জমিতে চাষ হইলেও উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ সাধারণ উৎপাদনের মাত্রার শতকরা ৮০ ভাগ মাত্র ; এই হার গত বৎসরে ৭৯ ভাগ ছিল। অনুমান—এই বৎসরে উৎপন্ন গুড়ের পরিমাণ ২২৩••• টন হইবে, পুৰ্ব্ব বৎসরে ২১২৫•• টন ছিল। এ-বৎসর খেজুর্বগুড় পুৰ্ব্ব বৎসরাপেক্ষ ১২৬•• টন কম। –সন্মিলনী ত্ররামপুরে অস্পৃষ্ঠত বর্জন— প্রযুক্ত বিভূতি মুখোপাধ্যায়-নামক জনৈক ভদ্রলোক হীরামপুরে এক কালীপূজা করেন। এই পূজা উপলক্ষে তিনি চামার, মেথর প্রভৃতি অস্পষ্ঠ জাতিদিগকে নিমন্ত্রণ করেন এবং উচ্চবংশীয় হিন্মু দিগের অনুরূপ অধিকার তাহাদিগকে দেওয়া হয়। —হিন্দুরঞ্জিকা গৌড় রজক-সম্মিলনী— - বাঁকুড়া জেলায় స్ధా ধলভূম, ཤྲཱི་ཛྙཱ་ན་ཀ་ལཱ་ সমস্তভূম, , সিকরভূম স্থানের রজকগণ রঞ্জকসন্মিলনী o সজোর প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। সুরাপান নিবারণ, বিলাতী বস্ত্র বর্জন, বিবাহে পণপ্রথার উচ্ছেদ প্রভৃতির পরিচালন স্বারা নিজেদের উন্নতিসাধন করাই ইহার মুখ্য উদেহু । ( সারথি ) —জানন্দবাজার-পত্রিক বিদ্যাসাগর বাণী-ভবন— নারী-শিক্ষা-সমিতি দ্বার পরিচালিত হিন্দু বিধবাদিগের জন্ত প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিদ্যাসাগর বাণীভবনে এখনও কয়েকটি বৃত্তি থালি আছে। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্ত কোন বেতন লওয়া হয় না। বৃত্তি হইতে থাকা এবং খাওয়ার খরচ নির্বাহ হইয়া যায়। ১০৫নং আপার সারকুলার বোডে নারী-শিক্ষা-সমিতির সম্পাদিকার নিকট আবেদন-পত্র পাঠাইতে হইবে। —সন্মিলনী কলিকাতায় মাদক দ্রব্যের দোকান— কলিকাতা সহরে বিলাতী মদের দোকান আছে ৯৬টি। দেশী মদের দোকান ৪৮, আফিমের দোকান ৬•, গাজা ৩৪, সিদ্ধি ১৩, চরশ ৩, তাড়ি ২৭। সর্বত্বন্ধ ২৮১টি স্থানে সৰ্ব্বদা মাদক দ্রব্য বিক্রয় হইতেছে । —সন্মিলনী বাঙালীর সৎসাহস– 'অমৃতবাজার পত্রিকায় একজন ভদ্রলোক লিখিতেছেন, গত ২৩শে জুন তিনি ঢাকা হইতে রওনা হইয়া নির্দিষ্ট সময়ে শিয়ালদহ ষ্টেশনে পৌঁছেন। শিশুপুত্রটি তাহার কোলে ছিল, স্ত্রী পশ্চাতে আসিতেছিলেন । এমন সময় গোলমাল শুনিয়া পিছনে চাছিয়া দেখেন, একজন বাঙ্গালী-যুবক একটি ইউরোপীয়ানকে ধরিয়া বেপরোয় জুতা মাখিতেছেন। ঘটনা কি জানিবার জন্য কৌতুহলী ভদ্রলোককে, তাহার স্ত্রী বলিলেন, সাহেবট। উাহার অচল ধরিয়া টানিয়াছিল । বাঙ্গালী-যুবকটির কবল হইতে পরিত্রাণ পাইয়া সাহেব উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া পলাইল । স্বীয় স্ত্রীর মর্য্যাদারক্ষক যুবককে ভদ্রলোক ধন্যবাদ দিতে গিয়া পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন । যুবক পরিচয় দিলেন না, কিন্তু তিনি অন্ত লোকের নিকট জানিলেন, যুবকের নাম শ্ৰীযুক্ত শৈলেন্দ্রভূষণ দত্ত, ইনি চট্টগ্রামে ডাক্তারি করেন । —আনন্দবাজার-পত্রিকা বাঙালীর কৃতিত্ব— বোম্বাই সহরে বাঙ্গালীর কৃতিত্ব বোলপুর শাস্তিনিকেতনের ভূতপূৰ্ব্ব ছাত্র শ্ৰীমানূ ক্ষিতীশচন্দ্র রায়, বোম্বাই সহরের “সার জে জে স্কুল-অব-শার্ট” হইতে ভাস্কৰ্যবিদ্যার পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করিয়াছেন। স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লাডষ্টান সলোমন সাহেব শ্ৰীমানূ ক্ষিতীশচন্ত্রের খুব প্রশংসা করিয়াছেন । —বন্দেমাতরম্ ණුඤ বিদেশ ঋণ করিয়া কোনওপ্রকারে সমরের ব্যয়-সঙ্গুলান করাতে ফ্রান্সের জাতীয় ঋণের পরিমাণ অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিয়াছে। ইংরেজ কিন্তু যুদ্ধের খরচ যোগাইবার জন্ত প্রথম হইতেই অস্ক উপায় স্মরণ লইয়াছিলেন। প্রজাসাধারণ অসন্তুষ্ট হইলে মন্ত্রী-সভার ক্ষমতা কমিয়া যাইবার সম্ভাবনা থাকে ; সেজন্ত কর-ভার বাড়াইয় রাজস্বের আয় বাড়াইতে ফরাসী সরকার সাহস পান নাই। ইংরেজ-মন্ত্ৰীসভা;কিন্তু প্রথম হইতেই শুদ্ধ ও করের পরিমাণ বাড়াইয়া দিয় রাজস্বের আর প্রভূতপরিমাণে বাড়াইয়৷ লইয়াছিলেন। সেজন্ত ফরাসী সাম্রাজের স্কার ইংরেজ রাজত্বের জাতীয় ঋ৭ অত বাড়িয় উঠে নাই। স্বদের টাকা দিতে রাজস্বের অনেকটাই খরচ হইয়া যায়, তাই ফ্রান্স, আপনার ঋণ শোধের জন্ত জার্মানীর নিকট হইতে যথাশীঘ্র সম্ভব ক্ষতি-পূরণ আদায়ের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। জার্মানীর ক্ষতি-পূরণের সামর্থ্যের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়াই অঙ্গর জোর