পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©Ꮼb• নাকি তাহারা জিতিয়াছে। কিন্তু এখনও জয়-পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চয়, কিছু বলা যায় না । যুদ্ধ মধ্যে মধ্যে ৩৪ বৎসর ধরিয়া হইতেছে । রিফরা মরোক্কোর একটি জাতি। তাহারা গাজী আব্দল { করিম্ নামক একজন শক্তিশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে সাধারণতন্ত্র স্থাপন করিয়াছে। আব্দল করিমের এরূপ প্রতাপ, যে, भांजौ श्रांव लल कब्रिम् রিকিয়া সাধারণতন্ত্রের সভাপতি রিফরে আধুষিত ভূখণ্ডে চুরি-ডাকাতী-আদি নিবারিত হইয়াছে। তিনি সভ্যদেশসকলের শিক্ষিত ব্যক্তিদের স্থায় জগতের নানা-বিষয়ক জ্ঞানে ওয়াকিব, হাল, এবং চলিত সব বিষয়ে জ্ঞানবত্তা ও বিচক্ষণতার সহিত কথোপকথন করিতে সমর্থ। জমিদার ও রায়ৎ সিরাজগঞ্জে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মিলনের অধিবেশনে প্রস্তাবটি ধার্ঘ্য হয়। প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ বাংলার রায়ৎদের স্বত্বসম্বন্ধে নিম্নলিখিত : [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAASAASAAAS ১৫ । যেহেতু বাঙ্গলার প্রজাগণ স্বায়তঃ জমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও প্রায় যাবতীয় স্বত্বাধিকার হইতে বঞ্চিত, সেই জন্ত যতদিন পৰ্যন্ত জমির উপর যাবতীয় স্বত্বাধিকার সহ প্ৰজাগণকে গছকাটা, দালান ইমারতাদি তৈয়ার করা, পুকুর, ইন্দার খনন করা প্রভৃতির অবাধ অধিকার না দেওয়া হয়, ততদিন পর্য্যন্ত প্রজার মনে স্বরাজ লাভের আকাঙ্গা জাগরিত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায়, এই সন্মিলন আশা করেন. যে, বঙ্গদেশের সর্ব শ্রেণীর প্রজাগণকে পুকুর ইন্দ্বারা খনন, গাছ কাটা এবং দালান ইত্যাদি তৈয়ার করিবার ক্ষমতাসহ প্রকৃত মালিক বলিয়া স্বীকার করা হউক, এবং কোন স্থলেই খারিজ দাখিলের নজর পণের উপর শতকরা ২ টাকার বেশী না হয় তাহার ব্যবস্থা করা হউক । রায়তদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষিত ও স্থাপিত হয় এবং অব্যাহত থাকে, ইহা আমরা খুবই বাঞ্ছনীয় মনে করি। সেই জন্য উপরের প্রস্তাবটিতে যে-ঘে দিকে প্রজার অধিকার স্থাপন বা বৰ্দ্ধনের কথা উল্লিখিত হইয়াছে, সাধারণভাবে } আমরা তাহার সমর্থন করি। কিন্তু আমাদের বিবেচনায় জিনিষটিকে স্বরাজলাভের আকাজক্ষা জাগরণের সাহত না জড়াইলে ভাল হইত। দেশ যদি স্বাধীন থাকিত বা হইত, তাহা হইলেও প্রজাদের উক্ত অধিকারগুলি থাকা দরকার । হইত ; পরাধীন অবস্থাতেও দরকার আছে। স্বরাজলাভের সঙ্গে প্রস্তাবটিকে জড়ানর ফলে জমিদার-সম্প্রদায়কে স্বরাজের বিরুদ্ধে চেষ্টা করিতে উত্তেজিত করা হইয়াছে—অবশ্ব ইচ্ছা করিয়া নহে। কুমার শিবশেখরেশ্বর রায়ের চিঠি হইতে তাহা প্রতিপন্ন হইতেছে। প্রবাসী-সম্পাদকের জমিদারি ত নাই-ই, কোনপ্রকার রায়তী স্বত্বেও কোথাও একটুকু জমি নাই। স্বতরাং এবিষয়ে কতকটা অপক্ষপাত বিচার করিতে পারা যাইবে ! অল্পসংখ্যক জমিদার ছাড়া, জমিদারশ্ৰেণী অপরের শ্রমের ফল শোষণ করিয়া আলস্যে, বিলাসে, অনেক স্থলে পাপাচরণে, কালযাপন করে, অত্যাচারও তাহাদের দ্বারা অনেক হয়। ইত্যাকার অনেক কথা আমরা অনেক বার বলিয়াছি। এখনও তাহার সমর্থন করি। কিন্তু রুশীয় বলশেভিক্‌ মত অনুসারে ভূম্যধিকারী শ্রেণীর লোপও আমরা বর্তমান অবস্থায় চাহিতে প - স্বরাজ্যিকেরা চান, এরূপ ইঙ্গিতও আমরা করিতেছি না। সাধারণভাবে বিষয়টির আলোচনা করিতেছি । প্রবলতা-বশতঃ যাহারা অত্যাচার করে, মানব